কৌশিক সেন, রায়গঞ্জ: বিয়ে করে প্রতারণার শিকার? নিখোঁজ স্বামীর সন্ধান পেতে এবার শ্বশুবাড়ির সামনে ধর্ণায় বসলেন এক গৃহবধূ। শ্বশুর বাড়ির লোকেদের অবশ্য দাবি, ওই মহিলার সঙ্গে তাঁদের কোনও সম্পর্ক নেই। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জে।
আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর বিরূদ্ধে পোস্ট, গ্রেফতার বিজেপি আইটি সেলের কনভেনর
ঘটনাটি ঠিক কী? রায়গঞ্জ শহর লাগোয়া গৌরী পঞ্চায়েতের নূরীপুর গ্রামের বাসিন্দা আরশাদ আলি। বছর দেড়েক আগে পারভিনা খাতুন নামে গ্রামেরই এক মহিলাকে বিয়ে করেন তিনি। ছেলের দ্বিতীয় বিয়ে কিন্তু মেনে নেননি আরশাদের পরিবারের লোকেরা। রায়গঞ্জ শহরে ভাড়া নিয়ে থাকতেন স্বামী-স্ত্রী। পারভিনার দাবি, গত মাসে আচমকাই উধাও হয়ে যান আরশাদ। বহু খোঁজাখুঁজি করেও তাঁর আর সন্ধান মেলেনি। শেষপর্যন্ত যখন শ্বশুরবাড়িতে যান, তখন মীমাংসার জন্য ১৫ দিন সময় চান আরশাদের পরিবারের লোকেরা। স্থানীয় পঞ্চায়েতেরও দ্বারস্থ হন ওই গৃহবধূ।
আরও পড়ুন: হেমতাবাদে বিধায়কের মৃত্যুতে সিবিআই তদন্ত , কেন্দ্র ও রাজ্যকে নোটিশ সুপ্রিম কোর্টের
এদিকে এই ঘটনার আরশাদ নিজেই পারভিনার সঙ্গে যোগাযোগ করে এবং স্ত্রীকে ডিভোর্স দেওয়ার কথাও জানিয়ে দেয়। কিন্তু স্বামী বা স্ত্রীর একার সিদ্ধান্তে কি ডিভোর্স হয়? প্রশ্ন তুলেছেন ওই গৃহবধূ। পারভিনার দাবি, শ্বশুরবাড়ির লোকেরা তাকে জানায়, ডিভোর্সের নথিতে স্বামী ও স্ত্রী দু'জনেরই স্বাক্ষর আছে। হোয়াটস অ্যাপে সেই নথি পাঠিয়েও দেন আরশাদ। তাহলে? আরশাদে ডিভোর্সের দেওয়ার কথা অস্বীকার করেছেন পারভিনা। বুধবার রাত থেকে শ্বশুরবাড়ির সামনে ধর্ণায় বসেছেন তিনি। স্বামীকে ফিরে না পাওয়া পর্যন্ত ধর্না চলবে। কী বলছেন আরশাদ আলির পরিবারের লোকেরা? দাদা রসিদূর আলম জানিয়েছেন, 'ভাই দীর্ঘদিন যাবৎ বাড়িতে থাকে না। সে কোথায় আছে, জানি না। বাড়ির ওর কোনও অধিকারও নেই।' পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছেন স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান।