সংক্ষিপ্ত
- কুমারগঞ্জে কিশোরীর অগ্নিদগ্ধ দেহ উদ্ধার
- গণধর্ষণের পর খুন করা হয়েছে তাকে
- তদন্তে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য
- প্রেমিক-সহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ
গণধর্ষণ করে গলার নলি কেটে খুন, তারপর বাইকের পেট্রোল ঢেলে দেহটি জ্বালিয়ে দিয়েছে প্রেমিক ও তার বন্ধুরা। দক্ষিণ দিনাজপুরের কুমারগঞ্জে কিশোরী খুনের ঘটনার তদন্তে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। মৃতার প্রেমিক-সহ তিন অভিযুক্তকেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
ঘটনার সূত্রপাত সোমবার সকালে। কুমারগঞ্জে সাফানগর পাকুড়তলায় এলাকায় এক কিশোরীর অগ্নিদগ্ধ দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। কয়েক ঘণ্টার পর বালুরঘাট হাসপাতালের মর্গে দেহটি শনাক্ত করেন পরিবারের লোকেরা। জানা যায়, ওই কিশোরীর বাড়ি দক্ষিণ দিনাজপুরেরই গঙ্গারামপুরের উদয়গ্রাম পঞ্চায়েতের পঞ্চগ্রামে। পরিবারের লোকেরা দাবি, রবিবার দুপুরে চাদর কেনার নাম করে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল ওই কিশোরী, আর ফেরেনি সে। সন্ধের পর থেকে বন্ধ ছিল মোবাইলটি। ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগও করেছিলেন বাড়ির লোকেরা। তাঁদের অভিযোগ যে ভুল ছিল না, তারই প্রমাণ মিলল পুলিশি তদন্তে। সামনে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য।
আরও পড়ুন: মদের টাকা দেয়নি মা, পুড়িয়ে মারতে বাড়িতে আগুন ধরালো ছেলে
সোমবার রাতে মহাবুর মিয়া,গৌতম বর্মন, পঙ্কজ বর্মন নামে তিনজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মহাবুরের বাড়ি দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুরে, আর গৌতম ও পঙ্কজ তপন এলাকার বাসিন্দা বলে জানা দিয়েছে। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, মহাবুরের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল মৃতার। প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করতেই বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল ওই কিশোরী। প্রেমিকাকে সঙ্গে নিয়ে বাইকে চেপে দিনভর ঘোরাঘুরি করে মহাবুর। সঙ্গে ছিল তার দুই বন্ধু গৌতম ও পঙ্কজও। রাতে মদ্যপান করার পর তিনজন মিলে ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। ঘটনার পর নিযার্তিতা যখন জ্ঞান হারান , তখন গলার নলি কেটে তাকে খুন করে অভিযুক্তেরা। কেটে দেওয়া হাত ও পা-ও। সবশেষে বাইকে পেট্রোল দিয়ে দেহটি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়।