সংক্ষিপ্ত

  • আগামী ৫ এপ্রিল রাত ৯ টায় প্রদীপ জ্বালানোর আবেদন করেন নরেন্দ্র মোদি
  • করোনার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ লড়াই করার অঙ্গীকারের আবেদন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী
  • কেন প্রধানমন্ত্রী ৫ এপ্রিল এই তারিখটিই বেছে নিলেন
  • কেন রাত ৯ টার সময়েই আলো জ্বালানোর নির্দেশ দিলেন তিনি

করোনার বিরুদ্ধে দেশজুড়ে লড়াই চলছে। লকডাউন পরিস্থিতিতে অনেকেই বাড়িতে আটকে পড়ে অস্বস্তি বোধ করছেন। সেই সকলের কারণে মনোবল, ও আত্মবিশ্বাস বাড়াতে সকল দেশবাসীকে মোমবাতি, প্রদীপ জ্বালানোর আবেদন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আগামী ৫ এপ্রিল রাত ৯ টা থেকে টানা ৯ মিনিট আলো নিভিয়ে মোমবাতি জ্বালিয়ে বা টর্চ জ্বালিয়ে করোনার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ লড়াই করার অঙ্গীকারের আবেদন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী৷ 

আরও পড়ুন- শনিবার চৈত্র মাসের শুক্লপক্ষের একাদশী, সমৃদ্ধি লাভে এদিনে পালন করুন এই নিয়মগুলি

আরও পড়ুন- এই মাস কেমন প্রভাব ফেলবে মীন রাশির উপর, দেখে নিন

কেন প্রধানমন্ত্রী ৫ এপ্রিল এই তারিখটিই বেছে নিলেন! কেন রাত ৯ টার সময়েই আলো জ্বালানোর নির্দেশ দিলেন তিনি! এই বিষয়ে দুর্দান্ত জ্যোতিষশাস্ত্রের ব্যাখ্যা দিয়েছেন জ্যোতিষবিশারদ জয় মাদান। জেনে নেওয়া যাক এই বিষয়ে কী ব্যাখ্যা দিয়েছেন তিনি। জ্যোতিষবিশারদ জয় মাদান এর মতে জ্যোতিষবিজ্ঞান হল ভবিষ্যৎ সম্পর্কে, পথ প্রদর্শক, প্রতিকার এই তিন বিষয়েই জ্ঞান প্রদাণ করে। তিনি জানিয়েছেন, ৯ সংখ্যা মঙ্গলের সংখ্যা। ৯ টার সময় ৯ মিনিট এর অর্থ মঙ্গলের দ্বিগুন এফেক্ট। আর মঙ্গলের প্রভাব বৃদ্ধি পাওয়া মানে মানসিক শক্তি বৃদ্ধি পাওয়া। কোনও কাজে লড়াই করার চেষ্টা বৃদ্ধি পাওয়া, সেই সঙ্গে শারীরিক প্রতিরোধ ক্রিয়া বৃদ্ধি পায়। সর্বোপরি আপনার সার্বিক শক্তির বিকাশ ঘটায় মঙ্গল গ্রহ। আর ৫ তারিখে চন্দ্রের অবস্থান থাকবে সিংহ রাশিতে। সিংহ হল সূর্ষের রাশি। আর এই কারণেই যখন আপনি ৫ তারিখে রাত ৯টায় আলো জ্বালাবেন তখন তা আপনার মানসিক শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে। সেই সঙ্গে দেশের ঐক্যতা ও শক্তিও বৃদ্ধি করবে।

এই সময়ের যোগে এই কাজ দেশের জনসাধারণের মধ্যে তৈরি হওয়া বিরোধী মনোভাবের উপরেও প্রভাব ফেলতে সক্ষম। এছাড়াও আলো জ্বালিয়ে আপনি যদি মন্ত্র উচ্চারণ করেন তার ফলাফল হবে অপরিসীম। তাই এই সময় প্রদীপ জ্বালানোই সব থেকে ভালো। কারণ এই সময় ইলেক্ট্রিকের আলো বেশি ব্যবহার না করাই ভালো কারণ এর ফলে রাহুর উপর প্রভাব বেশি পড়বে। আর এই সময় রাহুর প্রভাব কম করাটাই প্রধান উদ্দেশ্য। এই প্রদীপ জ্বালানোর ক্ষেত্রেও বেশ কিছু নিয়মের উল্লেখ করেছেন জ্যোতিষবিদ জয় মাদান, তাঁর মতে
১) শারীরিক উন্নতির জন্য সরষের তেলের প্রদীপ জ্বালানো সবথেকে ভালো
২) যদি আপনি ঘিয়ের প্রদীপ জ্বালান তার মধ্যে অবশ্যই সামান্য কর্পূর দিয়ে নেবেন।
৩) যদি আপনি তিলের তেল এর প্রদীপ  জ্বালান তার মধ্যে একটা লবঙ্গ দিয়ে নিন এর ফলে আপনি আপনার পরিবারকে জীবানু ও ছড়িয়ে পড়া ভাইরাসের থেকে রক্ষা করতে পারবেন।
৪) যদি আপনি মোমবাতি জ্বালান তবে তার মধ্যে কিছুটা জোয়ারের দানা দিয়ে নিন এর ফলে রাহুর প্রভাপ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে ৫ এপ্রিল রাত ৯টায় রাহু সিংহ রাশির নবম ঘরে অবস্থান করবে। আর এই কয়েকটি নিয়ম যদি আমরা সমগ্র দেশবাসী পালন করি তাহলে পুরো ব্রহ্মাণ্ডে সেই সময় এই নবম ঘর সক্রিয় হবে। যার ফলে সমগ্র দেশ জটিল পরিস্থিতির বিরুদ্ধে লড়াই করার শক্তি অর্জণ করতে সক্ষম হবে। এর ফলে যেমন আমাদের ভিতরে লুকিয়ে থাকা অন্ধকারকে ধ্বংস করবে সেই একইভাবে বাইরের অন্ধকারকেও দূর করতে সাহায্য করবে।