সংক্ষিপ্ত

  • এই বাস্তু শব্দটি এসেছে বস্তু থেকে
  • স্থাপত্যশৈলী উপবেদের অন্যতম বিষয় বাস্তু
  • বর্তমানকালে বাস্তু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আমাদের দৈনন্দিন জীবনে
  • সার্বিক উন্নতি ও কু-নজর মুক্ত বাড়ি রাখতে মেনে চলুন বাস্তুর এই নিয়মগুলি

বাস্তুশাস্ত্র, এই বাস্তু শব্দটি এসেছে বস্তু থেকে। বাস্তু বলতে সব কিছুকেই বুঝায়- তা একটি স্থান হতে পারে- কিংবা একটা বাড়িও হতে পারে। ভারত উপমহাদেশে প্রায় সভ্যতার সূচনালগ্ন থেকে স্থাপত্য নির্মাণকে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। অশুভ শক্তি বা কু-দৃষ্টির কারণে বাড়িতে বসবাসকারী সদস্যদের সমস্যা হয়। কু-দৃষ্টির ফলে যেমন স্বাস্থ্যহানী হয়, একই রকমভাবে আর্থিক সমস্যাও দেখা দিতে পারে। পাশাপাশি কাজে বিঘ্নও দেখা দেয়। মনে করা হয়, বাস্তুতে কিছু নিয়ম পালন করে এই কু-নজর এড়ানো যায় সহজেই। বর্তমানকালে বাস্তু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আমাদের দৈনন্দিন জীবনে। সার্বিক উন্নতি ও কু-নজর মুক্ত বাড়ি রাখতে মেনে চলুন বাস্তুর এই নিয়মগুলি। 

আরও পড়ুন- ভাগ্য বদলে ফেরান সৌভাগ্য, সব সময় সঙ্গে রাখুন এই বস্তুগুলি

টেবিলে সব সময় বোতলে বা গ্লাসে জল রেখে তা ঢেকে রাখুন। রাতে ঘর একেবারে অন্ধকার করে রাখবেন না। শুতে যাওয়ার সময় মাথার কাছে একটি লাল কাপড়ের টুকরো রেখে দিন। প্রতি সোমবারে বাড়ির প্রধাণ দরজায় রুদ্রাক্ষের মালা ঝুলিয়ে রাখুন। সন্ধ্য়ে বেলায় আবার সেটি ঠাকুরের স্থানে রেখে দিন। বাড়ির উত্তর-পূর্ব কোনে তুলসী গাছ রাখুন। প্রতিদিন নিয়ম করে তাতে জল দিন। এর ফলে বাস্তুতে নেতিবাচক শক্তি প্রবেশ করতে পারে না। বাড়ির প্রবেশদ্বারে পাঁচমুখি হনুমানজীর ছবি রাখুন। প্রতিদিন সকাল-সন্ধ্যার ধূপ দেখান। এদের কু-দৃষ্টির হাত থেকে আপনার বাস্তুকে রক্ষা করে। সন্ধ্য়ের আগেই বাড়ি-ঘর পরিষ্কার করে ফেলুন। সন্ধ্যের পর ঘর ঝাট দেওয়া বা পরিষ্কার করা উচিৎ নয়।

আরও পড়ুন- জন্মছকে বুধের প্রভাব, জ্যোতিষ মতে জানুন কোন দিকে ঘটে পরিবর্তন

সভ্যতার শুরু থেকেই ভারতীও উপমহাদেশে শিল্পচর্চাকে ঊর্ধ্বে স্থান দেয়া হয়েছে। স্থাপত্যশৈলী উপবেদের অন্যতম বিষয়। স্থাপত্য উপবেদ বা স্থাপত্যশাস্ত্র চারটি উপবেদের অন্যতম।  প্রায় ৫০০০ বছর ধরে বাস্তুবিদ্যা কালের বিরুদ্ধে নিরন্তর সংগ্রামে জয়ী হয়েছে। স্থাপত্য উপবেদ বা স্থাপত্য শাস্ত্রের সূত্রগুলো পরবর্তিকালে 'বাস্তুশাস্ত্র' শিরোনামে লিপিবদ্ধ হয়েছে। বৈদিক যুগে স্থাপত্য বিজ্ঞান মূলত মন্দির নির্মাণে ব্যবহৃত হত। পরবর্তীতে তা বিস্তার লাভ করে। প্রাচীন যুগে স্থপতিরা কেবল নিছক তৈরির কাজ করতেন না, নির্মাণশৈলী ও পরিকল্পনার বিষয়টিও তদারক করতে হত তাঁদের।