সংক্ষিপ্ত

  • লোকসভা নির্বাচন ২০১৯-এর ভোট গণনার সঙ্গেই হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের আটটি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন
  • বিধানসভা উপনির্বাচনে ৪টি আসন জিতে নিল বিজেপি
  • ভোট প্রাপ্তির শতাংশেও এগিয়ে তারাই

 

লোকসভা নির্বাচন ২০১৯-এর ভোট গণনার সঙ্গেই এদিন একই সঙ্গে রাজ্যের ৮টি বিধানসভা উপ-নির্বাচনের ভোট গণনাও হয়েছে। আর সেখানে লোকসভা ভোটের প্রবণতা ধরেই অনেক শক্তি বৃদ্ধি ঘটিয়েছে বিজেপি। বস্তুত এই আট কেন্দ্রে ভোট প্রাপ্তির শতাংশ হারের নিরিখে তৃণমূলকে টেক্কা দিয়েছে বিজেপি। তৃণমূল যেখানে ৩৮ শতাংশ ভোট পেয়েছে, সেখানে বিজেপির প্রাপ্ত ভোট ৪০ শতাংশ। আর আসন সংখ্যাতেও বিজেপি ছাড়িয়ে গিয়েছে তৃণমূলকে।

আট আসনের মধ্যে তিনটি আসন দখল করেছে তৃণমূল। ইসলামপুরে জয়ী হয়েছেন তৃণমূলের আব্দুল করিম চৌধুরী। নওদা আসনে জিতেছেন সাহিনা মুমতাজ বেগম। আর উলুবেড়িয়া আসনে ইদ্রিশ আলি।

কিন্তু, বিজেপির খাতায় গিয়েছে মোট চারটি কেন্দ্র। এবার ফোকাসে ছিল ভাটপাড়া কেন্দ্র। তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি-তে যোগ দিয়ে অর্জুন সিং ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রে প্রার্থী হয়েছিলেন। তাঁর ছেড়ে যাওয়া আসনে বিজেপি প্রার্থী করেছিল অর্জুন পূত্র পবন সিং-কে। তাঁর বিরুদ্ধে তৃণমূল প্রার্থী হয়েছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী মদন মিত্র। কিন্তু পোড় খাওয়া রাজনীতিক মদনকে প্রথমবারই ভোটে দাঁড়িয়ে পরাজিত করেছেন পবন।   

এমনকী দার্জিলিং বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপির নিরোজ তামাং জিম্বার বিরুদ্ধে পরাজিত হয়েছেন মমতার আশীর্বাদ পুষ্ট প্রার্থী বিনয় তামাং। বিমল গুরুংকে সিয়ে তাঁকেই পাহাড়ে সঙ্গী বেছে নিয়েছিলেন মমতা। কিন্তু তাঁকে প্রত্যাখ্যান করেছে পাহাড়।

সিপিএম ছেড়ে বিজেপি-তে যোগ দিয়ে মালদা উত্তর কেন্দ্রে প্রার্থী হয়েছিলেন খগেন মুর্মু। তাঁর ছেড়ে যাওয়া হবিবপুর বিধানসভা কেন্দ্রে জিতেছেন বিজেপি প্রার্থী জুয়েল মুর্মু। আর কৃষ্ণগঞ্জে জিতেছেন বিজেপি প্রার্থী আশিস কুমার বিশ্বাস। এখানে তৃণমূল বিধায়ক খুন হয়েছিলেন।

লোকসবার মতো বিদানশভা উপনির্বাচনেও একটিও আসনে সুবিধা করতে পারেনি সিপিএম। তবে কংগ্রেস ধরে রেখেছে কান্দি আসনটি। এখানে জয়ী হয়েছেন কংগ্রেসের সইফুল আলম খান।

২০১৬ বিধানসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি ৩টি আসন পেয়েছিল। এই উপনির্বাচনে বিজেপি আরও ৪টি আসন পেল। ফলে সব মিলিয়ে বিধানসভায় বিজেপির বিধায়কের সংখ্যা দাঁড়ালো ৭। এই উপনির্বাচন ও লোকসভা নির্বাচনের ফল ২০২১-এ রা আরেক পালাবদলের ইঙ্গিত বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।