বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে বাধা, প্রেমিকের সাহায্যে স্বামী-সহ ২ সন্তানকে খুন যুবতির

  • স্ত্রীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের কথা জেনে ফেলেছিলেন যুবক
  • একাধিকবার স্ত্রীকে বাধা দিচ্ছিলেন তিনি
  • প্রেমিকের সাহায্যে স্বামীকে খুন মহিলার
  • স্বামী-সহ ২ সন্তানকেও খুন করেন বলে অভিযোগ

Asianet News Bangla | Published : Jul 2, 2021 8:03 AM IST / Updated: Jul 02 2021, 01:41 PM IST

স্ত্রীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে বাধা দিচ্ছিলেন যুবক। আর সেই কারণে প্রেমিকের সঙ্গে হাত মিলিয়ে স্বামী ও দুই সন্তানকে খুনের অভিযোগ উঠল মহিলার বিরুদ্ধে। মৃতদের নাম মঙ্গু শেখ (৩০), আলি শেখ (৮) ও সোয়েল শেখ (৬)। পঞ্জাবের ফারিতকোটের ঘটনা। ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত মৌরী খাতুন ও তাঁর প্রেমিক কিশানকে গ্রেফতার করেছে পঞ্জাব পুলিশ। শুক্রবার মঙ্গু-সহ দুই সন্তানের দেহ নিয়ে আয়া হয় উত্তর দিনাজপুরের ইটাহার থানার হাতিয়া পালইবাড়ি এলাকায়। এই এলাকার বাসিন্দা ছিলেন মঙ্গু। 

আরও পড়ুন- সাতসকালেই ঘুম ভাঙালেন রাজ্যের, প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে প্রতারক দেবাঞ্জন ইস্যুতে বিস্ফোরক দিলীপ

পালইবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা মঙ্গু শেখ বছর চারেক আগে কর্মসূত্রে পঞ্জাবের ফারিতকোটে বিএসএফ ক্যাম্পে পাড়ি দিয়েছিলেন। আর বিএসএফ ক্যাম্পের পাশের গ্রামেই বাড়ি ভাড়া করে স্ত্রী, পুত্র ও কন্যাকে নিয়ে থাকতেন। বিএসএফ-এর ওই ক্যাম্পেই কিশান নামে উত্তরপ্রদেশের এক যুবক কাজ করতেন। একই জায়গায় কাজ করার ফলে মঙ্গুর সঙ্গে কিশানের পরিচয় হয়। মাঝে মধ্যেই মঙ্গুর বাড়িতে যেতেন কিশান। অভিযোগ, ধীরে ধীরে মৌরীর সঙ্গে কিশানের ঘনিষ্ঠতা বাড়তে থাকে। এরপর বিষয়টি জানতে পেরে স্ত্রীকে বাধা দিতেন মঙ্গু। এনিয়ে তাঁদের মধ্যে বিবাদ লেগেই থাকত। 

আরও পড়ুন- 'নথিতে ধনখড় তাহলে কে', কী সেই 'জৈন হাওয়ালা মামলা', তৃণমূলের রহস্যভেদে চাপের মুখে রাজ্যপাল

 

আরও পড়ুন- ফের জ্বালানীর দামে আগুন, দেশের একাধিক শহরে সেঞ্চুরি হাঁকালো পেট্রোল, কী অবস্থা কলকাতায়

মাস দেড়েক আগে মৌরী তাঁর প্রেমিক কিশানের সঙ্গে পালিয়েও গিয়েছিলেন। অভিযোগ, তখনই তাঁরা মঙ্গুকে খুনের পরিকল্পনা শুরু করে দিয়েছিলেন। ২৮ জুন রাতে প্রেমিক কিশানের সাহায্যে মঙ্গু-সহ সোয়েল ও আলিকে খুন করে ঝুলিয়ে ঝুলিয়ে দিয়েছিলেন মৌরী। কোনওরকমে সেখান থেকে পালিয়ে প্রাণে বাঁচে মঙ্গুর মেয়ে আদুরি (১০)। বিএসএফ ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েছিল সে। এরপর তার মুখ থেকেই গোটা ঘটনার কথা জানতে পারে পঞ্জাব পুলিশ। তখনই গ্রেফতার করা হয় মৌরী ও কিশানকে। এই মুহূর্তে পঞ্জাব পুলিশের হেফাজতে রয়েছে আদুরি। ময়নাতদন্তের পর মঙ্গু ও তাঁর দুই সন্তানের দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেয় পুলিশ। এরপর আজ সকালে গ্রামের বাড়িতে তাঁদের দেহ নিয়ে আসা হয়। কান্নায় ভেঙে পড়েন পরিবারের সদস্যরা। 

Share this article
click me!