সংক্ষিপ্ত
- রাজ্যগুলিকে আবারও সতর্ক করল নির্বাচন কমিশন
- দলীয় জয়ে বিয়জ উৎসবে না
- শাস্তি দেওয়া হবে বলেও বার্তা কমিশনের
- কমিশনের নির্দেশের পরেই ফাঁকা কার্যালয় সংলগ্ন এলাকা
আগেই বিজয় মিছিল নিষিদ্ধ করে ছিল নির্বাচন কমিশন। একই সঙ্গে গণনা কেন্দ্রের সামনে জমায়েতের ওপরেও নিষেধাজ্ঞ জারি করা হয়েছিল। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রুখতেই এই নির্দেশ জারি করা হয়েছিল। কিন্তু ভোট গণনার দিন দেখা গেল সম্পূর্ণ অন্য ছবি। সময় যত গড়িয়ে দলীয় প্রার্থীদের জয় যত সুনিশ্চি ততই ভিড় বেড়েছে গণনা কেন্দ্রের সামনে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশেন গণনার দিনে রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলের মুখ্য সচিবদের চিঠি লিখে 'জরুরিভাবে বিজয় মিছিল উদযাপন নিষিদ্ধ করতে ' নির্দেশ দিয়েছে। একই সঙ্গে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে দায়বদ্ধ আধিকারিক ও কর্মকর্তাদের অবিলম্বে বরখাস্ত করতে হবে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ফৌজদাবি ও শৃঙ্খলাবদ্ধ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ভোট গণনা দলীয় প্রার্থীদের জয় নিশ্চত হতেই অসম থেকে কেরল ও পশ্চিনবঙ্গ থেকে তামিলনাড়ু -প্রায় সর্বত্রই একই ছবি দেখা গেছে। জয়ী প্রার্থীদের অনুগামীদের ভিড়। বিজয় উল্লাস। আর সেই উল্লাসের সময় মানা হয়নি করোনাভাইরাস সংক্রান্ত নিয়ম বিধি। সকাল থেকে ফল প্রকাশের পর ডিএমকে অনুগামীদের ভিড় বাড়ছিল চেন্নাই সহ রাজ্যের একাধিক দলীয় কার্যালয়ের সামনে। যেখানে জড়ো হয়েছিলেন আট থেকে আশি। পুরুষ মহিলা নির্বিশেষেই জমায়েত করেছিল। পোড়ানো হচ্ছিল দেদার আতশবাজি। আর এজাতীয় ভিড়গুলিতে কোনও রকম করোনাভাইরাস সংক্রান্ত নিয়মবিধি মানা হয়নি। আই এছবি সামনে আসার পরই নির্বাচন কমিশন তামিলনাড়ু বাংলাসহ একাধিক রাজ্যের মুখ্যসচিবদের কড়া চিঠি লেখেন।
আর তারপরই ভিড় সরানে রীতিমত তৎপর হয় রাজ্য প্রশাসন। নিমেশের মধ্যেই পথে নামে পুলিশষ তামিলনাড়িতে দেখা যায় পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ফাঁকা হয়ে যায় ডিএমকে অনুগামী ও কর্মী সমর্থকদের ভিড়। চেন্নাইতে ডিএমকে-র দলীয় কার্যালয়ের সামনে মোতায়েন করা হয় পুলিশ। অন্যদিকে এই রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকেও দলীয় কর্মীদের জানিয়ে দেওয়া হয়ে তাঁরা যেন করোনা কালে কোনও রমক বিজয় উৎসব পালন না করেন। তবে নির্বচন কমিশনের কড়া চিঠির পেরও একাধিক জায়গায় দলীয় কর্মী সমর্থকরা জড়ো হচ্ছেন। বিজয় উল্লাস করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। যদিও ডিএমকে নেতা এমকে স্ট্যালিন দলীয় কর্মী সমর্থকদের বিজয় উৎসব করতে নিষেধ করেছেন। তিনি বলেছেন করোনাভািরাসের এই মরামারির জন্য আপাতত সব অনুষ্ঠান বন্ধ রাখতে।