সংক্ষিপ্ত
জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুযায়ী হীরে শুক্রগ্রহকে তুষ্ট রাখার জন্য ধারণ করা হয়। কিন্তু এমন অনেকেই রয়েছেন যাদের হীরা পরার কোনও প্রয়োজন নেই।
মহিলাদের প্রিয় রত্নগুলির মধ্যে অন্যতম হীরা। অনেকেই ভালোবাসের হীরে পরতে। এখন হীরার গয়নার চল অনেকটাই বেড়েছে। আগে ধনী ব্যক্তিদের বাড়িতেই শুধু হীরার গয়না পরার চল ছিল। কিন্তু এখন অনেকেই হীরা পরেন। বিশেষত চাকুরীজীবি মহিলাদের কাছে অত্যান্ত জনপ্রিয় হীরের গয়না।
জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুযায়ী হীরে শুক্রগ্রহকে তুষ্ট রাখার জন্য ধারণ করা হয়। কিন্তু এমন অনেকেই রয়েছেন যাদের হীরা পরার কোনও প্রয়োজন নেই। তাই কিন্তু তারা যদি সামান্য হীরের গয়নাও পরেন তাহলে ফল হতে পারে মারাত্মক। কথাই রয়েছে হীরা সবার শ্যুট করে না।
জ্যোতিষশাস্ত্র অনুযায়ী শুক্র গ্রহকে শক্তিশালী করার জন্য ও গ্রহের অশুভ প্রভাব কমাতেই হীরা পরা হয়। একজন ব্যক্তি নিজের জীবনে ব্যক্তিগত সুখ ও পারিবারিক সুখের জন্য হীরা পরেন। অনেক সময় হীরা বদলে দিতে পারে বিবাহিত জীবন। সঠিক রাশিয়ার ব্যক্তিরা নিয়ম মেনে হীরা পরলে উন্নতির শিখরে উঠতে পারেন। কিন্তু তা নাহলে তলিয়ে যেতে হতে পারে অতল গহ্বরে।
হীরা পরবেন বৃষ, মিথুন, কন্যা, মরক, তুলা ও কুম্ভ রাশির জাতকরা। এদের ক্ষেত্রেই হীরা শুভ ফল প্রদান করে। তুলা ও বৃষ- উভয়েরই অধিপতি শুক্র। কখনই হীরা পরা উচিৎ নয় মেষ, সিংহ, ধনু, মীন, সূর্ষ রাশিরা জাতকদের। বৃশ্চিক রাশির জাতকরা ভুলেও হীরা পরবেন না।
হীরার আংটি পরার নিয়ম হল - হীরার আংটি পরলে তা ২০-২৫ দিনের মধ্যেই প্রভাব দেখাতে শুরু করে। কিন্তু এই আংটি ৬-৭ বছর অন্তর পরিবর্তন করা জরুরি। হীরা পরার আগে দুধ গঙ্গাজল, মিশ্রি ও মধু দিয়ে শোধন করুন। শুক্রবার সূর্যদয়ের পরই তা পরবেন। আংটি পরার আগে দেবী লক্ষ্মীর পায়ে তা রাখবেন। প্রতিদিন শুক্রদেবের মন্ত্র জপ করুন।