শিলিগুড়িতে যুব সংকল্প যাত্রার আয়োজন করে দার্জিলিং জেলা বিজেপি। এই যাত্রায় অংশগ্রহণ করার কথা ছিল সাংসদ রাজু বিস্তার। তবে এদিন সকাল থেকে বিজেপি যুব সংগঠনের সদস্যরা শিলিগুড়িতে বিজেপির দলীয় কার্যলয়ে জমায়েত শুরু করলে শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিশ ৩০ জন বিজেপি নেতা-কর্মীকে আটক করে।
প্রতিদিনই কোনও না কোনও কর্মসূচি পালন করছে বিজেপি। গতকাল কলকাতায় পশ্চিমবঙ্গ বাঁচাও কর্মসূচি থেকে আটক করা হয় দিলীপ ঘোষ, শুভেন্দু অধিকারী, দেবশ্রী চৌধুরী, জয়প্রকাশ মজুমদারদের। আর আজ রাজ্যে রয়েছে বিজেপির আরও এক কর্মসূচি। সকালে শিলিগুড়িতে বিজেপির যুব সংকল্প যাত্রা শুরু হওয়ার আগে থেকেই তৎপর হয় পুলিশ। শিলিগুড়িতে বিজেপি বিধায়ক শংকর ঘোষ সহ ৩০ জনকে আটক করা হয়। আজ সকালে জেলা বিজেপির কার্যালয় থেকে যুব সংকল্প যাত্রা শুরু হওয়ার কথা ছিল। সেই মতো দলীয় কার্যালয়ের দিকে যাওয়ার সময়ই তাঁদের আটক করে পুলিশ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে শিলিগুড়ির হাসমি চক।
গোটা রাজ্যের পাশাপাশি শিলিগুড়িতে মঙ্গলবার যুব সংকল্প যাত্রার আয়োজন করে দার্জিলিং জেলা বিজেপি। এই যাত্রায় অংশগ্রহণ করার কথা ছিল সাংসদ রাজু বিস্তার। তবে এদিন সকাল থেকে বিজেপি যুব সংগঠনের সদস্যরা শিলিগুড়িতে বিজেপির দলীয় কার্যলয়ে জমায়েত শুরু করলে শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিশ ৩০ জন বিজেপি নেতা-কর্মীকে আটক করে। বিজেপির যুব জেলা সাধারণ সম্পাদককে আটক করলে স্বেচ্ছায় পুলিশের গাড়িতে উঠে পড়েন বিধায়ক শংকর ঘোষ।
আরও পড়ুন- যুবনেতৃত্বে জোর, তৃণমূলের জেলা সংগঠনে বড়সড় রদবদল
এ প্রসঙ্গে শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিসিপি জয় টুডু বলেন, "যুব সংকল্প যাত্রার জন্য তাঁদের কাছে কোনও অনুমতি ছিল না। সেই কারণেই তাঁদের আটক করা হয়েছে।" পাশাপাশি পুলিশের তরফে আরও জানানো হয়, করোনা পরিস্থিতির মধ্যে কোনওরকম কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করা যাবে না। এই ঘটনা প্রসঙ্গে তৃণমূলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন রাজু বিস্তা বলেন, "আজ রাজ্যে যা অবস্থা, তা দেখে আমার দুঃখ হয়। কোনও অনুমতি ছাড়াই রাজ্যে খেলা দিবস পালন করছে তৃণমূল। আর আজ যখন বিজেপির যুব নেতারা ৭৫ জন লোককে নিয়ে জাতীয় পতাকা নিয়ে রাস্তায় বেরিয়েছে, তখন পুলিশ তাদের আটকাচ্ছে।"
আরও পড়ুন- কলকাতায় বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা, ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস উত্তরবঙ্গে
আরও পড়ুন- ফের বাড়ল রান্নার গ্যাসের দাম, কলকাতায় ভর্তুকিহীন সিলিন্ডারের দাম ২৫ টাকা বেড়েছে
অন্যদিকে আজ থেকে শুরু হচ্ছে বিজেপির শহিদ সম্মান যাত্রা। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরাও অংশ নেবেন এই কর্মসূচিতে। বাগডোগরা এয়ারপোর্ট থেকে দার্জিলিং পর্যন্ত যাত্রায় উপস্থিত থাকার কথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জন বার্লার। বাগডোগরা এয়ারপোর্ট থেকে শিলিগুড়ি পার্টি অফিস পর্যন্ত যাত্রায় উপস্থিত থাকার কথা নিশীথ প্রামানিকের। এছাড়া সকালেই কলকাতায় পৌঁছেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুভাষ সরকার। কলকাতায় বিজেপির সদর দফতরের সামনে ব্যারিকেড দেওয়া হয়েছে। পুলিশের পদস্থ আধিকারিকরাও রয়েছেন সেখানে। এ প্রসঙ্গে সুভাষ বলেন, "পুলিশের ভিড় থাকলেও কর্মসূচি আমরা চালিয়ে যাব। সব বাধা কাটিয়েই কর্মসূচি এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে।" তবে করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে যাত্রায় খুব বেশি ভিড় করা হবে না। আর শিলিগুড়িতে বিজেপি নেতাদের গ্রেফতারি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "রাজ্য সরকার ঠিক করেছে কোনও বিরোধীকে থাকতে দেওয়া হবে না। সেটা কখনও হতে পারে না।"
সারা দেশে বিজেপি যে জন আশীর্বাদ যাত্রার আয়োজন করেছে, বাংলায় তাই শহিদ সম্মান যাত্রা হিসেবে পালন করছে বঙ্গ বিজেপি। ভোট পরবর্তী হিংসায় নিহত দলীয় কর্মীদের শ্রদ্ধা জানাতে মঙ্গলবার থেকে এই যাত্রা শুরু করছে তারা।