শ্বশুর ও শাশুড়িকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল বৌমার বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় ব্য়াপক উত্তেজনা ছড়াল বসিরহাট মহাকুমার হাসনাবাদ থানার তোকিপুর এলাকায়। বাড়ির জমির দলিল আত্মগোপন করে রেখেছিল বছর পঁয়ত্রিশের গৃহবধু প্রতিমা দাস। অভিযোগ, সেই দলিলের তলব করতেই লাঠি ও লোহার রড দিয়ে শাশুড় ও শাশুড়িকে বেধড়ক মারল তাদের বৌমা প্রতিমা। এই মুহূর্তে শাশুড়ি আরতী দাস ও শ্বশুর জলধর দাসকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় টাকি গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে এই ঘটনার পেছনে অন্য় কোনও কারণ আছে কিনা খতিয়ে দেখছে পুলিস।
আরও পড়ুন, বন্ধুদের সঙ্গে নিয়ে কিশোরীকে গণধর্ষণ প্রেমিকের, খুনের পর জ্বালিয়ে দেওয়া হল দেহ
সম্প্রতি এনআরসির ও ক্যাব এর জন্য সংশোধনের জন্য়ই বাড়ির দলিল খুঁজছিলেন জলধর দাস ও আরতী দাস।কিন্তু কিছুতেই তার হদিস পাওয়া যাচ্ছিল না। খুঁজে না পাওয়ায় রীতিমত চিন্তায় ছিলেন দুজনে। তারপরএই তাঁরা জানতে পারেন যে তাদের বৌমাই দলিলটি লুকিয়ে রেখেছে। এদিকে এনআরসির ও ক্যাব এর মত জরুরি অবস্থায় তাদের বৌমার এই আচরণে দিশেহারা হয়ে তীব্র প্রতিবাদ করেন। আর এই প্রতিবাদটাই মেনে নিতে পারেননি, প্রতিমা দাস। অভিযোগ, এরপরই প্রতিমা আক্রমনাত্বক হয়ে তেড়ে যান বৃদ্ধ শ্বশুর ও শাশুড়ির উপর। লাঠি ও লোহার রড দিয়ে বেধড়ক মেরে মাথা ফাটিয়ে দেন। এরপর দুজনেই গুরুতর জখম হন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় টাকি গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে ভর্তি করা হয় আরতী দাস ও জলধর দাসকে।
আরও পড়ুন, ফোর্বসের ২০ প্রভাবশালীর তালিকায় তৃণমূলের মহুয়া মৈত্রের নাম
তবে এই ব্য়াপারে শুধু বাড়ির জমির দলিল লুকিয়ে রাখার প্রতিবাদে যে শ্বশুর ও শাশুড়িকে বেধড়ক মারধর করা হয়েছে নাকি এর পেছনে লুকিয়ে আছে অন্য় কোনও কারণ, সেটা খতিয়ে দেখছে পুলিস। উল্লেখ্য় বধু নির্যাতনের ঘটনাও যেমন কমছে না, ঠিক তেমনই ভাবে বৃদ্ধ মা-বাবার উপর অত্য়াচারও দিন দিন বেড়েই চলেছে। আর তারই জ্বলন্ত প্রমান বসিরহাট মহাকুমার হাসনাবাদ থানার তোকিপুর এলাকার এই ঘটনা।