'বাংলার বাংলাদেশ হতে দেরি নেই', বিশ্বশান্তি যজ্ঞের মঞ্চ থেকে আশঙ্কা বিজেপি নেতা শুভেন্দ অধিকারীর

২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে হোক বা পরে- একাধিকবার বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারি নিশানা করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোধ্যায়। এবারও সেই একই পথে হাঁটলেন তিনি।

Web Desk - ANB | / Updated: Dec 30 2021, 06:26 AM IST

আবারও একবার শুভেন্দুর নিশানায় রাজ্য সরকার। আরও এবরা পশ্চিমবঙ্গ বাংলাদেশ হয়ে যাবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করলেন তিনি। "পশ্চিমবঙ্গ  বাংলাদেশে পরিনত  হতে বেশি দেরি নয়" বুধবার মহিষাদলের জগৎপুরে হিন্দু জাগরন মঞ্চের উদ্যোগে বিশ্ব শান্তি যজ্ঞের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে নন্দীগ্রামের বিধায়ক তথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী  (Suvendu Adhikari) এমনই অভিযোগ করেন। পাশাপাশি  তিনি বলেন, কপিল মুনি আশ্রমের প্রধান মহন্তকে আড়লে নিয়ে গিয়ে কিছু প্রতিশ্রুতি  দিয়েছেন তাই তিনি আগামীর প্রধানমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Bnerjee) হবে বলে জানিয়েছেন।

২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে হোক বা পরে- একাধিকবার বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারি নিশানা করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোধ্যায়। এবারও সেই একই পথে হাঁটলেন তিনি। সম্প্রতি দক্ষিণ ২৪ পরগনার সাগরমেলায় গিয়েছিলেন গঙ্গাসাগরের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে। সেখানেই কপিল মুণির আশ্রমের মহন্ত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে দাঁড়িয়ে বলেছিলেন তাঁর প্রধানমন্ত্রী হওয়া সশুধু সময়ের অপেক্ষা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রধানমন্ত্রী হওয়া কেউ আটকাতে পারবে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূয়সী প্রশংসাও করেন কপিলমুণির আশ্রমের প্রধান জ্ঞানদাস মহন্ত।

কপিলমুণির আশ্রমে দাঁড়িয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন। তিনি বলেন, সাগরমেলা কুম্ভমেলার তুলনায় কোনও অংশে কম নয়।  তিনি কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে একাধিকবার আর্জি জানিয়েছেন সাগরমেলাকে যাতে জাতীয় মেলার তকমা দেওয়া হয়। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার তাঁর আবেদন কান দেয়নি বলেও অভিযোগ করেন তিনি। 

তবে কপিলমুণির আশ্রমের মহন্তর বার্তা নিয়ে আগেই বিজেপি তৃণমূল কংগ্রেসকে নিশানা করতে শুরু  করেছিল। এবার সেই পথে হাঁটলেন বিধানসভায় বিজেপির প্রধান শুভেন্দু অধিকারী।যদিও দলবদলের পর থেকেই শুভেন্দ নিশানা করেন তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমোকে। সম্প্রতি কলকাতা পুরসভা নির্বাচনেও তিনি কলকাতা পুলিশের সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়েছিলেন। তীব্র সমালোচনা করেছিলেন কলকাতা পুলিশের। একই সঙ্গে পুলিশ মন্ত্রী মমতার বিরুদ্ধেও তোপ দেগেছিলেন। 

ভোটে কারচুপির অভিযোগ তুলে আগেই রাজ্য নির্বাচন কমিশনের তীব্র সমালোচনা করেছিলেন শুভেন্দু। তিনি বলেন কলকাতা হাইকোর্ট ৬ হাজার সিসিটিভি ক্যামেরা লাগাতে বলেছিল। সেই সিসিটিভি র অডিট করলেই আসল সত্য প্রকাশ পাবে। যদিও শুভেন্দু অধিকারী রাজভবনে গিয়ে এদিন রাজ্যপালের সঙ্গেও দেখা  করেন। বৈঠক শেষে তিনি বলের কলকাতা পুরসভা নির্বাচনে প্রতিটি বুথেই ভোট লুঠ হয়েছ। তারপরই তিনি ভোটে কারচুপির অভিযোগ তুলে ভোট বাতিলেরও দাবি জানান। পাশাপাশই কলকাতা পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগে সরব হন  বিজেপি নেতারা। তাঁদের অভিযোগ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশেই কলকাতা পুলিশ তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের মদত দিয়েছে। 

অন্যদিকে তৃণমূল  নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী ও পুলিশ মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও কলকাতা পুলিশের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন কলকাতা পুলিশ যেথেষ্ট ভালো কাজ করেছে। এককথায় কলকাতা পুলিশকে দরাজ সার্টিফিকেটও দেন তিনি। পাশাপাশই কলকাতায় এদিন ভোট শান্তিপূর্ণ ছিল বলেও দাবি করেন মমতা। তিনি বলেন উৎসবের মেজাজেই মানুষ ভোট দিচ্ছেন। 

Share this article
click me!