সংক্ষিপ্ত
আচার্য চাণক্য বলেছেন যে সর্বদা সর্বোত্তম পরিবারের একটি মেয়েকে বিয়ে করা উচিত। সে খুব সুন্দর না হলেও। নিম্ন পরিবারের সুন্দরী মেয়ের চেয়ে উন্নত পরিবারের সৌন্দর্যহীন মেয়ে অনেক ভালো।
আচার্য চাণক্যের নীতি আজকের সময়েও প্রাসঙ্গিক। আচার্য চাণক্য ছিলেন একজন মহান কৌশলবিদ, কূটনীতিবিদ, রাজনীতিবিদ এবং অর্থনীতিবিদ। তিনি শুধু জীবনের সকল বিষয় গভীরভাবে অধ্যয়ন করেননি এবং মানুষকে তার যোগ্যতা ও যোগ্যতা সম্পর্কে সচেতন করতেন। বর্তমান সময়েও তার কথা সত্য। মহান রাজনীতিবিদ ও কূটনীতিবিদ আচার্য চাণক্য শিশু চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যকে সমগ্র ভারতবর্ষের সম্রাট বানিয়েছিলেন। এমতাবস্থায়, তাঁর নীতিগুলি কেবল শাসনের জন্যই নয়, মানুষের জীবনেও অত্যন্ত সহায়ক বলে প্রমাণিত হয়।
এতে মানবজীবনকে সুখী করার অনেক গুরুত্বপূর্ণ টিপস দেওয়া হয়েছে। কথিত আছে যে যে ব্যক্তি তাদের নীতি অনুসরণ করে তার জীবনের অনেক সমস্যার অবসান ঘটে। চাণক্য নীতিতে ধর্ম, অর্থ, নারী, পেশা, বন্ধুবান্ধব এবং বিবাহিত জীবন সম্পর্কিত বিষয়গুলিও উল্লেখ করা হয়েছে। চাণক্য নীতি একজন ব্যক্তিকে বুঝতে দেয় যে তাকে কোন পরিস্থিতিতে কীভাবে আচরণ করা উচিত। এমন পরিস্থিতিতে চাণক্য তাঁর নীতিশাস্ত্রে জীবনসঙ্গী বেছে নেওয়ার অনেক কথাই বলেছেন।
আচার্য চাণক্য বলেন, একজন ভালো জীবনসঙ্গী পেলে জীবন সমৃদ্ধ হয়। বিয়ের জন্য একজন ভালো, সংস্কৃতিমনা জীবনসঙ্গী পাওয়াটা অনেক ভাগ্যের ব্যাপার। বিশেষ করে সব গুণে পরিপূর্ণ একটি মেয়েকে বিয়ে করা শুধু ছেলেটির নয়, পুরো পরিবারের ভাগ্য বদলে দেয়। চাণক্য নীতি অনুসারে, যে কোনও পুরুষের একই মেয়েকে বিয়ে করা উচিত যার কিছু বিশেষ গুণ রয়েছে। সৌন্দর্যের ভিত্তিতে নেওয়া সিদ্ধান্ত সারাজীবন আফসোস করতে পারে।
বিবাহ সম্পর্কে, আচার্য চাণক্য বলেছেন যে সর্বদা সর্বোত্তম পরিবারের একটি মেয়েকে বিয়ে করা উচিত। সে খুব সুন্দর না হলেও। নিম্ন পরিবারের সুন্দরী মেয়ের চেয়ে উন্নত পরিবারের সৌন্দর্যহীন মেয়ে অনেক ভালো। আচার্য চাণক্য প্রথম অধ্যায়ের চতুর্দশ শ্লোকে লিখেছেন যে, একজন বুদ্ধিমান ব্যক্তিরও উচিত হবে সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্ম নেওয়া কুৎসিত মেয়েকে, অর্থাৎ সৌন্দর্যহীন মেয়েকে বিয়ে করা, কিন্তু নিম্ন পরিবারে জন্ম নেওয়া সুন্দরী মেয়েকে বিয়ে করা উচিত নয়। যাইহোক, বিয়ে শুধুমাত্র একই পরিবারে করা উচিত।
বিয়ের জন্য মেয়ে নির্বাচন করার সময় এই সাতটি বিষয় মাথায় রাখুন
১. সৌন্দর্য নয় গুণমানকে গুরুত্ব দিন
