সংক্ষিপ্ত

  • চাই স্বচ্ছ ভোটগণনা। তাই ভিভিপ্যাটের পক্ষেই  সাওয়াল করছে ২১ টি দল।
  • নির্বাচন কমিশনের যুক্তি পর্যাপ্ত লোকবল না থাকায় ভিভি প্য়াট ব্য়বহার করা সমস্য়াজনক। 

গণনায় দেরি হয় হোক। ভিভি প্যাটের স্লিপই হোক গণনার ভিত্তি। এই আর্জি নিয়ে অন্ধ্র প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডুর নেতৃত্বে  ফের সুপ্রিম কোর্টে গেল ২১ টি দল।

নির্বাচন কমিশন তাঁদের হলফনামায় জানিয়েছিল যদি পঞ্চাশ শতাংশ ভিভিপ্যাটের স্লিপ গণনা করতে হয় তাহলেও ভোট গণনায় বিলম্ব হবে প্রায় ৫.২ দিন। এর উত্তরেই দলগুলি দাবি করছে স্বচ্ছ ভোটের ফল চাই, তাতে ৬দিন দেরি হলে হোক। নির্বাচন কমিশনের পক্ষের কৌসুলি এ এম সিংভির হলফনামার তীব্র বিরোধিতা করে রাজনৈতিক দলগুলির স্পষ্ট দাবি গণনায় লোক বাড়ালে সহজেই দিনসংখ্যা কমে যাবে। এই মর্মেই সু্প্রিমকোর্টে ফের আবেদনপত্র দাখিল করেছেন তাঁরা।

নির্বাচন কমিশনের বর্তমান বিধিতে বলা রয়েছে, একটু বুথের সামগ্রিক ভোট গণনার সঙ্গে ভিভিপ্যাডের স্লিপ মিলিয়ে দেখাটা 'আলঙ্কারিক'। এখানেই আপত্তি পিটিশনরাদের। তাঁদের স্পষ্ট দাবি, "ভিপি প্যাডকে আলংকারিক হিসেবে ব্যবহার করলে গোটা নির্বাচনই প্রহসনে পরিণত হবে। তাতে সুপ্রিম কোর্টের পূর্বতন নির্দেশের সম্মানও নষ্ট হয়। জনতাও নির্বাচনের স্বচ্ছতা সম্পর্কে প্রত্যয় হারাবে।"

প্রসঙ্গত গত ২৫ মার্চ সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ রীতিমতো ভর্ৎসনার সুরে কমিশনকে জিজ্ঞাসা করেন, ভোট প্রক্রিয়ায় ভিভিপ্যাটের বাড়ানো হচ্ছে না কেন, উত্তর দিকে হবে ১ এপ্রিলের মধ্যে।  নির্বাচন কমিশন যুক্তি দিয়েছিল লোকবলের অভাব। কমিশন যুক্তির স্বপক্ষে ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিকল ইন্সটিটিউটের একটি সমীক্ষাও তুলে ধরে। সমীক্ষার নমুনা হিসেব ১৩ লক্ষ ইভিএম ভোটের মধ্যে থেকে ৪৭৯টি স্যাম্পল তুলে এনে দেখানো হয়। এই স্যাম্পেলকে খুবই ক্ষুদ্র বলে কমিশনকে পালটা চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ছে বিরোধীরা।