বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "গণতন্ত্র বাঁচাও, দেশ বাঁচাও। গণতন্ত্রকে বাঁচাতে একজোট হতেই হবে। মূল্যবৃদ্ধি প্রতিবাদে লড়াই চলবে। তাই প্রতি দু’মাস অন্তর নয়াদিল্লি আসব।"
২৫ জুলাই দিল্লি সফরে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাঁচদিনের সফর সেরে আজই সেখান থেকে ফিরেছেন তিনি। তবে রাজধানী ছাড়ার আগে বিরোধীদের একজোট হয়ে লড়াইয়ের বার্তা দিয়েছেন। পাশাপাশি এও জানিয়েছেন যে এখন থেকে দু'মাস অন্তর দিল্লিতে যেতে পারেন তিনি। বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, "গণতন্ত্র বাঁচাও, দেশ বাঁচাও। গণতন্ত্রকে বাঁচাতে একজোট হতেই হবে। মূল্যবৃদ্ধি প্রতিবাদে লড়াই চলবে। তাই প্রতি দু’মাস অন্তর নয়াদিল্লি আসব।"
লক্ষ্য ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচন। বিজেপির বিরুদ্ধে বিরোধী দলগুলিকে ঐক্যবদ্ধ করার লক্ষ্যে এখন থেকেই ঝাঁপিয়ে পড়ছে তৃণমূল। আর সেই কারণে এই দিল্লি সফরে একাধিক বিরোধী দলের নেতৃত্বের সঙ্গে দেখা করেন মমত। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করেছেন। বাংলা নিয়ে একাধিক দাবি জানিয়েছেন বৈঠকে। যা যা লক্ষ্য নিয়ে দিল্লি গিয়েছিলেন তার সবই সফল হয়েছে বলে আজ জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে বিরোধীদের এই জোট নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে জাতীয় রাজনীতিতে।
একুশের বিধানসভা নির্বাচনে মমতা একাই আটকে দিয়েছিলেন গেরুয়া শিবিরের রথ। ২০০টি আসন জেতার লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও ৭৭-এ থামতে হয় তাদের। বিজেপি অবশ্য বিষয়টিকে নেতিবাচক হিসেবে দেখতে নারাজ। বিজেপি নেতৃত্বের মতে, ৩ থেকে ৭৭-এ পৌঁছাতে পেরেছেন তাঁরা। তাই এই ফল খুব একটা খারাপ নয়। এদিকে বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়লাভের পর জাতীয় রাজনীতিতে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছেন মমতা। তাই এখন প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে যে, তাহলে কি ২০২৪-এর মুখ হতে চলেছেন তিনি? যদিও তা নিয়ে মুখ খুলতে রাজি হননি মমতা। জানিয়েছেন, বিরোধী শিবিরের নেতা নন, তিনি ক্যাডার মাত্র। আর এই মুহূর্তে দেশকে বাঁচানোই তাঁর মূল লক্ষ্য।
আরও পড়ুন- আচমকাই সফরে বদল অভিষেকের, সোমবার বিপ্লবের রাজ্যে পা রাখবেন
আজ দিল্লি ছাড়ার আগে সাংবাদিক বৈঠক করেন মমতা। সেখানে তিনি বলেন, "দেশকে বাঁচাতে গণতন্ত্রকে বাঁচাতে হবে। আর তাই একজোট হয়ে লড়াই করতে হবে। বহু বিরোধী নেতার সঙ্গে নয়াদিল্লিতে দেখা হয়েছে এবং কথা হয়েছে। কোভিড নিয়মের জন্য সংসদের সেন্ট্রাল হলে যেতে পারিনি। তাই অনেকের সঙ্গে দেখা হল না। দেশবাসীর অবস্থা খুব খারাপ। কারণ কেন্দ্রীয় সরকার রান্নার গ্যাসের দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে।"
আরও পড়ুন- লাদাখের মাটিতে শনিবার ভারত চিন বৈঠক, দেখুন সুন্দরী লাদাখে সেনা দখলদারির ছবি
পাশাপাশি করোনা তৃতীয় ঢেউ নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মমতা। বলেন, "আমি এই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীকেও জানিয়েছি। তাঁকে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে বলেছি।"