সংক্ষিপ্ত

উপহার হোক, অথবা, আশীর্বাদ, হিন্দু রীতিতে অনেক মানুষই ১ টাকার কয়েন দিয়ে থাকেন। এই ১ টাকার কয়েন দেওয়া হয় কেন, এই কয়েন দিলে কি দাতার আর্থিক ক্ষতি হতে পারে?

কারোর মঙ্গল কামনা করে নগদে টাকা দেওয়া হলে তা সবসময় অসম সংখ্যাতে দেওয়া হয়। একশো, পাঁচশো, অথবা, হাজার, যত টাকাই দেওয়া হয়ে থাকুক না কেন, সমস্ত নোটের সঙ্গে যোগ করা হয় একটি ১ টাকার কয়েন। জ্যোতিষ মতে, এই এক টাকাটি দেওয়া হয় ব্যক্তির ভাগ্য সুপ্রসন্ন করার জন্য। উন্নতি, সাফল্য, সমৃদ্ধি এবং শান্তি কামনা করে উপহারে এই এক টাকার কয়েন রাখা হয়। এই কারণে আশীর্বাদস্বরূপ সব সময় ১০১ টাকা, ৫০১ টাকা বা ১০০১ টাকা দেওয়া হয়। হিন্দু রীতিতে উপহার দেওয়ার টাকার খামে অতিরিক্ত ১ টাকার কয়েন জুড়ে দেওয়া হয়। এই এক টাকার বিশেষ তাত্‍পর্য রয়েছে।


বিশ্বাস করা হয় যে, ‘১’ টাকা কোনও ভালো কাজ শুরু করার প্রতীক

‘০’ সংখ্যাটি সমাপ্তি ঘোষণা করে। অন্য দিকে ‘১’ সংখ্যা হল, সূচনার প্রতীক। যে অর্থমূল্য ০ দিয়ে শেষ হচ্ছে, তার সঙ্গে এক টাকার কয়েন জুড়ে এই কথা নিশ্চিত করা হয় যে, উপহারের প্রাপক যেন কোনওদিন শূন্যতে এসে না থামেন। অর্থাৎ, সবকিছু যেন শেষ না হয়ে যায়। 
 

আরেকটি মত অনুযায়ী, ১ টাকা আশীর্বাদের প্রতীক। 

উপহার হিসেবে বা আশীর্বাদ হিসেবে ১০১, ২৫১ বা ৫০১ টাকা দেওয়া হয়ে থাকে। শুভকামনা করে অনেকে কোনও অর্থমূল্য ছাড়া শুধু ১ টাকাও দিয়ে থাকেন। 


১ টাকা দেওয়া হল ঋণের প্রতীক। ঋণ দেওয়া মানে, আবার দেখা হওয়া। 

মনে করা হয় যে, সম্পূর্ণ অর্থের সঙ্গে অতিরিক্ত ১ টাকা জুড়ে দেওয়া মানে, ধার দেওয়া। যাঁকে দেওয়া হচ্ছে, ১ টাকাটি তাঁর কাছে ঋণ স্বরূপ। অর্থাৎ, উপহারদাতা নিজের জীবনে আবার উপহার গ্রহীতার সঙ্গে দেখা করতে চান। ১ টাকার কয়েন ভালোবাসার বন্ধনের মধ্যে ধারাবাহিকতা বয়ে নিয়ে চলে। উপহারদাতা ও গ্রহীতার মধ্যে সম্পর্ক মজবুত হয়। ১ টাকার অর্থ হল, আবার দেখা হবে।

লক্ষ্মীর প্রতীক

১ টাকাকে দেবী লক্ষ্মীর প্রতীক হিসেবে দেখা হয়। কাউকে ১ টাকার কয়েন দেওয়ার অর্থ হল, তাঁর সমৃদ্ধি এবং সাফল্য কামনা করা। 

মনে করা হয় যে ১ টাকার কয়েন হল উন্নতির বীজ। ওই কয়েনটি ভেবেচিন্তে ব্যয় করা উচিত। কারণ, কোনও খাতে ভেবেচিন্তে লগ্নি করলে অর্থ বৃদ্ধি হয়। আবার দান করলে পুণ্য অর্জনও করতে পারবেন।


আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।