দ্বৈপায়ন লালা, মালদহ: বদলি নিয়ে জটিলতায় মানসিক অবসাদ। জবাবদিহি চাইতে এসে শেষকিনা প্রশাসনিক কর্তার উপর অ্যাসিড হামলা চালালেন পঞ্চায়েতের এক মহিলা! বরাতজোরে রক্ষা পেয়েছেন জেলা পরিষদের দায়িত্বপ্রাপ্ত অতিরিক্ত জেলাশাসক। ঘটনায় শোরগোল পড়ে দিয়েছে মালদহে।
আরও পড়ুন: জাতীয় পতাকা তুলতে গিয়ে খুন বিজেপি কর্মী, মৃ্ত্যুর সঙ্গে লড়াই করছেন মণ্ডল সম্পাদক
জানা গিয়েছে, অভিযুক্তের নাম মিতা মুখোপাধ্যায়। কালিয়াচক ২ নম্বর ব্লকের বাঙ্গিটোলা পঞ্চায়েতে চতুর্থ শ্রেণির কর্মী হিসেবে কর্মরত তিনি। অর্ডার হওয়া সত্ত্বেও কেন বদল আটকে রয়েছে? তা জানতেই শুক্রবার সন্ধ্য়ায় মালদহ জেলা পরিষদ কার্যালয়ে আসেন ওই মহিলা পঞ্চায়েত কর্মী। অফিসে ঢুকে সোজা চলে যান জেলা পরিষদের দায়িত্বপ্রাপ্ত অতিরিক্ত জেলাশাসক বা এডিএম বিকাশ সাহার ঘরে। অভিযোগ করেন, এডিএমই নাকি তাঁর বদল আটকে দিচ্ছেন। এডিএম তখন পাল্টা বোঝানোর চেষ্টা করেন, বিষয়টি তাঁর আওতাধীন নয়। বাদানুবাদ চরমে উঠলে একসময়ে মেজাজ হারিয়ে অভিযুক্ত মহিলা রীতিমতো গালিগালাজ করতে শুরু করেন বলে অভিযোগ। এরপর পঞ্চায়েতের মহিলা কর্মীরা যখন সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন, তখন ব্যাগ থেকে অ্যাসিডে শিশি বের করে তিনি এজিএমের দিকে ছুঁড়ে দেন বলে অভিযোগ। কিন্তু অ্যাসিড লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়ায় বেঁচে যান এডিএম বিকাশ সাহা।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতা দিবসে আকাশ ছুঁলো তেরঙ্গা, ঐতিহাসিক মুহুর্তের সাক্ষী থাকল রায়গঞ্জ
ঘটনার জেরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে মালদহ জেলা পরিষদের কার্য়ালয়ে। বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন জেলাশাসক। কিন্তু কেন এমন কাণ্ড ঘটালেন পঞ্চায়েতের মহিলা কর্মী? অভিযুক্ত মিতা মুখোপাধ্য়ায়ের বাড়ি মালদহ শহরের ১১ নম্বর ওয়ার্ডে। বেশ কয়েক বছর আগে কালিয়াচকের বাঙ্গীটোলা পঞ্চায়েত থেকে মালদহ শহর লাগোয়া সাহাপুর পঞ্চায়েতে তাঁর বদলি নির্দেশ এসেছিল। কিন্তু সেই নির্দেশ এখনও পর্যন্ত কার্যকর হয়নি। সমস্যা মেটাতে প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন মিতা। সেই আক্রোশেই হামলা? প্রাথমিকভাবে তেমনটাই মনে করা হচ্ছে। তবে ওই মহিলা মানসিক ভারসাম্যও হারিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।