
WB SIR News: এসআইআর আতঙ্কের জেরে গায়ে আগুন লাগিয়ে আত্মঘাতী এক বৃদ্ধা। অভিযোগ, ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতারের ভুমশোরে। পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতারের ভুমশোর গ্রামে ফের আত্মঘাতী এসআইআর আতঙ্কে চাঞ্চল্য ছড়াল। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, গৃহবধূ মুস্তরা খাতুন কাজি বয়স ৪০বছর। এস আই আর আতঙ্কের জেরে গায়ে আগুন লাগিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন। এদিন দেহ ময়নাতদন্ত হলো বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে।
পরিবারের দাবি শুক্রবার তিনি এসআইআর ফর্ম জমা করেছিলেন। তাঁর নাম ২০০২ সালের তালিকায় রয়েছে বলেও জানা গেছে। ঘটনার পর শনিবার মৃতদেহ ময়নাতদন্তে পাঠায় পুলিশ। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এসআইআর সংক্রান্ত চাপ ও মানসিক অশান্তির কারণেই এই ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে ঘটনার প্রকৃত কারণ জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ
এদিকে, এলাকা ফাকা,কোথায় গেলো এতগুলি পরিবার তা জানা নেই স্থানীয়দের।তবে SIR চালু হতেই এই সকল পরিবার একে একে এলাকা ছেড়ে পালায়।ঘটনাটি মধ্যমগ্রাম মাঠপাড়া এলাকায়।
এসআইআর আবহে জনশূন্য হয়ে গেছে মধ্যমগ্রাম পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ড মাঠাপাড়া এলাকার এক বস্তি।মধ্যমগ্রামের মাঠপাড়ায় এই গ্রামের গোটাটাই এখন জনমানবহীন। গোটা গ্রামে একশোর বেশি পরিবার থাকতে বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু রাতারাতি উধাও সবকটি পরিবার। এই এলাকায় মানুষজন বেশিরভাগই কাজ করতো ভাঙ্গারির।
স্থানীয়দের অভিযোগ এরা মূলত বাংলাদেশ থেকেই এসেছিল। এস আই আর ঘোষণা হওয়ার পরেই এলাকার একেবারে শূন্য হয়ে গিয়েছে।বছর ২ ধরে এখানে থাকতো এই সকল পরিবার।এস আই আর চালু হতেই এদের গতিবিধি পরিবর্তন হয়।ধিরে ধিরে গোটা এলাকা ফাঁকা হয়ে যায়।তবে সঠিক কোথায় গেছে তা জানা যায়নি।যদিও স্থানীয়রা জানায়,এলাকা ফাঁকা হতেই প্রশাসনের তরফ থেকে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখে আসে।
অন্যদিকে, নদীয়া জেলার শান্তিপুর ব্লকের নবলা পঞ্চায়েতের প্রমোদপল্লি এলাকায় এসআইআর ফর্ম বিতরণকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা ও পেশায় টোটো চালক গোবিন্দ রায় অভিযোগ করেছেন, তাঁদের পরিবারের মোট পাঁচ সদস্যের জায়গায় ভুলভাবে ছয়টি এনুমারেশন ফর্ম দেওয়া হয়েছে। অতিরিক্ত ফর্মটিতে নাম রয়েছে এক ব্যক্তির—শান্তনু রায়—যাকে গোবিন্দ রায় কিংবা তাঁর পরিবারের কেউই চেনেন না।
গোবিন্দ রায় জানান, বাড়িতে রয়েছেন বৃদ্ধ বাবা সুভাষচন্দ্র রায়, স্ত্রী ও ১১ বছরের কন্যা। মা বহু বছর আগেই প্রয়াত। দুই ভাইয়ের পরিবারসহ মোট পাঁচটি ফর্ম পাওয়ার কথা থাকলেও হঠাৎ একটি অতিরিক্ত ফর্ম হাতে আসে। তিনি অভিযোগ করেন, বুথ লেভেল অফিসার (BLO) আশা মণ্ডল জোর করে সেই ফর্মটি দিতে চান এবং জানান—শান্তনুর বাবার নামও ‘সুভাষচন্দ্র রায়’, তাই ফর্মটি এই বাড়িতেই দেওয়া হচ্ছে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।