সন্তানকে নিজের কাছে রেখে স্ত্রীকে প্রেমিকের সঙ্গে বিয়ে দিলেন যুবক! পড়ে রইল ৭ বছরের দাম্পত্য
গত সাত বছর যাবত প্রেম, বিয়ে, সন্তান সহ সংসার করার পর চুক্তি মেনে স্ত্রীর প্রেমিকের হাতে তাঁকে তুলে দিলেন স্বামী। এমন ঘটনায় হতবাক সকলে। অবশেষে স্ত্রীর প্রেমেই শিলমোহর দিলেন বছর চব্বিশের যুবক স্বামী।
রীতিমতো দশজন সাক্ষীর উপস্থিতিতে স্ট্যাম্প পেপারে লিখিত চুক্তি করে, প্রেমিকের হাতে তুলে দিলেন স্ত্রীকে। পাঁচ বছর সংসার করা যে স্ত্রীর সঙ্গে, তাঁর এক বছরের প্রেমকে স্বীকৃতি দিলেন যুবক স্বামী।
চুক্তি অনুসারে বছর তিনেকের শিশু সন্তান স্বামীর কাছে রেখেই প্রেমিকের সঙ্গে নতুন সংসার পাতলেন যুবতী স্ত্রী। তবে স্ত্রীর বিয়ে হয়ে যাওয়ার পর কিছুটা ভেঙে পড়েছিলেন স্বামী।
অন্যের খুশিতে আনন্দ খুঁজে পাওয়া যুবক বলেন, "যাকে ঘিরে প্রেম থেকে দাম্পত্য সে নিজেই যখন থাকতে চাইছে না সঙ্গে, তখন সমস্যা বাড়িয়ে কী হবে। আমি চিরকাল ওকে ভাল রাখতে চেয়েছি। যদি সেটা এভাবে হয়, তাহলে সেটাই না হয় হোক।"
এই ঘটনা ঘটেছে উত্তরবঙ্গের ধূপগুড়ি রেল স্টেশন সংলগ্ন বারোঘড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েত অঞ্চলের ভেমটিয়া এলাকায়। গল্পের শুরুটা অবশ্য বছর পাঁচেক আগে। শিলিগুড়ি সংলগ্ন বাতাসি এলাকার যুবতীর সঙ্গে বছর দুয়েকের প্রেমের সুবাদে পালিয়ে বিয়ে সংসার পাতেন পেশায় টোটোর মেকানিক ভেমটিয়ার যুবক।
তবে তিন চাকার ব্যাটারিচালিত যানের মেকানিক টের পাননি স্ত্রীর মনের জটিলতা। এই ফাঁকে বছর খানেক যাবত সেই মনে পাকাপাকি ভাবে বাসা বেঁধেছিল এলাকারই আরেক যুবক। ছোটখাটো ব্যবসা করার ফাঁকে তরুণী বধূর সঙ্গে জমে উঠেছিল তার প্রেম। মেলামেশা গভীরতর হলেও এতদিন টের পাননি কেউই।
সমস্যা বাঁধে ঘন কুয়াশার আড়ালে গভীর রাতে অভিসারে আসা প্রেমিককে বধূর পরিবারের লোকেরা দেখে ফেলায়। জিজ্ঞাসাবাদে বেড়িয়ে আসে মন দেওয়া নেওয়ার পুরো ঘটনাই। খবর পেয়ে ছুটে আসেন বধূর বাপের বাড়ির লোকেরাও।
যুবক স্বামী স্পষ্ট জানিয়ে দেন টানা সাত বছরের সম্পর্কেই থাকতে চান তিনি। তবে বেঁকে বসেন বধূ। দাম্পত্য এবং প্রেমের টানাপোড়েনে শেষ পর্যন্ত স্ত্রীর ইছেতেই মত দেন যুবক। দুই পরিবার এবং এলাকার মাতব্বরদের উপস্থিতিতে স্ট্যাম্প পেপারে চুক্তি করে স্ত্রীকে প্রেমিক যুবকের হাতে তুলে দেওয়া হয়। কাছাকাছি একটি মন্দিরে বিয়ে করে নতুন সংসারযাত্রা শুরু করেন দুজনে।
মেয়ের সিদ্ধান্তে সায় নেই বলেই জোরালো দাবি করেছেন বধূর বাবা মা। সংসারে ছেড়ে প্রেমিকের সঙ্গে ঘর বাঁধা নিয়ে বধূ বলেন, "হঠাত্ করে কিছু হয়নি। এক বছর ধরে আমরা দুজন একে অপরকে ভালোবাসি। মন যখন আমার, তখন সিদ্ধান্তও আমারই হওয়া উচিত্। সন্তানকে নিজের কাছে রাখতে চাইলেও ওরা সেটা মানেনি।"