চাণক্য নীতি অনুসারে, যদি কোনও মহিলার সৌন্দর্যের প্রেমে পড়ে বিয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় তবে তা ব্যক্তির একটি বড় ভুল প্রমাণিত হতে পারে। বিবাহের জন্য, তার গুণাবলী বাহ্যিক সৌন্দর্যের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হওয়া উচিত। আচার্য চাণক্যের মতে, নারীর সংস্কৃতি ও শিক্ষার প্রতি বেশি গুরুত্ব দেওয়া উচিত।
২. সর্বোত্তম বংশে বিবাহ করা
আচার্য চাণক্য বলেছেন যে একজনের সর্বদা নিজের পরিবার এবং রীতিনীতি অনুসারে বিয়ে করা উচিত। প্রত্যেক বংশে একটা নিয়ম আছে যে তারা তাদের উচ্চ বংশের সাথে বিয়ে করবে। এই প্রথা বজায় রাখা আমাদের বিবাহিত জীবন এবং পরবর্তী প্রজন্মের জন্য অপরিহার্য। আচার্য চাণক্য এমনও বলেছেন যে, নীচু জাতের সুন্দরী মেয়ের চেয়ে সৌন্দর্যহীন মেয়ে ভালো।
৩. সংস্কারি কীনা তা নজরে রাখা জরুরি
বিয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজের বিষয়ে, আচার্য চাণক্য স্পষ্টভাবে বলেছেন যে বিয়ের জন্য জীবনসঙ্গী বেছে নেওয়ার সময় আমাদের সংস্কারের দিকে মনোযোগ দেওয়া উচিত। কারণ সংস্কৃতিবান দম্পতির সম্মান সর্বত্র। তার জীবন সবসময় সুখী হয়। তার চেহারা খুব সুন্দর না হলেও। এছাড়াও, এই গুণটি বিবাহিত জীবনকে সুখী করে।
৪. কথাবার্তায় ভালো
আচার্য চাণক্য বলেন, জীবনসঙ্গী বেছে নেওয়ার সময় আমাদের উচিত কথা বলার ধরন যেন ভালো হয়। কোথায় এবং কত কথা বলতে হবে তা আমাদের জানা উচিত। যে ব্যক্তি সবসময় মিষ্টি গলায় কথা বলে সে সবার মন জয় করে নেয়।
৫. ধৈর্য ধরতে হবে
জীবনে এমন অনেক পর্যায় আসে যখন একজন ব্যক্তি বিভ্রান্ত হয়। সে কিছুই বোঝে না। সেজন্য জীবনসঙ্গী বেছে নেওয়ার সময় একে অপরের মধ্যে ধৈর্য কতটা আছে তা পরীক্ষা করে দেখা উচিত। কারণ চাণক্য বলেছেন যে সুখ হোক বা কষ্ট হোক প্রতিটি পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে ধৈর্যের প্রয়োজন। উভয়ের জন্য অনেক ধৈর্যের প্রয়োজন
৬. চাপের মুখে কখনো বিয়ে করবেন না
আচার্য চাণক্য বলেছেন যে তরুণদের এমন ক্ষমতা আছে যে আমরা সঠিক জীবনসঙ্গী বেছে নিতে পারি, তারপর জীবনসঙ্গী বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে নিজের সিদ্ধান্ত নিতে পারি। এতে কারও চাপ যুক্তিযুক্ত নয়। একই পরিবারের সদস্যদেরও একে অপরকে বোঝার সুযোগ দেওয়া উচিত। চাপের মুখে কখনই বিয়ের কোনো কাজ করবেন না। অন্যথায়, ভবিষ্যতে অনেক ঝামেলা হবে। আচার্য চাণক্য বলেছেন যে নিজের ইচ্ছায় বিয়ে করছেন না এমন মহিলাকে কখনই বিয়ে করা উচিত নয়। যে নারীকে জোর করে বিয়ে করা হচ্ছে সে কখনোই আপনাকে খুশি রাখতে পারবে না বা সম্মান দিতে পারবে না।
৭. যিনি স্বামীর মধ্যে নিজের বাবার ছবি দেখতে পাবেন
আচার্য চাণক্যের মতে, এমন মহিলাদের বিয়ে করুন যারা আপনার মধ্যে তাদের পিতার প্রতিফলন দেখতে পান। আসলে, একজন মহিলার মনে একটি অনুভূতি থাকে যে তার স্বামী তার বাবার মতো তার যত্ন নেওয়া উচিত। এই ধরনের মহিলারা ভবিষ্যতে আপনাকে ঠকাবে না।