সংক্ষিপ্ত
দুশো জন লেখক একজোট হয়ে সমস্বরে বলে উঠলেন 'না'। লোকসভা ভোটের আবহে ঘৃণার রাজনীতির আবার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ৃালেন ভারতীয় বুদ্ধিজীবীরা।
দুশো জন লেখক একজোট হয়ে সমস্বরে বলে উঠলেন 'না'। লোকসভা ভোটের আবহে ঘৃণার রাজনীতির আবার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ৃালেন ভারতীয় বুদ্ধিজীবীরা।
এই বুদ্ধিজীবীদের তালিকায় রয়েছেন রোমিলা থাপার, অমিতাভ ঘোষ, অরুন্ধতী রায়, কেকি দারুওয়ালা, অমিত চৌধুরী, গিরিশ কারনাডের মতো দুশো গুণীজন। ভারতবর্ষে বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্য ফিরিয়ে আনতে, ঘৃণার আবহকে দূরে সরাতে ভোট দিতে আবেদন করেই তৈরি হয়েছে এই আবেদনপত্রের খসড়া। সেই খসড়া সই করেই ইন্ডিয়ান রাইটার্স ফোরামের পক্ষে মেলে বার্তাটি পাঠিয়েছেন কে সচ্চিদানন্দন ও গীতা হরিহরণ।
খুব স্বাভাবিক ভাবেই বোঝা যাচ্ছে নাম না করে বুদ্ধিজীবীরা গেরুয়া শিবিরের বিপক্ষেই ভোট দিতে ইঙ্গিত করছেন। প্রতিবেদনে লেখা হয়েছে- ঘৃণার রাজনীতিকে সুকৌশলে ব্যবহার করা হচ্ছে দেশে ভাঙন ধরানোর অভিপ্রায়ে। লেখক, শিল্পী, সুরকার, চলচ্চিত্র পরিচালক-সহ তামা বুদ্ধিজীবীরা অস্তিত্বসংকটে ভুগছেন। মুখ খুললেই তাঁদের হেনস্থা করা হচ্ছে। তাঁদের নামে মিথ্যে অভিযোগ আনা হচ্ছে। আমরা এই অবস্থার পরিবর্তন চাই। আমরা চাই দেশের মহিলা, দলিত, আদিবাসী সমাজের বিরুদ্ধে ক্রমবর্ধমান হিংসাকে রুখতে। আমরা চাই সকলের জন্য শিক্ষা, শিক্ষান্তে চাকরির ব্যবস্থা হোক। সকলে স্বাস্থ্য সুরক্ষার পভে আমরা। মানুষের মানুষে ভেদাভেদের বিপক্ষে ভোট দিন। ভোট দিন নিষেধা়জ্ঞার রাজনীতির বিরদ্ধে। তবেই সংবিধানের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী দেশ রক্ষা সম্ভব।"
প্রসঙ্গত, শুধু লেখক সংঘই নয়, ১০৩ জন চলচিত্র পরিচালক এর আগে সরাসরি বিজেপি বিরোধী ভোটের ডাক দিয়েছিলেন।
অন্য দিকে, মোদী সরকারের বিরুদ্ধে এর আগেও মুখ খুলেছেন অমর্ত্য সেন এর মতো অর্থনীতিবিদও। চলতি বছরেই বিশ্বভারতীতে আয়োজিত অশোক রুদ্র স্মারক বক্তৃতায় তিনি সরাসরি বলেছিলেন, এই সরকারের জমানায় সব থেকে অবহেলিত নিম্মবর্গের মানুষ। তারা জানেই না কী ভাবে পুলিশি ঝামেলা সামাল দিতে হয়। পর্যাপ্ত খাবার নেই তাঁদের ঘরে। ওই একই মঞ্চ থেকে তোপ দেগেছিলেন অর্থনীতিবিদ্ প্রণব বর্ধনও। আয়ুস্মান ভারত প্রকল্পের মধ্যে দিয়ে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার বেসরকারিকরণ হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছিলেন তিনি।