সংক্ষিপ্ত

শালিক পাখি- অনেকে আবার ভারতীয় ময়না বলেন। শালিক পাখি গ্রামের পাশাপাশি শহরেও দেখতে পাওয়া যায়।  গ্রামের পাশাপাশি শহরেও শালিক পাখি নিয়ে সংস্কার রয়েছে। অনেকেই বলেন এক শালিক অশুভ, জোড়া শালিক শুভ আর তিন শালিক চিঠি বা অতিথির আগমণ বার্তা নিয়ে আসে।

ঘুম থেকে উঠে সাতসকালেই যদি একটি শালিক দেখেন তাহলে মনটা খারাপ হয়ে যায়। আর দুইটি শালিক বা জোড়া শালিক যদি দেখেন তাহলে কিন্তু সবার অজান্তেই মন ভালো হয়ে যায়। কিন্তু কেন এমন হয়? এই ধারনার কি কোনও ভিত্তি আছে? এই প্রশ্নও উঠেছে। জ্যোতিষশাস্ত্র কিন্তু বলছে পশুপাখিদের সঙ্গে মানুষের জীবন জড়িয়ে রয়েছে। এমন অনেক পশু বা পাখি রয়েছে যারা এই ইন্টারনেটের যুগেও আগাম সংবাদ বয়ে আসে। সুসংবাদ যেমন আনে- তেমনই দুঃসংবাদ নিয়ে আসে। 

শালিক পাখি- অনেকে আবার ভারতীয় ময়না বলেন। শালিক পাখি গ্রামের পাশাপাশি শহরেও দেখতে পাওয়া যায়।  গ্রামের পাশাপাশি শহরেও শালিক পাখি নিয়ে সংস্কার রয়েছে। অনেকেই বলেন এক শালিক অশুভ, জোড়া শালিক শুভ আর তিন শালিক চিঠি বা অতিথির আগমণ বার্তা নিয়ে আসে। আর চার শালিক আনন্দের সংবাদ নিয়ে আসে। তবে এই ধারনা যে শুধুমাত্র ভারতে এমনটা কিন্তু নয়। ছোটবেলা শোনা একটি কবিতাই ইঙ্গিত দেয় বিদেশেও শালিক বা ময়না নিয়ে অনেক সংস্কার রয়েছে। 

আসলেই সকল মানুষ - চরম নাস্তিক মানুষও চান তাঁর জীবন যেন সুন্দরভাবে চলে। তাঁর মর্জি মত চলে। তাই দুর্বল মনের মানুষরা অনেক সময়ই নানা সংস্কারের আশ্রয় নেয়। নিজের মনের ভাব লুকাতে পারেন না। কিন্তু শক্ত মনের মানুষরা তেমন কিছু প্রকাশ করেন না বটে কিন্তু তাঁরাও মনের অজান্তেই একাধিক সংস্কার মেনে চলেন। তবে  সকালে উঠে যদি কোনও পাখিকে একা একা ঘুরে বেড়াতে দেখা যায় তাহলে মন খারাপ হওয়াটাই স্বাভাবিক বিষয়। একটা জিনিস খেয়াল করে দেখবেন, শালিক পাখি কিন্তু একা একা থাকে না। এরা সাধারণত দুটি একসঙ্গে থাকে। অথবা দলবদ্ধ হয়ে থাকে। তাই প্রাচীন বিশ্বাস অনুযায়ী এক শালিক খারাপ ইঙ্গিত দেয়। 

যাইহোক ভারতীয় জ্যোতিষশাস্ত্রে তেমন কোনও উল্লেখ না থাকেও এক শালিককে অশুভ বলে ধরে নেওয়া হয়েছে। আর জোড়া শালিক বা দুই শালিককে শুভ বলে মনে করা হয়। সকালবেলা বা কোনও শুভকাজ বা পরীক্ষা দিতে যাওয়ার আগে যদি দুটি শালিক একসঙ্গে দেখতে পাওয়া যায় তাহলে কিন্তু মন ভালো হয়ে যায়। আর সেই কাজে আপনি নিজের অজান্তেই ১০০ শতাংশ দিয়ে থাকেন। তাতে কাজটি কিন্তু আদতে ভালোই হয়।