সংক্ষিপ্ত

  • ২০২১-এর অন্যতম বিষয় হল বিধানসভা নির্বাচন
  • এই বছর কি ভাগ্য বদলাতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গের
  • কার দখলে যেতে পারে রাজ্যের শাসনভার
  • কে জিতবে ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে

করোনা টিকার পাশাপাশি ২০২১-এর অন্যতম বিষয় হল বিধানসভা নির্বাচন। তবে এই বছর কি ভাগ্য বদলাতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গের! কার দখলে যেতে পারে রাজ্যের শাসনভার! কে জিতবে ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে। রাজ্যের সাধারণ মানুষের মনে প্রশ্ন একটাই, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতেই কি থাকবে রাজ্যের দায়িত্ব নাকি দেখা দিতে পারে পরিবর্তনের ছবি। কোন দিকে ঘুরতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গের ভাগ্যের চাকা। জেনে নিন ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে বিষয়ে কি জানাচ্ছে জ্যোতিষশাস্ত্র।

আরও পড়ুন- ২০২১-এ থাকুন বিপদমুক্ত,জেনে নিন রত্ন ধরণের এই বিশেষ নিয়মগুলি

নতুন বছরের শুরু থেকেই পশ্চিমবঙ্গে চলবে কেতু ও বৃহস্পতির অর্ন্তদশা। পাশাপাশি বৃহস্পতিও থাকবে ষষ্ঠ ঘরে। এর ফলে ব্যাপক ঝামেলা ও সমস্যা বৃদ্ধির আশঙ্কা রয়েছে। এর পাশাপাশি রাজ্যে বহিরাগত রাজ্যের ও দেশের রাজনৈতিক প্রভাব সমান ভাবে কাজ করবে। জ্যোতিষশাস্ত্র মতে, দুই পরগণা, মেদিনীপুর, বাঁকুড়া ও পুরুলিয়াতে বিশৃঙ্খলা বৃদ্ধির আশঙ্কা রয়েছে। এর পাশাপাশি দলের প্রতিষ্ঠা দিবস অনুসারে, তৃণমূল কং গ্রেস দলের রাশি মকর, লগ্ন-মীন। জুলাই মাস পর্যন্ত এই দলের চলবে রাহু ও শুক্রের অর্ন্তদশা। এর পাশাপাশি একাদশতম ঘরে শনি ও বৃহস্পতি গোচর থাকায় দলের প্রার্থী তালিকায় বদল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এর সঙ্গে আর্থিক ক্ষতি ও হয়রানির আশঙ্কা রয়েছে। 

আরও পড়ুন- হিন্দুদের ঐতিহ্যবাহী উৎসব, রইল মকর সংক্রান্তি ২০২১-এর পূণ্যস্নানের সময়সূচী

একইভাবে বিজেপির প্রতিষ্ঠা দিবস অনুসারে, এই দলের রাশি- বৃশ্চিক, লগ্ন- মিথুন। এই দলের বৃহস্পতি সপ্তম ও দশমপতি হয়ে তৃতীয় ঘরে অবস্থান করছে। পাশাপাশি থাকবে চন্দ্র ও বৃহস্পতির অন্তর্দশা। এর ফলে হঠাৎ উন্নতির যোগ রয়েছে। এছাড়া রাহুর দ্বাদশে গোচরের ফলে প্রসার বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। একইভাবে সিপিআইএম এর রাশি-সিংহ এবং লগ্ন ধনু। চলছে রাহু ও বৃহস্পতির অন্তর্দশা। রাহুর এই অবস্থানের ফলে জোটে ক্ষতির নির্দেশ করছে। পাশাপাশি সংবাদ মাধ্যমের তরফ থেকে উপযুক্ত প্রভাবে এই দলের সম্মান আরও বৃদ্ধির যোগ রয়েছে।

জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচন কেন্দ্র করে ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিল মাস নাগাদ রাজ্যে এছাড়া অর্থনৈতিক, দুর্নীতি ও ক্ষয়ক্ষতির ব্যাপক আশঙ্কা রয়েছে। এছড়া রাজ্যে ব্যাপকভাবে ঝামেলা ও দাঙ্গা বৃদ্ধির আশঙ্কা রয়েছে। কেতুর অন্তর্দশার ফলে বৈদেশিক প্রভাব বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাজ্যের পরিবেশের উপর তার ব্যাপক প্রভাব পড়তে পারে পশ্চিমবঙ্গে।