নদিয়ায় গৃহবধূর অস্বাভাবিক মৃত্য়ু, অভিযোগের তির শ্বশুরবাড়ির দিকে

  • গৃহবধূকে খুনের অভিযোগ উঠল তার স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে  
  • গলায় ফাঁস লাগিয়ে ওই  গৃহবধূকে খুন করা হয় বলে অভিযোগ 
  • অভিযোগ,মদ্যপ স্বামী সঞ্জয় দাস প্রতিদিন  শম্পাকে মারধর করতো 
  • সেই মারধরের প্ররোচনা দিত তার শ্বশুর-শাশুড়ি বলে অভিযোগ 

Ritam Talukder | Published : Jan 23, 2020 9:15 AM IST

গৃহবধূকে খুনের অভিযোগ উঠল তার স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে। সূত্রের খবর, গলায় ফাঁস লাগিয়ে ওই  গৃহবধূকে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। বছর ছাব্বিশের মৃত ওই গৃহবধূর নাম শম্পা দাস।ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার শান্তিপুর থানার ফুলিয়া কালিপুর এলাকায়।ঘটনায় শান্তিপুর থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের গৃহবধূর বাবার বাড়ির পক্ষ থেকে। 

আরও পড়ুন, ট্রেনে মহিলা যাত্রীর রহস্যমৃত্যু,সংরক্ষিত কামরায় মিলল দেহ

সূত্রের খবর, আট বছর  আগে তাহেরপুর থানার বিরনগর এলাকার বাসিন্দা শম্পা দাস এর সঙ্গে বিয়ে হয় শান্তিপুর থানার কালিপুর গ্রামের বাসিন্দা সঞ্জয় দাসের। অভিযোগ, বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই শম্পা দাস কে বিভিন্ন বিষয়ে মারধর করতো তার স্বামী সঞ্জয় দাস এবং শশুর-শাশুড়ি। একাধিকবার মারধরের কথা লিখিতভাবে থানায় জানানো হলেও অত্যাচার একটুকুও কমেনি। উল্টে বেড়ে গেছে মারধরের পরিমান। অভিযোগ,স্বামী সঞ্জয় দাস প্রতিদিন মদ্যপ অবস্থায় বাড়ি ফিরতেন। এবং বাড়িতে এসেই স্ত্রী শম্পাকে মারধর করতেন। আর সেই মারধরের প্ররোচনা দিত তার শ্বশুর-শাশুড়ি বলে অভিযোগ। এদিকে বুধবার হঠাৎ শম্পা দাসের বাবার বাড়িতে খবর যায় শম্পা দাস আত্মহত্যা করেছে। 

আরও পড়ুন, আজও আলো করে আছে নেতাজি-র তেলেভাজা, ২৩ জানুয়ারি বিনি পয়সা খাবার মেলে এখানে

 বৃহস্পতিবার এই ঘটনার পরই শম্পা দাসের পিতা নির্মল কর্মকার শান্তিপুর থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করেন। এদিকে এই ঘটনার পর থেকেই মৃতার স্বামী সঞ্জয় দাস এবং শশুর-শাশুড়ি পলাতক। ইতিমধ্য়েই তাদের সন্ধান শুরু করেছে শান্তিপুর থানার পুলিশ। কেন, কী কারণে ওই গৃহবধূর মৃত্য়ু হল তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।


 

Share this article
click me!