"ট্রেন-মেট্রো না চললে বাসের যাত্রীরা কোথা থেকে আসবেন", মুখ্যমন্ত্রীর সিদ্ধান্তকে কটাক্ষ দিলীপের

Published : Jun 29, 2021, 03:40 PM ISTUpdated : Jun 29, 2021, 03:48 PM IST
"ট্রেন-মেট্রো না চললে বাসের যাত্রীরা কোথা থেকে আসবেন", মুখ্যমন্ত্রীর সিদ্ধান্তকে কটাক্ষ দিলীপের

সংক্ষিপ্ত

রাজ্যে বিধিনিষেধের মেয়াদ আরও ১৫ দিন বাড়ানো হয়েছে ছাড় দেওয়া হয়েছে বাস, অটো ও টোটো চলাচলের ক্ষেত্রে বন্ধ থাকবে মেট্রো ও ট্রেন মুখ্যমন্ত্রীর সিদ্ধান্তের সমালোচনায় সরব বিজেপি

রাজ্যে করোনা সংক্রমণের গতি এখন নিম্নমুখী। কিন্তু, কয়েকটি জায়গাতে সংক্রমণের পরিমাণ একটু বেশি রয়েছে। তাই রাজ্যে বিধিনিষেধের মেয়াদ আরও ১৫ দিন বাড়ানো হয়েছে। যদিও বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে আরও ছাড় দেওয়া হয়েছে। ১ জুলাই থেকে ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে সরকারি-বেসরকারি বাস, অটো ও টোটো চলতে পারবে বলে গতকাল ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে ট্রেন ও মেট্রো আপাতত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। তাঁর এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছে বিজেপি। 

আরও পড়ুন- প্রতারণার শিকার হয়েছিলেন দেবাঞ্জন নিজেই, ভুয়ো টিকাকাণ্ডে গ্রেফতার আরও ২

এই বিষয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, "যদি শহরকে স্বাভাবিক করতে হয় তাহলে ট্রেন-মেট্রো চালাতে হবে। বাসের যাত্রী কোথা থেকে আসবে, যদি ট্রেন-মেট্রো না চলে? উনি একদিকে উপনির্বাচন চাইছেন, ভাবছেন স্বাভাবিক হয়ে গিয়েছে, করোনা চলে গিয়েছে, অথচ ট্রেন-মেট্রো চালাচ্ছেন না। আসলে এ জন্য দরকার সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনার। রাজ্য সরকারের সেই পরিকল্পনার অভাব রয়েছে। সব মানুষের আয়ের পরিমাণ কমে যাচ্ছে। সে জন্য লোকাল ট্রেন যতক্ষণ না চলছে ততক্ষণ কিছুই স্বাভবিক হবে না।"

 

গতকাল নবান্নের সাংবাদিক বৈঠক থেকে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কে দুর্নীতিগ্রস্ত বলে আক্রমণ করেছিলেন মমতা। তার প্রেক্ষিতে দিলীপ ঘোষ বলেন, "সারদা কেলেঙ্কারির সময়ও সিট তৈরি হয়েছিল, তার উদ্দেশ্য ছিল নেতাদেরকে বাঁচানো, ঘটনাকে চাপা দেওয়া। প্রত্যেকবার তাই হয়। ঘটনা হাতের বাইরে চলে গেলেই, উনি নিজে নেমে পড়েন। কাল থেকে নিজের ব্যাটিং শুরু করেছেন, চাইছেন লোকের দৃষ্টি সরাতে, বিষয়টির গুরুত্ব কমাতে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজনীতি ছাড়া কিছুই বোঝেন না। সেই জন্য উন্নয়ন বাদ দিয়ে শুধু ক্ষমতায় থাকার চিন্তা করছে। রাজ্যপালের দুর্নীতি খুঁজছেন।"

আরও পড়ুন- টাকা দিয়ে 'ফ্রি টিকা' শিলিগুড়িতে, দুর্নীতির অভিযোগ তুলে তৃণমূলকে নিশানা বিজেপির

উল্লেখ্য, রাজ্যে করোনা সংক্রমণের গতি এখন নিম্নমুখী। এই পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের সুবিধার কথা ভেবে বেশ কিছু বিধি শিথিল করেছে রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী, ১ জুলাই থেকে সকাল ১১টা থেকে সন্ধে ৬টা পর্যন্ত খোলা থাকবে সেলুন এবং বিউটি পার্লার। ক্ষেত্রে ৫০ শতাংশ গ্রাহক উপস্থিতি বাধ্যতামূলক। বাজার-হাট খোলার ক্ষেত্রে কিছুটা সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে। সকাল ৬টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত খোলা থাকবে সবজি ও মাছের বাজার। আর অন্য দোকান খোলা থাকবে সকাল ১১টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত। পাশাপাশি জিম খোলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। ৫০ শতাংশ লোক নিয়ে সকাল ৬ টা থেকে সকাল ১০টা এবং বিকেল ৪টে থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত দু’দফায় খোলা যাবে জিম।

PREV
click me!

Recommended Stories

১ বছর পরে ২ দিনের সফরে কোচবিহার যাচ্ছেন মমতা, রইল সোম ও মঙ্গলের ঠাসা কর্মসূচি
Dilip Ghosh: বাংলায় ‘বাবরি মসজিদ’! বিজেপির দিলীপ হুমায়ুনকে দিলেন চরম উপদেশ