সংক্ষিপ্ত
- ঝাড়খণ্ড বিধানসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করা হল
- মাওবাদি অধ্যুষিত রাজ্যে ভোট হবে পাঁচ দফায়
- ভোট গ্রহণ শুরু হবে ৩০ নভেম্বর
- গণনা ও ফলঘোষণা হবে ২৩ ডিসেম্বর
দেবেন্দ্র ফড়নবিশ ও মোনহরলাল খট্টরের পর এবার জনতার দরবারে পরীক্ষায় বসছেন আরও এক বিজেপি শাসিত রাজ্য়ের মুখ্যমন্ত্রী, রঘুবর দাস। এদিন ঝাড়খণ্ড বিধানসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করা হল। মাওবাদি অধ্যুষিত রাজ্যে ২০১৪ সালের মতোই ভোট হবে পাঁচ দফায়। ভোট গ্রহণ শুরু হবে ৩০ নভেম্বর, আর গণনা ও ফলঘোষণা হবে ২৩ ডিসেম্বর। এছাড়া বাকি চার দফার ভোটের দিন হল৭, ১২, ১৬ ও ২০ ডিসেম্বর।
এদিন ভারতের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরা ঝাড়খণ্ডের ভোটের সুচি ঘোষমা করেন। ঝাড়কণ্ডের বর্তমান সরকারের মেয়াদ শেষ হচ্ছে ২০২০ সালের ৫ জানুয়ারি। তার আগেই পরবর্তী সরকার গঠনের কাজ সেড়ে ফেলতে চাইছে নির্বাচন কমিশন। এদিনের পর থেকেই রাজ্যে আদর্শ নির্বাচন বিধি লাগু হল বলে জানিয়েছেন সুনীল অরোরা। তিনি আরও জানিয়েছেন নির্বাচনে কত ব্যয় হচ্ছে তা নজরদারির জন্য প্রত্যেক জেলাতেই একজন করে আয়কর বিভাগের কর্তাকে নিয়োগ করা হবে।
৩০ নভেম্বর প্রথম ধাপে ভোটগ্রহণ হবে ১৩ টি বিধানসভা কেন্দ্রের, ৭ ডিসেম্বর দ্বিতীয় ধাপে ২০ টি, ১২ ডিসেম্বর তৃতীয় ধাপে ১৭টি বিধানসভা কেন্দ্রে, ১৬ ডিসেম্বর চতুর্থ ধাপে ১৫টি ও ২০ ডিসেম্বর শেষ পর্যায়ে বাকি ১৬টি বিধানসভা কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ করা হবে।
৮২ আসনের ঝাড়খণ্ড বিধানসভায় ২০১৪ সালে ৩৭টি আসনে জিতেছিল বিজেপি। এছাড়া এনডিএ শরিক এজেএসইউ পেয়েছিল ৫টি আসন। বাবুলাল মারান্ডির ঝাড়খণ্ড বিকাশ মোর্চা পেয়েছিল ৮টি আসন, ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা ১৯টি, কংগ্রেস ৭টি আসে জয়ী হয়। এছাড়া বিএসপি ও সিপিআই(এমএল) ১টি করে আসনে জয়ী হয়েছিল। ২০১৫ সালে বাবুলাল মারান্ডির জেভিএমপি দলের ৬জন বিধায়ক বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন।