সংক্ষিপ্ত

  • সমস্যাগুলোকে সহজেই কাটিয়ে ওঠার জন্য জ্যোতিষীরা নানান রত্ন ধারণের পরামর্শ দেন
  • সঠিক নিয়মে গ্রহ-নক্ষত্র অনুযায়ী রত্ন ধারণ করলে ফিরতে পারে আপনার ভাগ্য
  •  অনেকের পক্ষেই সব সময় রত্ন ধারণ সম্ভব হয় না
  • আপনি ঘরোয়া কিছু উপকরণ দিয়েই এই সমস্যা কাটিয়ে উঠতে পারবেন।

আমাদের প্রত্যেকের জীবনে কিছু না কিছু সমস্যা রয়েছে। আমাদের জীবনের এই সমস্যাগুলোকে সহজেই কাটিয়ে ওঠার জন্য জ্যোতিষীরা নানান রত্ন ধারণের পরামর্শ দেন। জ্যোতিষশাস্ত্র বলছে সঠিক নিয়মে গ্রহ-নক্ষত্র অনুযায়ী রত্ন ধারণ করলে ফিরতে পারে আপনার ভাগ্যও৷ তবে এই রত্ন ধারণের বিষয়ে নির্দিষ্ট কিছু সময় এবং নিয়ম মেনে চলা জরুরি। তবে রত্ন ধারণে সমস্যা কাটিয়ে ওঠা গেলেও অনেকের পক্ষেই সব সময় রত্ন ধারণ সম্ভব হয় না। একইসঙ্গে গ্রহ প্রতিকারের জন্য প্রয়োজন প্রচুর পরিমান অর্থের, যা সকলের পক্ষে ব্যবস্থা করা সম্ভব হয়ে ওঠে না। তাই রত্নের পরিবর্তে অনেক সময় জ্যোতিষীরা গাছের শিকড় ধারণেরও পরামর্শ দিয়ে থাকেন। এই সমস্ত কিছু ছাড়া এমন কিছু নিয়ম আছে যাতে সহজেই আপনি ঘরোয়া কিছু উপকরণ দিয়েই সমস্যা কাটিয়ে উঠতে পারবেন। জেনে নেওয়া যাক সেই নিয়মগুলি-

আরও পড়ুন- বিনা খরচে দুর্ভাগ্যকে বদলে নিন সৌভাগ্যে, শুধু মনে রাখুন এই বিষয়গুলি

যদি রাহু ও কেতুর সমস্যা থাকে তবে এর প্রতিকার রূপে আর্তের সেবা করুন। আপনার সাধ্য মত দরিদ্রের সেবা করুন। মনে রাখবেন সেবামূলক কাজে মানেই আপনাকে আর্থিক সাহায্য করতে হবে তা নয়। বিপদে তাঁর পাশে থাকুন, সাধ্য মত সাহায্য করুন। তাহলেই কাটিয়ে উঠতে পারবেন রাহু ও কেতুর প্রকোপ।

শনির দশা কাটাতে প্রতি শনিবার করে শনি মন্দিরে গিয়ে পুজো দিন। মঙ্গলবার বা শনিবার করে বজরঙ্গবলীর পুজো করুন। খুব দ্রুত এই সমস্যা কাটিয়ে উঠতে পারবেন। 

শুক্রের দশা কাটাতে সব সময় আফনাকে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে। বাড়ি বা ঘরে কোথাও নোংরা থাকলে সমস্যা আরও বাড়তে পারে। খাওয়ার পাতে দই অবশ্যই রাখতে হবে। মহিলাদের জন্য খুব লম্বা চুল ও পুরুষদের মুখ ভর্তি দাঁড়ি রাখা চলবে না।

আরও পড়ুন- জেনে নিন রাশি অনুযায়ী কোন রং আপনার জীবনে বাধা -বিপত্তি কাটাতে সাহায্য করবে

দেবগুরু বৃহস্পতির প্রকোপ থেকে বাঁচতে হলুদ রং-এর খাবার বেশির পরিমানে খেতে হবে। সম্ভব হলে নিরামিষ আহার বেশি পরিমানে গ্রহণ করুন। কোনও ধরনের মাংস খাওয়া চলবে না এতে সমস্যা আরও বাড়তে পারে। 

বুধের প্রকোপ থাকলে খুব পরিস্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে। বাড়ি বা ঘরে কোথাও নোংরা রাখা যাবে না। সবুজ রং এর পোশাক ও সবুজ খাবার এর পরিমান বাড়াতে হবে।

মঙ্গলের দোষ কাটাতে খাটে শোয়া ছেড়ে মাটিতে বিছানা করে শুতে হবে। প্রতি মঙ্গল ও শনিবার বজরঙ্গবলীর পুজো ও কালী ঠাকুরের পুজো করতে হবে। একইসঙ্গে খাওয়ার পাতে কাঁচা নুন খাওয়া কমাতে হবে।

চন্দ্রের সমস্যা থাকলে ঠাণ্ডা খাবার খাওয়া যাবে না। খাবার পাতে ফল রাখতে হবে। জলাশয়ে স্নান করতে না নামাই ভালো, বিপদের আশঙ্কা থাকে।

রবি বা সূর্যের প্রকোপ থেকে রক্ষা পেতে প্রতিদিন সূর্য প্রণাম করা আবশ্যক। যেই ঘরে রোদ আসে সেই স্থানেই খেতে বসতে হবে। এই সময় যতটা সম্ভব ধাতুর ব্যবহার এড়িয়ে চলতে হবে।