সংক্ষিপ্ত
হিন্দু ধর্মে পুজোর অনেক নিয়ম রয়েছে। পুজোর সময় রীতিনীতি থেকে শুরু করে সেই নিয়মগুলি মেনে চলা অত্যান্ত জরুরি। যার মধ্যে একটি হল 'ঘোমটা'। ধর্মীয় বিশ্বাস অনুযায়ী পুজোর সময় মহিলাদের শাড়ির আঁচল দিয়ে মাথা ঢেকে রাখতে হয়।
হিন্দু ধর্মে পুজোর যথেষ্ট গুরুত্ব রয়েছে। প্রত্যেক বাড়িতে ইষ্ট দেবতা রয়েছে। নিত্যদিন একাধিক দেবতার পুজো হয়। মন্দিরেও যান । হিন্দু শাস্ত্র অনুযায়ী পুজোর বেশ কয়েকটি বিধি নিয়ম রয়েছে। যার মধ্যে একটি হল পুজোর সময় সর্বদাই মাথা ঢাকা দিতে হয়। বিশেষত মহিলাদের। কিন্তু আপনি কি জানেন এর পিছনে রয়েছে একটি গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় কারণ।
হিন্দু ধর্মে পুজোর অনেক নিয়ম রয়েছে। পুজোর সময় রীতিনীতি থেকে শুরু করে সেই নিয়মগুলি মেনে চলা অত্যান্ত জরুরি। যার মধ্যে একটি হল 'ঘোমটা'। ধর্মীয় বিশ্বাস অনুযায়ী পুজোর সময় মহিলাদের শাড়ির আঁচল দিয়ে মাথা ঢেকে রাখতে হয়। পুরুষদের রুমাল বা কাপড়ের টুকরো দিয়ে মাথা ঢাকতে হয়। এটি গুরুত্বপূর্ণ। এই নিময় না মানলে কোনও পুজো বা অর্পণ সিদ্ধ হয় না। এটি একটি শতাব্দী প্রাচীন নিয়। দীর্ঘ দিন ধরেই চলে আসছে এই ধর্মীয় প্রথা।
পুজোর সময় মাথাা ঢাকার কারণঃ
হিন্দু শাস্ত্র অনুসারে আপনি যখন পুজো করেন তখন আপনার মাথা ঢেকে রাখা হয়। এটি ঈশ্বর বা ইষ্ট দেবতার প্রতি আপনার শ্রদ্ধা নিবদনের একটি অঙ্গ। অন্য দিকে মাথা নত করা ভক্তিরও একটি রূপ।
তবে শাস্ত্র মত মাথা ঢেকেই পুজোর বিধান দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে পুজোর সময় কোনও ব্যক্তির মত যাতে চঞ্চল না হয় তার জন্য মাথা ঢাকা দিতে হয়। মাথা ঢাকা দেওয়ার আরও একটি কারণ রয়েছে, সেটি হল পুজোর নৈবেদ্যতে যাতে চুল না পড়ে যায়। পুজোর স্থানে চুল পড়লে সেটিকে অপবিত্র বলে মনে করা হয়। পুজোর স্থলের পাশাপাশি পুজোর প্রসাদও অপবিত্র হয়ে যায়। আর তা দেবতাকে অর্পণ করা যায় না। সেই কারণেই হিন্দু শাস্ত্রে পুজোর সময় মাথা ঢেকে রাখা হয়।
হিন্দু শাস্ত্র মতে শুধু পুজো নয়, যেকোনও আচার অনুষ্ঠানের সময় মাথা ঢেকে রাখা হয়। বিয়ে বা পৈতে বা শ্রাদ্ধের অনুষ্টানেও মাথা ঢেকে রাখা হয়। এই একটি কারণে।