সংক্ষিপ্ত

  • ৭ মে বৃহস্পতিবার বৈশাখ মাসের শেষ পূর্ণিমা
  • এই পূর্ণিমাকে বলা হয় বুদ্ধ পূর্ণিমা 
  • বুদ্ধ পূর্ণিমায় কী কী শুভ কাজ করা যায়
  • এই তিথিতে কিছু নিয়ম পালনে কাটিয়ে উঠতে পারে সকল বাধা

৭ মে বৃহস্পতিবার বৈশাখ মাসের শেষ পূর্ণিমা। ভগবান বুদ্ধের জন্মবার্ষিকীও এই তারিখে পালিত হয়। শাস্ত্র মতে এই পূর্ণিমা দিবসে বিশেষ ধর্মীয় অনুষ্ঠান করার রীতি রয়েছে। এই পূর্ণিমা বৌদ্ধ পূর্ণিমা নামেও পরিচিত। এই দিনে কিছু নিয়ম পালন করে সংসারের সুখ ও সমৃদ্ধি ফেরাতে পারবেন। বুদ্ধ পূর্ণিমায় কী কী শুভ কাজ করা যায় তা এখানে জেনে নিন

আরও পড়ুন- বৃহস্পতিবার বৈশাখ মাসের শেষ পূর্ণিমা, নিয়ম মেনে এদিনেই কাটিয়ে উঠুন সকল বাধা

তাই পূর্ণিমার এই তিথিতে বিশেষ কিছু নিয়ম পালনে মাধ্যমে কাটিয়ে উঠতে পারে সকল বাধা ও বিপত্তি। শাস্ত্র মতে মনে করা হয় বুদ্ধ পূর্ণিমা তিথিতে নিষ্ঠাভরে ব্রত পালন করলে সহজেই ঈশ্বরের কৃপাদৃষ্টি পাওয়া সম্ভব হয়। এর ফলে সংসারের যাবতীয় বাধা ও বিপত্তি দূর হয়। আর্থিক সমস্যা কাটিয়ে ওঠাও সম্ভব। নানা রোগ-ব্যধি থেকে মুক্তি মেলে। এই কারণেই এই বিশেষ তিথিতে বহু হিন্দু সম্প্রদায় বাড়িতে বিশেষ পুজোর আয়োজন করে থাকেন আর্থিক উন্নতির জন্য। তবে এই পূর্ণিমার রীতি পালনের জন্য কয়েকটি বিশেষ নিয়ম করলে সহজেই বাধা বিপত্তি থেকে মুক্তি পাবেন। জেনে নেওয়া যাক সেই নিয়মগুলি।

আরও পড়ুন- মে মাস কেমন প্রভাব ফেলবে কন্যা রাশির উপর, দেখে নিন

মনে করা হয় বুদ্ধ পূর্ণিমার দিনে গঙ্গাস্নান করেন তাঁদের সকল মনঃষ্কামনা পূরণ হয়। ব্রহ্মাবৈবর্ত পূরাণ অনুসারে বুদ্ধ পূর্ণিমায় ভগবান শ্রীবিষ্ণু গঙ্গাস্নান করেন। তাই এইদিনে গঙ্গাস্নান করা বিশেষ শুভ বলে মনে করা হয়।  বিশেষ এই তিথি বিষ্ণুদেবের আরাধনার দিন হিসেবে মনে করা হয়। তাই এই পূর্ণিমায় লক্ষ্মীর আরাধনার পাশাপাশি ভগবান শ্রীবিষ্ণুর আরাধনা করলে ঈশ্বরের কৃপাদৃষ্টি সংসারের উপর বজায় থাকে বলে মনে করা হয়।

এই বিশেষ তিথিতে যদি কেউ কল্পবাসের প্রথা পালন করে কোনও দুঃস্থ ব্যক্তিকে কিছু দান করেন তবে শুভ ফললাভের সম্ভাবনা থাকে বলে মনে করা হয়। বাড়িতে পুজোর আয়োজন করে সন্ধ্যায় তুলসী মঞ্চে ঘিয়ের প্রদীপ জ্বালিয়ে আরতি করুন। ইষ্টদেবতার উদ্দেশ্যে সিন্নি প্রদান করুন। সকল বাধা কাটিয়ে আর্থিক উন্নতি ফিরে আসবে আপনার সংসারে।