
এক আদিবাসী মহিলাকে মদ খাইয়ে শ্লীলতাহানি ও খুনের অভিযোগ উঠল স্থানীয় এক যুবকের বিরুদ্ধে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিন ২৪ পরগনার গোসাবাতে। এই ঘটনায় গ্রেফতার মূল অভিযুক্ত।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, সোমবার রাতে অভিযুক্ত যুবক মদ নিয়ে ঐ আদিবাসী মহিলার বাড়িতে যান। অভিযোগ, সেখানে জোর করে মদ খাওয়ান। ঐ মহিলার বাড়িতে শুধু তার ছেলে বৌমা ছাড়া আর কেউই ছিলেন না সেই সময়। বৌমা অভিযুক্ত যুবককে চলে যেতে বললেও ঐ যুবক যাননি। এদিকে ঐ বৃদ্ধার ছেলে তখন মদের নেশায় বেঁহুশ হয়ে পড়ে ছিলেন । অভিযুক্ত বাড়ি থেকে বের করা যাচ্ছেনা দেখে আশপাশের প্রতিবেশীদের ডাকতে যান বৌমা। তিনি ফিরে দেখেন অভিযুক্ত যুবক চলে যাচ্ছে বাড়ির পাশ থেকে। তিনি বাড়ি ফিরে দেখেন, শ্বাশুড়ি অসুস্থ অবস্থায় পড়ে রয়েছেন, দেহের পোষাক স্বাভাবিক অবস্থায় নেই । এই অবস্থায় দ্রুত ওই মহিলাকে উদ্ধার করে গোসাবা ব্লক গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যান চিকিৎসার জন্য। রাতেই তাঁর অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়। কিন্তু সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। ঘটনার পর গ্রামের মানুষজন অভিযুক্ত যুবককে গনধোলাই দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেন বলে খবর মেলে।
মৃত মহিলার বৌমার অভিযোগ, বাড়িতে পুজো ও অনুষ্ঠান ছিল। সবাই চলে যাওয়ার পর অভিযুক্ত রাতে মদ নিয়ে তাদের বাড়িতে ঢোকে। তারপর তার স্বামীকে বন্ধু বন্ধু বলে ডাকতে থাকে। সেই সময় স্বামী ভাত খাচ্ছিল । সেখান থেকে তাকে তুলে জোর করে মদ খাওয়ায়। বেশ কিছুক্ষন এভাবে চলার পর তাকে চলে যেতে বললেও সে যেতে অস্বীকার করে এবং উল্টে হুমকি দিতে থাকে। উপায় না দেখে লোক ডাকতে চলে যান। বাড়ি ফিরে দেখেন শাশুড়ি পড়ে রয়েছে,পোষাক অবিন্যস্ত অবস্থায় রয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।দেহ পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য । অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।