সংক্ষিপ্ত

এই প্রতারিত গ্রাহকরা প্রত্যেকেই নিজেদের ফোনে আসা একটি এসএমএসের নীচে দেওয়া লিঙ্কে ক্লিক করে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আপলোড করেছিলেন। 

যেকোনও এসএমএস অথবা ইমেলের মাধ্যমে আসা লিঙ্কে ক্লিক করতে বারণ করে সাইবার সুরক্ষা দফতর। কিন্তু, ভুলবশত সেই কাজটিই করে ফেলে বড়সড় বিপদের মুখে পড়লেন বাণিজ্যনগরীর মানুষ। সাইবার অপরাধীদের প্রতারণার ফাঁদে পা দিয়ে খোয়াতে হল লক্ষ লক্ষ টাকা। KYC তথ্য ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট-এর সাথে যুক্ত করার জন্য একটি সাধারণ মেসেজ পেতেই তার নীচে দেওয়া লিঙ্কে ক্লিক করে ফেললেন বহু গ্রাহক। তার জেরেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ল গোটা মুম্বই জুড়ে।

সম্প্রতি মুম্বইতে লক্ষ লক্ষ টাকা খুইয়েছেন ব্যাঙ্কের গ্রাহকরা। সাধারণ মানুষকে সতর্ক করতে ফের ময়দানে নেমেছে পুলিশ। শহর জুড়ে সতর্কতা জারি করার অভিযান চলছে। জানা গেছে, একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের অন্তত ৪০ জন গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট থেকে হঠাৎ করেই উধাও হয়ে গিয়েছে লক্ষাধিক টাকা। চলতি মাসেই এই ঘটনা ঘটেছে বলে ব্যাঙ্ক সূত্রে খবর। ব্যাঙ্ক জানিয়েছে, এই প্রতারিত গ্রাহকরা প্রত্যেকেই নিজেদের ফোনে আসা একটি এসএমএসের নীচে দেওয়া লিঙ্কে ক্লিক করে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আপলোড করেছিলেন। আর তারপরেই দফায় দফায় তাঁদের অ্যাকাউন্ট থেকে হাপিশ হয়ে যায় টাকা।

কেওয়াইসি, KYC। অর্থাৎ, 'নো ইয়োর কাস্টমার' (আপনার গ্রাহককে জানুন)। ব্যাঙ্ক প্রত্যেক গ্রাহককেই KYC আপডেট করতে বলে। নাম, ঠিকানা সহ প্যান কার্ড, আধার কার্ডের নম্বরের মতো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়ে একটা ফর্ম ফিল আপ করতে বলা হয়। কেওয়াইসি-র তথ্য ব্যাঙ্কে জমা করার কথা এসএমএসের মাধ্যমে গ্রাহকদের মনে করিয়েও দেয় বহু ব্যাঙ্ক।

এক্ষেত্রেও, এইসব গ্রাহকদের ফোন নম্বরে কেওয়াইসি আপডেট করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়ে একটি মেসেজ এসেছিল। মুম্বই পুলিশ জানিয়েছে, সেই এসএমএস-এ বলা হয়েছিল, সেখানে থাকা লিঙ্কে ক্লিক করে প্যান কার্ড সংক্রান্ত তথ্য আপলোড করতে। এমনকি, তথ্য না দিলে অ্যাকাউন্ট ব্লক করে দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছিল ওই মেসেজে। আর তাতেই ভয় পেয়ে গিয়ে লিঙ্কে ক্লিক করে ফেলে জালিয়াতির শিকার হয়ে যান অবুঝ গ্রাহকরা।

একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের মোট ৪০ জন গ্রাহকের টাকা এই ভাবে খোয়া গিয়েছে। এরপরেই রবিবার মুম্বইবাসীকে সতর্ক করার অভিযানে নামে পুলিশ। জানানো হয়, ভুয়ো এসএমএস পাঠিয়ে ব্যাঙ্কের গ্রাহকদের লুট করার চক্র হঠাৎই সক্রিয় হয়ে উঠেছে। এসএমএসে লিঙ্ক পাঠিয়ে গ্রাহকদের ভুয়ো ওয়েবসাইটে টেনে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সেখানে ব্যাঙ্কের ইউজার আইডি, পাসওয়ার্ড সমস্ত তথ্যই দিতে বলা হচ্ছে গ্রাহকদের। তাই, এমন এসএমএস পেলেও ব্যাঙ্কের গ্রাহকদের কোনওরকম লিঙ্কে ক্লিক করতে নিষেধ করছে পুলিশ। পাশাপাশি ওই এসএমএস কোনও ব্যক্তিগত নম্বর থেকে এসেছে, নাকি ব্যাঙ্কের সংস্থার যান্ত্রিক আইডি থেকে এসেছে, তা নজর করতে বলা হচ্ছে। সাধারণত, ব্যক্তিগত নম্বর থেকে আসা এসএমএস ব্যাঙ্কের তরফ থেকে পাঠানো হয় না বলেই জানানো হয়েছে।

আরও পড়ুন-
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যসচিবকে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন দফতরের জরুরি চিঠি, আবাস যোজনার দুর্নীতিতে ব্যবস্থা না নিলে বিপাকে পড়বে রাজ্য
দীর্ঘদিন ধরে ‘শারীরিক অসুস্থতা’ বলে অবশেষে ইন্টারনেটে ভিডিয়ো থেকে শিখে সন্তান প্রসব করল মহারাষ্ট্রের কিশোরী, তারপরেই সদ্যোজাতকে খুন
পশ্চিমবঙ্গের আকাশে ঘনাচ্ছে মেঘ, চলতি সপ্তাহে একাধিক জেলায় বৃষ্টির পূর্বাভাস দিল আলিপুর আবহাওয়া দফতর