করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট আসতে 'বিলম্ব', হাসপাতালে যাওয়ার পথে রাস্তায় পড়ে মৃত্যু যুবকের

Published : Aug 14, 2020, 04:21 PM IST
করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট আসতে 'বিলম্ব', হাসপাতালে যাওয়ার পথে রাস্তায় পড়ে মৃত্যু যুবকের

সংক্ষিপ্ত

করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট আসতে 'বিলম্ব' শ্বাসকষ্টের রোগীকে 'ফেরালেন' আশাকর্মীরা করোনা আতঙ্কে মিলল না অ্যাম্বুল্যান্সও পায়ে হেঁটে হাসপাতালে যাওয়ার পথে মৃত্যু যুবকের 

করোনা পজিটিভ না নেগেটিভ? এই দোলাচলের মাঝেই রাস্তায় পড়ে বেঘোরে প্রাণ গেল যুবকের। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য জুটল না অ্যাম্বুল্যান্সও! চরম অমানবিক ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর চব্বিশ পরগণার দত্তপুকুরে। আশাকর্মীদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

আরও পড়ুন: করোনা প্রতিষেধক সংগ্রহ থেকে সরবরাহ- কোনও দায়িত্বই পাবে না রাজ্য, নির্ভর করতে হবে কেন্দ্রের ওপর

মৃতের নাম বিমল সানি। বাড়ি, দত্তপুকুরের ছোটোজাগুলিয়ার এলাকার বামনগাছিতে। প্রায় দু'সপ্তাহ ধরে জ্বরে ভুগছিলেন তিনি। করোনা নয় তো? পরীক্ষার জন্য রোগীর লালারস সংগ্রহ করা হয়। কিন্তু ৯ দিন পেরিয়ে গেলেও সেই পরীক্ষার রিপোর্ট পাওয়া যায়নি বলে অভিযোগ। পরিবারের লোকেরা জানিয়েছেন, উপসর্গ না থাকায় বিমলকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার পরামর্শ দেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। তাতেই কি ঘটল বিপত্তি? 

জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালে আচমকাই প্রবল শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। এরপর স্বামীকে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যান বিমলের স্ত্রী। তারপর? মৃতের স্ত্রীর অভিযোগ, বেড না থাকার কারণ দেখিয়ে ওই যুবককে ফিরিয়ে দেন কর্তব্যরত আশাকর্মীরা। শেষপর্যন্ত যখন বারাসত হাসপাতালে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন, তখন করোনা আতঙ্কে অ্য়াম্বুল্যান্সও মেলেনি। নিরুপায় হয়ে দত্তপুকুর থেকে হাঁটাপথে বারাসত উদ্দেশ্যে রওনা দেন বিমল সানি। হাসপাতাল পর্যন্ত আর পৌঁছতে পারেননি, রাস্তাতেই লুটিয়ে পড়েন এবং ঘটনাস্থলে মারা যান তিনি। 

আরও পড়ুন: পরে নিলেন পিপিই কিট, জ্বরে আক্রান্ত ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে গেলেন তৃণমূলের যুব সভাপতি

যতদিন যাচ্ছে, রাজ্যে  করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। সেক্ষেত্রে  সকলকে যে হাসপাতালে ভর্তি করা সম্ভব নয়, তা স্বীকারও করে নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেও। কিন্তু ঘটনা হল, দিন কয়েক স্বাস্থ্য কমিশনের তরফে ঘোষণা করা হয়েছে, যদি করোনা আক্রান্ত বা সন্দেহভাজন রোগী ভর্তি করা যায়, তাহলে সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল বা স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে অন্য হাসপাতালে বেডের ব্যবস্থা করে দিতে হবে। তাহলে কেন দত্তপুকুরে যুবকের ক্ষেত্রে তেমনটা হল না কেন? উত্তর জানা নেই কারও।  

PREV
click me!

Recommended Stories

শীতে জুবুথুবু বঙ্গ, একধাক্কায় কলকাতায় পারদ পতন ১৪.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস- আরও ঠান্ডার পূর্বাভাস
LIVE NEWS UPDATE: শীতে জুবুথুবু বঙ্গ, একধাক্কায় কলকাতায় পারদ পতন ১৪.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস- আরও ঠান্ডার পূর্বাভাস