সংক্ষিপ্ত
- সৌরজগতের প্রথম এবং ক্ষুদ্রতম গ্রহ
- ভোরের আকাশে একে দেখা যায় তখন এর নাম এপোলো
- সন্ধ্যার আকাশে উদিত হয় তখন এর নাম দেয় হার্মিস
- বুধকে কল্পনা করা হয় দুই-স্বভাব বিশিষ্ট একটি গ্রহ হিসেবে
সৌরজগতের প্রথম এবং ক্ষুদ্রতম গ্রহ। এটি সূর্যের সর্বাপেক্ষা নিকটতম গ্রহ। এর কোনও উপগ্রহ নাই। এটি সূর্যকে প্রতি ৮৮ দিনে একবার প্রদক্ষিণ করে। ভৌত বৈশিষ্ট্যের দিক দিয়ে বুধ অনেকটা চাঁদের মতো কারণ চাঁদের মতো এই গ্রহেও রয়েছে প্রচুর খাদ। গ্রহটির কোনও স্থিতিশীল বায়ুমণ্ডল নেই, নেই কোনও প্রাকৃতিক উপগ্রহ। প্রাচীন ইতিহাসে বুধ গ্রহের প্রথম উল্লেখ পাওয়া যায় খ্রিস্টপূর্ব ৩০০০ অব্দে। খ্রিস্টপূর্বাব্দ সপ্তম শতাব্দী বা তারও আগে ব্যাবিলনীয়রা এই পর্যবেক্ষণ করেছিল। তারা এই গ্রহকে বলত নাবু বা নেবু। এই নামকরণ তারা করেছিল তাদের পুরাণ অনুসারে দেবতাদের বার্তাবাহকের নামে। প্রাচীন গ্রিকরা এর দুইটি নাম দেয়। যখন ভোরের আকাশে একে দেখা যায় তখন এর নাম দেয় এপোলো; আর যখন সন্ধ্যার আকাশে উদিত হয় তখন এর নাম দেয় হার্মিস। অবশ্য গ্রীকরাই প্রথম বুঝতে পেরেছিল যে এপোলো ও হার্মিস নামীয় এই দুটি বস্তু আসলে একই। পিথাগোরাস প্রথম এই প্রস্তাবনাটি করেছিলেন।
আরও পড়ুন- বাড়িতে চলছে বিয়ের প্রস্তুতি, লগ্ন অনুযায়ী জেনে নিন কেমন হবে আপনার জীবনসঙ্গী
জ্যোতিষশাস্ত্রে বুধকে কল্পনা করা হয় দুই-স্বভাব বিশিষ্ট একটি গ্রহ হিসেবে। যদি রাশিচক্রের বারোটি ভাবের মধ্যে লগ্নে বুধের প্রভাব থাকে তখন অনুমান করা হয়, সেই জাতক বা জাতিকাও দ্বি-স্বভাববিশিষ্ট হবে। আর যদি সেই বুধ চতুর্থ ভাবকে প্রভাবিত করে তখন ধরে নিতে হবে জাতকের একাধিক গৃহ বা প্রাথমিক শিক্ষার বিষয়ে কোনও না কোনও নিশ্চিত পরিবর্তন ঘটবে। হয়তো প্রথমে এক বিষয় নিয়ে পড়ে পরে সেই জাতকই অন্য বিষয়ে আগ্রহ বা উন্নতি করতে পারেন। কারণ রাশিচক্রের বারোটি ভাবের মধ্যে চতুর্থ ভাবটি গৃহ এবং প্রাথমিক শিক্ষার স্থান বলেই জ্যোতিষশাস্ত্র মনে করেন।
আরও পড়ুন- বুধবার সারাদিন কেমন কাটবে আপনার,দেখে নিন আজকের রাশিফল
যদি জাতক-জাতিকার দশম ঘরে বুধের প্রভাব থাকে, তবে কোনও কাজ ধারাবাহিকভাবে জাতক-জাতিকা করতে পারেন না।
জীবন শুরুর প্রথম দিকে জাতক বা জাতিকার মধ্যে সব কিছুতেই অনিহা দেখা যায়। তবে বয়ঃসন্ধির সঙ্গে সঙ্গে বদল যায় এদের মত। পরবর্তীকালে জ্ঞান অর্জনের তীব্র আগ্রহ দেখা যায়।
আরও পড়ুন- বাঙালি বিবাহের বৈদিক আচার, শাস্ত্রীয় প্রথা ও রীতি
বুধের প্রভাবের ফলে জাতক-জাতিকা স্বভাবগত ভাবে খুব কোমল হন তবে আপাতদৃষ্টিতে দেখলে কঠোর মনোভাবের মনে হয়।
এই ব্যক্তিরা অত্যন্ত কর্মঠো হয়ে থাকেন। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এদের চেহাড়া শীর্ণকায় হয়।