সংক্ষিপ্ত

বেদব্যাস দেবকে প্রথম গুরু হিসাবে মনে করা হয়। তিনি মানবজাতিকে বেদের জ্ঞান দিয়েছেন। এছাড়াও বেদ ব্যাস দেবকেও ভগবান বিষ্ণুর অবতার হিসাবে মনে করা হয়, তাই গুরু পূর্ণিমার দিনেও ভগবান বিষ্ণুর পূজা করা হয়। এছাড়াও এই দিনে লোকেরা তাদের নিজ নিজ গুরুদের পূজা ও শ্রদ্ধা জ্ঞাপণ করেন। 
 

২০২২ সালের গুরু পূর্ণিমা ১৩ জুলাই, বুধবার উদযাপিত হবে। এটি আষাঢ় মাসের পূর্ণিমা তিথিতে পালিত হয়। এই দিনে, বেদ রচয়িতা বেদ ব্যাসদেব-এর জন্মবার্ষিকী পালিত হয় এবং তাঁকে বিশেষ পূজা দেওয়া হয়। বেদব্যাস দেবকে প্রথম গুরু হিসাবে মনে করা হয়। তিনি মানবজাতিকে বেদের জ্ঞান দিয়েছেন। এছাড়াও বেদ ব্যাস দেবকেও ভগবান বিষ্ণুর অবতার হিসাবে মনে করা হয়, তাই গুরু পূর্ণিমার দিনেও ভগবান বিষ্ণুর পূজা করা হয়। এছাড়াও এই দিনে লোকেরা তাদের নিজ নিজ গুরুদের পূজা ও শ্রদ্ধা জ্ঞাপণ করেন। 

২০২২ সালের গুরু পূর্ণিমায় চতুর্থ রাজ যোগ 
গুরু পূর্ণিমার যেমন জ্যোতিষশাস্ত্রীয় তাৎপর্য রয়েছে তেমনি এর ধর্মীয় গুরুত্বও রয়েছে। জ্যোতিষশাস্ত্রের দিক থেকে এবার গুরু পূর্ণিমা আরও বিশেষ হয়ে উঠেছে। এই গুরু পূর্ণিমায় গ্রহের অবস্থান খুবই শুভ। ২০২২ সালের গুরু পূর্ণিমার দিনে মঙ্গল, বুধ, বৃহস্পতি এবং শনি খুব শুভ অবস্থানে থাকবে। যার কারণে গুরু পূর্ণিমায় রুচক, ভাদ্র, হংস ও ষ নামে ৪টি রাজযোগ গঠিত হচ্ছে। এছাড়া একই রাশিতে সূর্য ও বুধের অবস্থানের কারণে বুধাদিত্য যোগও থাকবে। সামগ্রিকভাবে, গুরু পূর্ণিমার দিনে করা পূজা-অর্চনাগুলি খুব শুভ ফল দেবে। 

গুরু পূর্ণিমার শুভ সময়, পূজা পদ্ধতি 
হিন্দু ক্যালেন্ডার অনুসারে, আষাঢ় মাসের পূর্ণিমা তিথি ১৩ জুলাই ভোর ৪ টে থেকে থেকে শুরু হবে এবং ১৩ জুলাই রাত ১২ টা বেজে ৬ পর্যন্ত থাকবে। এইভাবে, পুরো দিনটি গুরুর আরাধনা করার, জ্যোতিষশাস্ত্রীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য একটি শুভ সময় হবে। 

আরও পড়ুন- প্রভু জগন্নাথদেব এই সময় জ্বর ও ডায়রিয়ায় ভোগেন, জেনে নিন এই ১৫ দিন অসুস্থতায় কিভাবে চিকিৎসা করা হয়

আরও পড়ুন- সাফল্যের জন্য শুধু পরিশ্রমই নয় এই ৪টি জিনিসকেও অবলম্বন করা প্রয়োজন, জানায় চাণক্য

আরও পড়ুন- মঙ্গলবার কেমন থাকবে ১২ রাশির লাভ লাইফ, দেখে নিন আজকের লাভ লাইফ প্রেমের রাশিফল

গুরু পূর্ণিমার দিন সকালে তাড়াতাড়ি স্নান করুন এবং পরিষ্কার কাপড় পরিধান করুন। বাড়ির মন্দিরেই দেবতাদের পুজো করুন। ভগবান বিষ্ণু ও বেদ ব্যাসের পূজা করুন। তারপর আপনার গুরুর তিলক করুন, মালা পরান। যদি গুরুর সঙ্গে দেখা করা সম্ভব হয় তবে গিয়ে তাঁর আশীর্বাদ করুন। আপনার সামর্থ্য অনুযায়ী উপহার দিয়ে তাদের সম্মান করুন।