সংক্ষিপ্ত

জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে চিনি সংক্রান্ত প্রতিকার গৃহ, পরিবার এবং কর্মক্ষেত্রে সাফল্য এনে দেয়। যেখানে চিনি খাবারে মিষ্টি আনে। একই সঙ্গে এটি জীবনে মাধুর্য ও সুখ নিয়ে আসে।

চিনি খাওয়ার অনেক উপকারিতা ও অপকারিতা বলা হয়েছে। কিন্তু আপনি কি জানেন যে চিনি সংক্রান্ত কিছু কৌশলও প্রচুর ব্যবহৃত হয়। এই কৌশলগুলি বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের জন্য ব্যবহার করা হয়। এরই সঙ্গে বলা হয় গ্রহের সাথে চিনির গভীর সংযোগের কথাও। কথিত আছে চিনির ব্যবহারে কুণ্ডলীর গ্রহের দোষও দূর হয়। আসুন জেনে নিই চিনি সংক্রান্ত পাঁচটি প্রতিকার সম্পর্কে।

বাড়িতে থাকা সামান্য চিনি দিয়ে গ্রহদোষ দূর করা যায়। জ্যোতিষশাস্ত্রে এর বিধান রয়েছে। কীভাবে চিনি কাজে লাগিয়ে গ্রহদোষ কাটাবেন, দেখে নিন তার উপায়-

১. রাশিফলে সূর্য গ্রহের অবস্থাকে শক্তিশালী করতে, চিনি সম্পর্কিত একটি কৌশল ব্যবহার করা হয়। বলা হয়, একটি তামার পাত্রে চিনি এবং জলের দ্রবণ তৈরি করে তা পান করা নেওয়া উচিত। এই কাজটি করলে মনে করা হয়, রাশিতে সূর্যের অবস্থান কখনও দুর্বল হবে না। ভগবান সূর্যদেবকে চিনি মিশ্রিত জল নিবেদন করলে ধন-সম্পদ আসে এবং গ্রহের দোষ দূর হয়।

২. যেকোনো নতুন কাজে যাওয়ার আগের রাতে তামার পাত্রে জল ও চিনি মিশিয়ে নিন। ঘর থেকে বের হওয়ার আগে এই দ্রবণটি পান করুন। এতে প্রতিটি কাজে সাফল্য পাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।

৩. কুণ্ডলীতে রাহু গ্রহের দশাকে শক্তিশালী করতে, চিনি সম্পর্কিত কৌশলগুলি ব্যবহার করা হয়। এ জন্য চিনি একটি লাল রঙের কাপড়ে বেঁধে রাখতে হবে। এরপর রাতে ঘুমানোর সময় বালিশের নিচে সেই কাপড়টিকে রাখতে হবে। একটানা বেশ কয়েকদিন এভাবে কাজটি করলে কুন্ডলীতে রাহুর দশা জোরদার হয়। 

৪. শনি গ্রহকে শান্ত করার জন্য চিনি সম্পর্কিত একটি কৌশল ব্যবহৃত হয়। বলা হয় গুড়ো চিনি ও নারকেলের গুড়ো একসঙ্গে মেশাতে হবে। এর পর সেই মিশ্রণ পিঁপড়েদের খাওয়াতে হবে। এই কাজ করলে জীবনে শনিদেবের আশীর্বাদ বর্ষণ হয় বলে বিশ্বাস করা হয়। এই কাজে জীবনে কখনও শনির সারে সাতি দশার সামনে পড়তে হয় না।

৫. চিনির সাথে যুক্ত টোটকা পিতৃ দোষ থেকে মুক্তি পেতে ব্যবহার করা হয়। এজন্য ময়দায় চিনি মিশিয়ে রুটি রান্না করতে হবে। এরপর এই রুটি কাকদের খাওয়াতে হয়। এতে পিতৃ দোষ কেটে যায় বলে বিশ্বাস করা হয়।

জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে চিনি সংক্রান্ত প্রতিকার গৃহ, পরিবার এবং কর্মক্ষেত্রে সাফল্য এনে দেয়। যেখানে চিনি খাবারে মিষ্টি আনে। একই সঙ্গে এটি জীবনে মাধুর্য ও সুখ নিয়ে আসে।