কৌশিক সেন, রায়গঞ্জ: পারিবারিক অশান্তির জেরে স্বামীই খুন করে দিল না তো? গৃহবধূ ও তাঁর তিন বছরের শিশুকন্যায় মৃত্যুতে ঘনাচ্ছে রহস্য। ঘটনার তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরে। মৃতার স্বামীকে আটক করেছে পুলিশ। মৃতদেহ দুটি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ল তিনতলা বাড়ি, দেখুন ভিডিও
ইসলামপুর শহরের রামকৃষ্ণপল্লীতে ভাড়া বাড়িতে থাকেন মুন্না হাজরা। স্ত্রী ভারতী ও একমাত্র মেয়ে অনুষ্কাকে নিয়ে সংসার। শহরের নিয়ন্ত্রিত বাজারে একটি চায়ের দোকান চালান মুন্না। প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, রোজ সকালে স্বামী-স্ত্রী একসঙ্গেই দোকানে যেতেন। কিন্তু শনিবার মুন্না একাই দোকানে গিয়েছিলেন। কিছুক্ষণ পর বাড়ি ফিরে স্ত্রী ও মেয়ের রক্তাক্ত দেহ দেখতে পান তিনি। খবর চাউর হতে সময় লাগেনি। মুন্নার বাড়িতে হাজির হন স্থানীয় বাসিন্দারা। চলে আসেন ইসলামপুর পুরসভার প্রশাসক কানাইলাল আগরওয়াল ও পুলিশও।
আরও পড়ুন: সুন্দরবনে কাকড়া ধরতে গিয়ে বাঘের হামলা, ফের প্রাণ হারলেন এক মৎস্যজীবী
কীভাবে ঘটল এমন ঘটনা? মৃত ভারতীর হাজরার ভাইয়ের দাবি, মাঝেমধ্যেই তাঁর দিদিকে মারধর করতেন জামাইবাবু। পারিবারিক অশান্তির কারণে স্ত্রী ও মেয়ে-কে মুন্নাই খুন করেছে। অভিযুক্তকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে ইসলামপুর থানার পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, সবজি কাটার বঁটি দিয়েই ওই দু'জনকে খুন করা হয়েছে। ঘটনার নেপথ্যে পারিবারিক অশান্তির সম্ভাবনা কথা জানিয়েছেন ইসলামপুর পুরসভার প্রশাসক কানাইলাল আগরওয়ালও।