সংক্ষিপ্ত
দুটি এমন রত্ন রয়েছে যা খুবই শক্তিশালী। পরার মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই জীবনে প্রভাব বিস্তার করতে পারে। কিন্তু একটু ভুল হলে জীবনে চরম সর্বনাশ ডেকে আনে।
মাহাবিশ্বের ঘর্ণায়মান সমস্ত গ্রহ ও নক্ষত্র আমাদের জীবনকে প্রভাবিত করে। জ্যোতিষশাস্ত্র মতে সেইসব গ্রহণ নক্ষত্র আমাদের জীবন বা মনকে স্বাভাবিক ও সুস্থ রাখতে পারে। কখনও কখনও নক্ষত্র বা গ্রহ দোষ ডেকে আনতে পারে বড়সড় বিপদ। গ্রহ বা নক্ষত্রে দোষ কাটাতে আমরা একাধিক রত্নধারণ করি। কিন্তু আপনি কি জানেন , এমন দুটি রত্ন রয়েছে যা আপনার জীবনকে আরও ক্ষতবিক্ষত করতে পারে। তাই সেই দুটি রত্ন ধারণ করার আগে একটু সাবধানতা অবলম্বন করাই শ্রেয়। কারণ ভুল রত্ন ধারণ ডেকে আনতে পারে ভয়ঙ্কর বিপদ। যা ধ্বংস করে দিতে পারে আপনার জীবনকে।
অনেক সময়ই আমরা নিজেদের ইচ্ছেমত রত্ন ধারণ করি। কোনও নির্দেশ বা পরামর্শ না নিয়েই ইচ্ছেমত হীরে চূনী পান্না কিনে নিয়ে পরে ফেলি। জানেন কি, এর ফল হতে পারে মারাত্মক। কারণ বেশ কয়েকটি রত্ন রয়েছে যেগুলি এতটাই শক্তিশালী যা শনি, বৃহস্পতি বা মঙ্গলের মত গ্রহকে নিয়ন্ত্রণে আনতে পারে। তাই এই সেই রত্নগুলি পরার আগে একটি সতর্ক হওয়ায় শ্রেয়। আসুন আমরা আজ দু-টি রত্ন নিয়ে আলোচনা করি। যেগুলি পরলে ভয়ঙ্কর ক্ষতির মুখে পড়তে হতে পারে আমাদের।
নীলা-
নীলকান্ত মণি। এটি শনির মূল রত্ন। এটি প্রধানত বায়ু উপাদান নিয়ন্ত্রণ করে। নীলাকে নীলমও বলা হয়। এর অন্যনাম শনিপ্রিয়া বা স্যাফায়ার। এটি কুরুন্দম গোষ্ঠীর পাথর। রুবির সঙ্গে এটি পাওয়া যায়। এই রত্নটি শনি কু-দৃষ্টি থেকে বা শনির রোষ থেকে বাঁচার জন্য পরা হয়। শনি যাদের হালকা তারাই এই রত্নটি পরতে পারেন। কিন্তু এটি পরার আগে অনেক বিচার বিবেচনা করার প্রয়োজন রয়েছে। সঠিক পরামর্শ না নিয়ে এই রত্ন ধারন করলে বড় ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। নীলার প্রভাব মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই পড়তে দেখা যায়।
রাশিফল বা শনির উপাদানগুলি না জেনে নীলকান্ত মণি পরা কখনই উচিৎ নয়। নীলকান্তমণি পরার আগে ভালো করে পরীক্ষা করে নিতে হবে। লোহা বা রুপো দিয়ে এটি ধারণ করলে শুভফল পাওয়া যায়। ভুলেও সোনা দিয়ে নীলকান্ত মণি পরবেন না। শনিবার মধ্যরাতে নীলা পরার সঠিক সময়। বাঁ হাতে নীলকান্ত মণি পরতে হয়। সঙ্গে জলের উপাদনের একটি রত্ন পরা জরুরি। চারকোনা আকারের নীলকান্ত মণি পরা শুভ বলে মনে করা হয়। তবে পরার আগে শিব ও শনি দেবতাকে অবশ্যই নীলা অর্পণ করে তারপর ধারণ করবেন।
হীরা-
মূল্যবান রত্নগুলির অন্যতম হীরা। এটি কঠিন রত্ন হিসেবে বিবেচিত হয়। সাধারণ সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য হীরা পরে। কিন্তু জ্যোতিষশাস্ত্র মতে হীরা সবার পরা উচিৎ নয়। শুক্র গ্রহের রত্ন হিসেবে এটি বিবেচিত হয়। এই রত্ন পরিধান অনেকেই সৌন্দর্য, সুখ আর সমৃদ্ধি পেতে পারে। তবে এই রত্নের কুপ্রভাব সরাসরি সংসারে ও বিবাহিত জীবনে পড়তে পারে। শুক্র গ্রহের উপকার পেতে ও জীবনে গ্ল্যামার বাড়াতে হীরা একটি উপযুক্ত রত্ন।
পরামর্শ ছাড়া শুধুমাত্র ফ্যাশানের জন্য কখনই হীরা পরবেন না। ডায়াবেটিস ও হাইব্লাড প্রেসারের রোগীদের হীরা পরা উচিৎ নয়। এটি ২১ থেকে ৫০ বছর বয়সীরাই পরতে পারেন। বিবাহিত জীবনে যদি সমস্যা থাকে তাহলে হীরা একদমই পরবেন না। হীরা সমস্যা আরও বাড়়িয়ে দিতে পারে। হীরা যত সাদা হবে ততই শুভ ফল দেবে। তবে ভাঙা হীরা থেকে সর্বদা সাবধান থাকুন। দূরত্ব বজায় রাখুন। হীরা পরলে আপনি দুর্ঘটনার মুখোমুখি হতে পারেষ হীরার সঙ্গে প্রবাল বা গোমেদ কখনই পরবেন না।
পান্না-
নবরত্নের অন্যতম হল পন্না। এটি বুধ গ্রহের জন্য পরা হয়। ব্যবসা শিক্ষা আর যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নিতর জন্য পান্না পরা হয়। পান্না আত্মবিশ্বাস বাড়ায়। কিন্তু যাদের শ্বাস কষ্টের সমস্যা রয়েছে তারা ভুলেও পান্না পরবেন না। হিতে বিপরীত হতে পারে। কিন্তু যাদের প্রয়োজন নেই তারা যদি পান্না পরেন তাহলে জীবনের প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়বেন।