সংক্ষিপ্ত
মহারাষ্ট্র বিধানসভার ফল বের হতেই মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ার নিয়ে দড়ি টানাটানি শুরু হল। শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরে জোর দিলেন ৫০-৫০ ফর্মুলার উপর। মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারেও বদলের ইঙ্গিত দিলেন। আর দেবেন্দ্র ফড়নবিশ পাল্টা বৈঠকে জানালেন ১৫ জন নির্দল বিধায়ক তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন।
মহারাষ্ট্র বিধানসভার ফল বের হতেই চরম দড়ি টানাটানি শুরু হল মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ার নিয়ে। শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরে সাংবাদিক বৈঠক করে জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ার নিয়ে দাবি ছাড়বেন না তাঁরা। আর তার পরই পাল্টা সাংবাদিক বৈঠক করে ১৫ জন নির্দলের ভয় দেখালেন দেবেন্দ্র ফড়নবিশ।
বিজেপির দাবি ছিল মহারাষ্ট্রে অর্ধেকের বেশি আসন জিতে তারা একক ভাবে সরকার গ়ার জায়গায় পৌঁছে যাবে। কার্যক্ষেত্রে তা তো হয়ইনি, উল্টে গতবারের ১২২ আসনও ধরে রাখতে পারছে না বিজেপি। জয় ও এগিয়ে তাকা মিলিয়ে ১০২ থেকে ১০৩টি আসন আসতে চলেছে তাদের জুলিতে। অন্যদিকে গতবারের আসনই প্রায় ধরে রেখেছে শিবসেনা।
সাংবাদিক বৈঠকে শিবসেনা প্রধান জানিয়েছেন, মানুষ বুঝিয়ে দিয়েছে তাদের জ্য কাজ না করলে ক্ষমতায় থাকা যাবে না। আর এর জন্য একজন দক্ষ মুখ্যমন্ত্রী বাছাই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি আরও জানান, অমিত শাহ-এর সঙ্গে বৈঠকে মন্ত্রীসভার আসন ভাগাভাগি নিয়ে ৫০-৫০ ফর্মুলা তৈরি হয়েছিল। একইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর পদেও অদলবদলের কথা হয়েছিল বলে ইঙ্গিত দেন তিনি। সরাসরি আদিত্য ঠাকরে-কে মুখ্যমন্ত্রী করার কথা অবশ্য বলেননি তিনি।
পাল্টা সাংবাদিক সম্মেলনে মহারাষ্ট্রের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ জানিয়ে দেন, শরিকদের সঙ্গে দর কষাকষিতে তাঁরা যাবেন না। তবে একই সহ্গে জানান, অন্তত ১৫ জন নির্দল প্রার্থী তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। সংখ্যাটা আরও বাড়তে পারে। তাঁর এই বক্তব্যশিবসেনাকে উদ্দেশ্য করেই বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
দুই এনডিএ শরিকের এই ঠান্ডা লড়াই শেষ পর্যন্ত কতদূর গড়ায় সেইদিকেই নজর রাখছে রাজনৈতিক মহল।