সংক্ষিপ্ত

  • অসমে এগিয়ে বিজেপি 
  • দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে কংগ্রেস 
  • অসম রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র 
  • রয়েছেন হেমন্ত বিশ্ব শর্মা ও গৌরব গগৈ

 

অসমে দ্বিতীয় বারের জন্য ক্ষমতায় ফিরতে চলেছে বিজেপি। নির্বাচন কমিশনের দেওয়া নির্বাচনী ট্রেন্ডস অনুযায়ী এখনও পর্যন্ত একক সংখ্যা গরিষ্ঠ দল হিসেবে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে গেরুয়া শিবির। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে কংগ্রেস। তৃতীয় স্থানে অসম গণপরিষদ। চতুর্থ স্থানে রয়েছে বদরুদ্দিন আজমলের অল ইন্ডিয়া ইউনাইটেড ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট।

চলতি বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিবেশী অসমের রাজনীতির মূল চরিত্রদের দেখে নিন এক নজরে। 

সর্বানন্দ সোনোয়াল- ভোট যুদ্ধ এগিয়ে রয়েছেন তিনি। ১৯৯২-১৯৯৯ সাল পর্যন্ত অসম ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি ছিলেন তিনি। ২০০১ সালে অসম গয়ণপরিষদের সদস্য হিসেবে প্রথমেই তাঁর বিধানসভায় প্রবেশ। লোকসভা নির্বাচনে জয়ী হয়ে সংসদেও গিয়েছিলেন তিনি। ২০১১ সালে বিজেপিতে যোগ দেন। ২০১৬র বিধানসভা নির্বাচনে মাজুলি আসন থেকে জিতে মুথ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন তিনি। 

হেমন্ত বিশ্বশর্মা- অসমের টানা চার বাারের বিধয়ক। রাজ্যরাজনীতিতে রীতিমত গুরুত্বপূর্ণ নাম। ২০০১ সালে জালুকবাড়ি থেকে কংগ্রেসের টিকিটে জিতেছিলেন। তারপর থেকেই অজয়ী তিনি। এবারও ভোট যুদ্ধে জালুকবাড়ি কেন্দ্র থেকে এগিয়ে রয়েছেন হেমন্ত বিশ্বশর্মা। ২০১৫ সালে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। বর্তমানে রাজ্যে প্রথম সারির বিজেপি নেতা তিনি। 

গৌরব গগৈ- প্রয়াত কংগ্রেস নেতা তরুণ গগৈএর পুত্র তিনি। ২০১৪ সাল থেকে রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। রাহুল গান্ধীর ব্রিগেডের অন্যতম সদস্য ছিলেন। বিধয়ক নন তিনি। কিন্তু রাজ্য রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে তাঁর। 

ল্যুরিন জ্যোতি গগৈ- নবগঠিত অসম জাতীয় পরিষদ বা এজেপির সভাপতি ল্যুরিন জ্যোতি গগৈ। কংগ্রেস ও বিজেপির প্রতিদ্বন্দ্বি তাঁর দল। ধুনিয়াজন ও নাহারকাটিয়া দুটি আসন থেকে ভোট যুদ্ধে সামিল হয়েছেন তিনি। অখিল গগৈএর রাজজোর দলের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেই নির্বাচনে লড়ছেন তিনি। 

বদরুদ্দিন আজমল- পেশায় ব্যবসায়ী। সুগন্ধী ব্যবসায়ী হিসেবেই পরিচিত ছিলেন। মধ্য প্রাচ্যে ২৭০টি সুগন্ধীর আউটলেট রয়েছে তাঁর। বর্তমান আসমে গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। হোজাইকেন্দ্র থেকে তিন বার সংসদে গেছেন তিনি। অল ইন্ডিয়া ইউনাইটেড জেমোক্রেটিক ফ্রন্টের প্রতিষ্ঠাতা। ২০০৬ সাল থেকেই অসমের রাজনীতিতে ধীরে ধীরে শক্ত করছেন জমি। চলতি বিধানসভা নির্বাচনে তিনি লড়াই করছেন কংগ্রেসের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে।