Child marriage: বাল্যবিবাহে এগিয়ে এই রাজ্য, ল্যানসেট রিপোর্ট আশঙ্কা কন্যাশ্রী-রূপশ্রী নিয়ে

এই দেশের বাল্যবিবাহ নিয়ে একটি সমীক্ষা প্রকাশ করেছে ল্যানসেট। সেখানে বলা হয়েছে সার্বিকভাবে ভারতে বাল্যবিবাহ হ্রাস পেয়েছে। কিন্তু এই রাজ্যের ছবিটা তার থেকে আলাদা।

ল্যানসেট রিপোর্টে চারটি রাজ্যের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে বাল্য বিবাহের হার- বিহারে ১৬.৭ শতাংশ, পশ্চিমবঙ্গে ১৫.২ শতাংশ, উত্তর প্রদেশ ১২.৫ শতাংশ, মহারাষ্ট্র ৮.২ শতাংশ।

মেয়েদের বাল্যবিবাহের মোট সংখ্যা অর্ধেকেরও বেশি।

রিপোর্টে বলা হয়েছে কিছু রাজ্যে মেয়েদের বাল্যবিবাহের প্রবণতা ও প্রধান সংখ্যা নাটকীয়ভাবে হ্রাস পেয়েছে। কিছু রাজ্য এই নিয়ে লড়াই করছে। সেই লড়াইকরা রাজ্যের উদাহরণে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের নাম।

ভারতের রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলি নিয়ে সমীক্ষা করা হয়েছে। মেয়ে ও ছেলেদের বাল্যবিবাহ নিয়ে সমীক্ষা করা হয়েছে। ১৯৯৩-২০২১ সালের ছবি তুলে ধরা হয়েছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে প্রতি পাঁচ জনের মধ্যে এক জন মেয়ের আইনি বয়সের আগেই বিয়ে হয়ে যায়।

বাল্যবিবাহ বন্ধ করার জন্য এই রাজ্যে একাধিক আর্থিক অনুমোদনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার বাল্যবিবাহ রুখতে একাধিক ব্যবস্থা করেছে।

১৮ বছর বয়স পর্যন্ত মেয়েরা বিয়ে না করলে কন্যাশ্রী বা রূপশ্রী প্রকল্পের আর্থিক সুবিধে দেওয়া হয়। রাজ্যের এই প্রকল্পগুলি রাষ্ট্রসংঘেও প্রশংসিত। কিন্তু তারপরেও ছবিটা বদলায়নি।

এই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও প্রতিক্রিয়া জানায়নি রাজ্য সরকার। তবে শিশু সুরক্ষা কমিশনের উপদেষ্টা অনন্যা চক্রবর্তী বাল্যবিবাহ নিয়ে নিজের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। বলেছেন, পশ্চিমবঙ্গে বাল্যবিবাহ নিয়ে যত রিপোর্ট হয়, ততটা অনেক রাজ্যেই হয় না।

বাংলার মেয়েরা অনেক বেশি স্বাধীনচেতা। এখানে অনার কিলিং বা সম্মান রক্ষার জন্য খুন হয় না। এক বিশেষজ্ঞের কথায় এই রাজ্যে এখনও বিয়েই সব। অনেক ক্ষেত্রেও মেয়েদের জোর করে বিয়ে দিয়ে দেওয়া হয়।

ল্যানসেটে অতিমারির পরের রিপোর্ট নেই। সেই সময় নাবালিকা বা বাল্যবিবাহ বেড়েছিল বলা হয়েছে। ২০০৬-১৬ র মধ্যে বাল্যবিবাহ কমেছিল। করনো মহামারির সময় বাল্যবিবাহেও এগিয়ে রয়েছে এই রাজ্য। তেমনই ইঙ্গিত রয়েছে একাধিক রিপোর্টে।