
পশ্চিমবঙ্গের বিশেষ টাস্ক ফোর্স (STF) শুক্রবার দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে,। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান দুজনেই নিষিদ্ধ সংগঠন জামাতুল মুজাহিদিনের সঙ্গে যুক্ত। ধৃতরা হল আজমল হোসেন (২৮) যাকে নলহাটি থেকে এবং সাহেব আলী খান (২৮) যাকে মুরারাই থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জামাতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ (JMB) এর মতাদর্শ প্রচার এবং ভারতে হামলার পরিকল্পনার করেছে একাধিকবার।
৮-৯ মে, ২০২৫ বীরভূম জেলায় একযোগে অভিযান চালিয়ে এই গ্রেফতার করা হয়, দুই জেএমবি জঙ্গিকে। তেমনই জানিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ STF। সন্দেহভাজনদের JMB-এর মতাদর্শ প্রচার করতে দেখা গেছে এবং তারা এমন একটি মডিউলের অংশ যা জটিল এনক্রিপ্টেড মাধ্যম ব্যবহার করে রাষ্ট্রবিরোধী এবং জিহাদি উপকরণ প্রচারের কাজে সক্রিয় ভূমিকা নিয়েছিল। তারা ভারতে নির্দিষ্ট ব্যক্তি এবং স্থানগুলিকে লক্ষ্য করে দেশের সার্বভৌমত্বের ক্ষতি করার পরিকল্পনা করছিল বলে অভিযোগ।
সন্দেহভাজনরা তরুণ মুসলিম পুরুষদের নিয়োগ, তাদের মৌলবাদী করার চেষ্টা এবং জঙ্গি গোষ্ঠীতে যোগদানের জন্য উৎসাহিত করত বলে একধিক প্রমাণ রয়েছে তদন্তকারীদের হাতে। আজমল হোসেন পূর্বে জিহাদি কর্মকাণ্ডের জন্য বাংলাদেশে প্রবেশের চেষ্টা করেছিলেন এবং উপমহাদেশ জুড়ে তার যোগাযোগ রয়েছে।
সন্দেহভাজনরা, অন্যদের সঙ্গে, "গজওয়াতুল হিন্দ" এর উদ্দেশ্যে আগ্নেয়াস্ত্র কেনার এবং বিস্ফোরক তৈরির চেষ্টা করেছিল।
দুই সন্দেহভাজনকে আদালতে হাজির করা হবে, এবং পুলিশ তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়ে যাওয়ার এবং তাদের নেটওয়ার্কের সম্পর্কে আরও যোগসূত্র পেতে তদন্তের জন্য রিমান্ড চেয়েছে। একটি সম্পর্কিত ঘটনায়, কলকাতা পুলিশের STF এর আগে অবৈধভাবে আগ্নেয়াস্ত্র রাখার জন্য দুই ব্যক্তিকে, একজন মহিলা সহ, গ্রেফতার করেছিল। আজিজ মোল্লা (৩৬) এর কাছে ১০ টি তৈরি একক-ব্যারেল আগ্নেয়াস্ত্র পাওয়া গেছে, এবং ময়না মাঝি (৩২) এর কাছে একটি একক-ব্যারেল আগ্নেয়াস্ত্র পাওয়া গেছে।
সম্প্রতি পাকিস্তনের সঙ্গে ভারতীয় সীমান্তে উত্তেজনার কারণে দেশের সবকটি রাজ্যে ও কেন্দ্র শাসিত এলাকায় কড়া নজরদারি শুরু হয়েছে। সীমান্তগুলিতেও টাইট নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে বাংলার তদন্তকারীরা একটি বড় নাশকতার ছক বানচাল করল বলেও মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।