সংক্ষিপ্ত
- স্বাধীনতা দিবসেও মিলল না ছাড়
- ফের রাজ্যে রাজনৈতিক সন্ত্রাসের অভিযোগ
- তৃণমূলের দুষ্কৃতীদের হাতে নৃশংসভাবে খুন
উত্তম দত্ত : স্বাধীনতা দিবসেও মিলল না ছাড়। ফের রাজ্যে শাসক দলের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলল বিজেপি। দলের অভিযোগ, স্বাধীনতা দিবসের পতাকা উত্তোলন করতে গিয়ে তৃণমূলের দুষ্কৃতীদের হাতে নৃশংসভাবে খুন হয়েছেন খানাকুল বিধানসভার ২৪৫ নং বুথের কার্যকর্তা সুদর্শন প্রামানিক। গুরুতর আহত হয়েছেন স্থানীয় মন্ডলের সাধারণ সম্পাদক সরজিৎ সামন্ত। হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন তিনি।
ঘটনাটি ঘটেছে, খানাকুল দু'নম্বর ব্লকের দৌলতচক সাজুর ঘাটে। বিজেপির অভিযোগ, তাদের নেতাকর্মীরা এলাকায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন করছিলেন। তখনই তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাঁদের কর্মীদের ওপর সশস্ত্র আক্রমণ চালায়। এ ঘটনায় গুরুতর জখম হন দুজন। তাঁদেরকে নতিবপুর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা সুদর্শন ওরফে সুদামকে মৃত ঘোষণা করেন।
এই ঘটনায় এলাকায় তীব্র উত্তেজনার সৃষ্টি হয় । ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। ঘটনাস্থলে মৃতদেহ নিয়ে দীর্ঘক্ষণ পথ অবরোধ করে বিজেপি।বিজেপির আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি বিমান ঘোষ ঘটনাস্থলে যান । তাঁর দাবি, তৃণমূলের গুন্ডারা কুপিয়ে খুন করেছে সুদর্শনকে। তিনি হুঁশিয়ারি দেন, আগামী বারো ঘণ্টার মধ্যে দোষীদের গ্রেফতার না করলে খানাকুল অচল করে দেওয়া হবে।
পুলিস ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত' র জন্য আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয় । হুগলি গ্রামীণ পুলিস সুপার তথাগত বসু জানান , স্বাধীনতা দিবসে পতাকা তোলা নিয়ে বিবাদের জেরে এই খুন। মৃত ব্যাক্তি বিজেপি দলের সদস্য । এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আট জনকে আপাতত আটক করা হয়েছে । খোঁজ চলছে আরও কয়েক জনের । দোষীদের কাউকে ছাড়া হবে না। যদিও তৃণমূলের পক্ষ থেকে এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে । দলের হুগলি জেলা সভাপতি দিলীপ যাদব বলেছেন , যে কোনও খুন দুঃখজনক । তৃণমূল খুনের রাজনীতি করে না । এটা বিজেপির অন্তর্দলীয় কোন্দলের ফল।