অকাল বর্ষণে ডুবেছে জমি, পাম্পিং করেও 'অধরা' আলুর ভবিষ্যৎ

  • আলুর চাষিদের কাছে আরও খারাপ দিন
  • পরপর এক সপ্তাহের বেশ কয়েকটি বর্ষণ
  •  একেবারে ডুবে গিয়েছে ফলে যাওয়া আলু
  •  আলু তুলতে গিয়ে হিমসিম খাচ্ছে চাষিরা

Asianet News Bangla | Published : Mar 8, 2020 8:47 AM IST / Updated: Mar 08 2020, 02:41 PM IST

আলুর চাষিদের কাছে আরও খারাপ দিন ৷ পরপর এক সপ্তাহের বেশ কয়েকটি বর্ষণে একেবারে ডুবে গিয়েছে ফলে যাওয়া আলু ৷ আলু তোলার মুহুর্তে আলুর জমি ডুবে গিয়েছে জলার তলায়৷ দুদিন আগে যে জমিতে সেচ দিতে হচ্ছিল, এখন উল্টে সেই জমি থেকেই পাম্পিং করে জল তুলে বাইরে বের করতে হচ্ছে ৷ জল সরিয়ে কাদায় ডুবে থাকা আলু হাতড়াচ্ছেন কৃষকেরা ৷ রবিবার সকাল থেকে এমনই চিত্র পশ্চিম মেদিনীপুরের মেদিনীপুর সদর ব্লকের বিস্তীর্ন এলাকা ছাড়াও জেলার গড়বেতা ,চন্দ্রকোনা, কেশপুর ঘাটালে ৷ সব থেকে বেশি খারাপ অবস্থায় সদর ব্লকের কনকাবতী ও মণিদহ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকাতে ৷ 

বিমানবন্দরের থার্মাল স্ক্রিনিং-এ করোনা উপস্বর্গ যুবকের, মুহূর্তেই হাসপাতালে ভর্তি

এর আগে ধসারোগের কবলে চলে গিয়েছিল জেলাতে চাষ করা মোট আলুর প্রায় ৩৫ থেকে ৪০ শতাংশ আলু। সেই ক্ষত সামলাতে না সামলাতেই ফের অকালবৃষ্টির কবলে পড়লেন আলুচাষীরা। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাতে প্রচুর পরিমানে আলুচাষ হয়। গড়বেতার তিনটি ব্লকের পাশাপাশি কেশপুর, শালবনি, মেদিনীপুর সদর ব্লক সহ জেলার প্রায় দশটি ব্লকে প্রচুর পরিমাণে এই অর্থকরী ফসলের চাষ হয়। 

কলকাতা থেকে মালদহ হয়ে এবার অশ্লীল রবীন্দ্র সঙ্গীত বিতর্কে বারাসত, এলাকায় উত্তেজনা

জেলা কৃষিদফতর সূত্রে জানা গিয়েছে , এবার জেলায় প্রায় ৭১ হাজার হেক্টর জমিতে আলুচাষ হয়েছে। এবার প্রথম থেকে আলুচাষের উপর অশনিসংকেত দেখা দিয়েছে। প্রাথমিক পর্বে শীত একেবারে ছিল না বললেই চলে। ছিল নিম্নমানের আলুবীজ সরবরাহের অভিযোগও। তার উপর দলমা থেকে আসা হাতির উপদ্রবে জঙ্গলমহলের এলাকাগুলিতে একরের পর একর জমির চাষ নষ্ট হয়েছে। তারপর প্রায় ৩০ হাজার হেক্টর আলুজমি ধসারোগের কবলে পড়ে। এবার অকাল ঝড় ও বর্ষণ চাষিদের পথে বসিয়েছে। পরিণত আলু এখন মাঠের জলের তলাতে ৷ সেখান থেকে পাম্প বসিয়ে জল শুকিয়ে কাদা থেকে খুঁজে বের করতে হচ্ছে আলুকে ৷ রবিবার সকাল থেকে জেলার বিস্তীর্ণ এলাকাতে এভাবেই আলু হাতড়াতে দেখা যাচ্ছে  কৃষকদের ৷

৫০ টাকায় মুরগির মাইকিং করেও খদ্দের নেই,৭০০ টাকার খাসিতে লম্বা লাইন

আলু চাষ পশ্চিম মেদিনীপুরের চাষিদের কাছে বড়ো অর্থকারী ফসল ৷ তাই বেশিরভাগ চাষিই মোটা টাকা ঋণ করে আলুর চাষ করেছেন জেলার বেশির ভাগ স্থানে ৷ এবার সেই আলুতে লোকসানে পড়ে কৃষকেরা হতাশ ৷ কৃষি দফতর জানিয়েছে- বীমা কোম্পানিকে জানিয়ে মাঠ পরিদর্শন শুরু করেছে কৃষি দফতর ৷

Share this article
click me!