সংক্ষিপ্ত
নবরাত্রিতে মা চন্দ্রঘন্টার পূজার বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। এটা বিশ্বাস করা হয় যে যে ব্যক্তি নবরাত্রিতে মা চন্দ্রঘন্টাকে আচার-অনুষ্ঠানের সাথে পূজা করেন, তিনি অলৌকিক জ্ঞান লাভ করেন।
চন্দ্রঘন্টা, মা শক্তির এক রূপ। নবরাত্রির তৃতীয় দিনে পূজা করা হয় এই রূপের। মা চন্দ্রঘন্টাকে পরম শান্তিদাতা ও কল্যাণদাতা বলে মনে করা হয়। মায়ের মুখে মৃদু হাসি। নবরাত্রিতে মা চন্দ্রঘন্টার পূজার বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। এটা বিশ্বাস করা হয় যে যে ব্যক্তি নবরাত্রিতে মা চন্দ্রঘন্টাকে আচার-অনুষ্ঠানের সাথে পূজা করেন, তিনি অলৌকিক জ্ঞান লাভ করেন।
মহিষাসুর দেবতাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছিলেন
পৌরাণিক কাহিনী অনুসারে, সর্বত্র অসুরদের অত্যাচার বাড়তে থাকলে মা শক্তি মা চন্দ্রঘন্টার অবতার গ্রহন করেন। সেই সময় মহিষাসুর ও দেবতাদের মধ্যে তুমুল যুদ্ধ চলছিল। মহিষাসুর ইন্দ্রের সিংহাসন পেতে চেয়েছিলেন। এমতাবস্থায় তিনি দেবতাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করেন।
ত্রিদেবের ক্রোধ থেকে মায়ের এই অবতার-
দেবতারা তার ইচ্ছার কথা জানতে পেরে বিরক্ত হয়ে ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও মহেশের কাছে গেলেন। দেবতারা তিন দেবতাকে মহিষাসুরের ইচ্ছার সমস্ত বিবরণ জানালেন। এই কথা শুনে তিনি খুব রেগে গেলেন এবং তিনজনের মুখ থেকে শক্তি বেরিয়ে এল। একই শক্তি থেকে অবতারিত এক দেবী। এই দেবীকে ভগবান ভোলেনাথ তার ত্রিশূল দিলেন, ভগবান বিষ্ণু দিলেন চাকা, ইন্দ্র দিলেন ঘড়ি, সূর্য দিলেন ধারালো তলোয়ার ও সিংহ।
আরও পড়ুন- কুন্ডলিতে পিতৃ দোষ কীভাবে গঠিত হয়, জেনে নিন এর কারণ ও প্রতিকার
আরও পড়ুন- পিতৃপক্ষ কবে থেকে শুরু হচ্ছে, এই সময় ভুলেও এই কাজগুলি করবেন না, জেনে নিন প্রতিকার
আরও পড়ুন- দেবী দুর্গার মাটির মূর্তি অসম্পূর্ণ থেকে যায় এই তিনটে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান ছাড়া, জেনে নিন
মহিষাসুর বধ-
মা চন্দ্রঘন্টা মহিষাসুরে সামনে পৌঁছলেন। মায়ের দিব্য রূপ দেখে মহিষাসুর ভয়ে কেঁপে উঠলেন। মায়ের এই রূপ দেখে মহিষাসুর বুঝতে পারলেন তাঁর সময় এসেছে। তা সত্ত্বেও মহিষাসুর মাকে আক্রমণ করলেও। যুদ্ধে পরাস্ত করে মহিষাসুরকে বধ করেন মা চন্দ্রঘন্টা ।