সংক্ষিপ্ত

স্বাস্থ্য উপকারের জন্য প্রতিদিন ভেষজ ক্বাথ দিয়ে জগন্নাথ দেব তাঁর ভাই বলরাম এবং বোন সুভদ্রার চিকিৎসা করা হয়। চিকিত্সার পরে, আষাঢ় শুক্লপক্ষের দ্বিতীয় দিনে অর্থাৎ ১ জুলাই, ২০২২ তারিখে, ভগবান রথযাত্রায় বের হবেন। চলুন জেনে নিই তাদের চিকিৎসা কেমন ভাবে করা হয়।

প্রাচীন রীতি অনুসারে এই সময় ভগবান জগন্নাথ অসুস্থ হয়ে পড়েন। জ্যৈষ্ঠ বট সাবিত্রী পূর্ণিমায় ১০৮ টি ঘট দিয়ে স্নান করার পর, জগন্নাথ দেব তাঁর ভাই বলরাম এবং বোন সুভদ্রা অসুস্থতার কারণে ১৫ দিনের জন্য মন্দিরের কোয়ারেন্টাইনে থাকেন। স্বাস্থ্য উপকারের জন্য প্রতিদিন ভেষজ ক্বাথ দিয়ে তাদের চিকিৎসা করা হয়। চিকিত্সার পরে, আষাঢ় শুক্লপক্ষের দ্বিতীয় দিনে অর্থাৎ ১ জুলাই, ২০২২ তারিখে, ভগবান রথযাত্রায় বের হবেন। চলুন জেনে নিই তাদের চিকিৎসা কেমন ভাবে করা হয়।

আয়ুর্বেদ পদ্ধতিতে জগন্নাথদেবের চিকিৎসা এভাবে হচ্ছে-

শাস্ত্র অনুসারে, ভগবান জগন্নাথের অসুস্থতাকে তাঁর 'জ্বরলীলা' বলা হয়। জগন্নাথ দেব, তার ভাই বলরাম এবং বোন সুভদ্রার ১৫ দিনের জন্য ঐতিহ্যটি পালন করার সময় আয়ুর্বেদ পদ্ধতিতে চিকিত্সা করা হয়। এমন পরিস্থিতিতে তাদের আয়ুর্বেদিক ক্বাথ দেওয়া হয়।

ভগবানের চিকিৎসার জন্য দশমূলী ওষুধ প্রস্তুত। যার মধ্যে স্থানীয় ভাষায় অুসারে, শালা পার্নি, বেল, কৃষ্ণ পার্নি, গামহারি, আগিবাথু, লুবিং কলি, অঙ্কান্তি, তিগোখারা, ফানফানা, সুনারি, বৃহাটি ও পোটলি মিশিয়ে ওষুধ তৈরি করা হয়। আয়ুর্বেদে এই ঔষধিগুলির উল্লেখ আছে। ধর্মীয় রীতি অনুসারে, ঈশ্বর অসুস্থ হওয়ার পর থেকে তাকে খাওয়া-দাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। এমতাবস্থায় তাদের দেওয়া হবে ঘোল, খিচড়ি, মুগ ডালসহ হালকা খাবার।

আরও পড়ুন- সাফল্যের জন্য শুধু পরিশ্রমই নয় এই ৪টি জিনিসকেও অবলম্বন করা প্রয়োজন, জানায় চাণক্য নীতি

আরও পড়ুন- অম্বুবাচীর ওই ৩ দিনে এই কাজগুলি কখনোই নয়, অন্যথায় হতে পারে মহা সর্বনাশ

আরও পড়ুন- মহাদেবের ডমরুর শক্তি অপার, ঘরে রাখলে মিলবে এই ৪ উপকারিতা

বিশ্বাস অনুসারে, ভগবান ১৫ দিন ধরে জ্বর এবং ডায়রিয়ায় (বমি, ডায়রিয়া) ভোগেন। এই সময়ে, মানবদেহে প্রযোজ্য সমস্ত নিয়ম ঈশ্বরের জন্যও প্রযোজ্য। তারা সম্পূর্ণরূপে পরিসেবা করা হয়। শরীরের তাপমাত্রা কমানোর জন্য প্রথমে প্রভুকে ওষুধ দেওয়া হয় এবং তারপর ওষুধ দিয়ে তৈরি তেল মালিশ করা হয়।