জগন্নাথ রথযাত্রা: ওড়িশার পুরীতে অবস্থিত ভগবান জগন্নাথের মন্দির নিজের মধ্যে অনেক রহস্য লুকিয়ে রেখেছে। এই মন্দিরের রহস্যগুলি জেনে সবাই অবাক হয়ে যায়, এমনকি বিজ্ঞানীরাও এগুলি সম্পর্কে জানতে পারেননি।

জগন্নাথ মন্দিরের ৫ রহস্য: এবার ওড়িশার পুরীতে ভগবান জগন্নাথের বিশ্ববিখ্যাত রথযাত্রা ২৭ জুন থেকে শুরু হবে। এই যাত্রা দেখার জন্য লক্ষ লক্ষ মানুষ এখানে আসবেন। ভগবান জগন্নাথের মন্দির ভারতের সবচেয়ে প্রাচীন মন্দিরগুলির মধ্যে একটি। এই মন্দিরের সাথে অসংখ্য রহস্য জড়িত, যা সম্পর্কে জানলে যে কারো মাথা ঘুরে যেতে পারে। বিজ্ঞানীরাও আজ অবধি এই রহস্যগুলি সম্পর্কে জানতে পারেননি। জেনে নিন জগন্নাথ মন্দিরের এমনই ৫ টি রহস্য সম্পর্কে…

ভগবান জগন্নাথের মূর্তিতে হৃদয়

বলে, ভগবান জগন্নাথের মূর্তিতে শ্রীকৃষ্ণের হৃদয় আছে। একে ব্রহ্ম পদার্থ বলে। যখন আষাঢ় মাসের অধিক মাস আসে তখন ভগবান জগন্নাথের নতুন প্রতিমা তৈরি করে মন্দিরে স্থাপন করা হয়। সেই সময় পুরোহিতেরা পুরো শহরে অন্ধকার করে নিজের চোখে কাপড় বেঁধে শ্রীকৃষ্ণের হৃদয় পুরনো প্রতিমা থেকে বের করে নতুন প্রতিমায় ঢোকান। এই ব্রহ্ম পদার্থ কী, তা নিয়ে কেউ বেশি জানে না।

উল্টো দিকে উড়ছে মন্দিরের পতাকা

জগন্নাথ মন্দিরের পতাকাও বেশ রহস্যময়। মন্দিরের পতাকা প্রতিদিন বদলানো হয়। বিশ্বাস, একদিনও যদি মন্দিরের পতাকা বদলানো না হয় তাহলে মন্দির ১৮ বছরের জন্য বন্ধ হয়ে যাবে। সবচেয়ে বড় বিষয় হল এই পতাকা বাতাসের বিপরীত দিকে উড়ে যা বিজ্ঞানীদের কাছেও বিস্ময়ের বিষয়।

দেখা যায় না মন্দিরের শিখরের ছায়া

জগন্নাথ মন্দির সম্পূর্ণরূপে বাস্তু সম্মত অর্থাৎ এটি তৈরিতে বাস্তুর পুরো ধ্যান রাখা হয়েছে। তাই দিনের যে কোনও সময় এই মন্দিরের গম্বুজের ছায়া পৃথিবীতে পড়ে না। এ থেকে অনুমান করা যায় যে প্রাচীনকালে ভারতীয় বাস্তুশিল্প কতটা বিজ্ঞানসম্মত ছিল।

রান্নাঘরেও ঘটে অলৌকিক ঘটনা

ভগবান জগন্নাথের রান্নাঘরকে বিশ্বের সবচেয়ে বড় রান্নাঘর বলা হয়। এই রান্নাঘরেও একটি অলৌকিক ঘটনা ঘটে। যখন ভগবানের জন্য ভোগ তৈরি করার জন্য একের উপর এক ৭ টি মাটির পাত্র রাখা হয় তখন প্রথমে সবচেয়ে উপরের পাত্রের ভোগ তৈরি হয় এবং সবচেয়ে নীচেরটি শেষে। এর রহস্যও আজ অবধি কেউ বুঝতে পারেনি।

মন্দিরে শোনা যায় না সমুদ্রের ঢেউয়ের আওয়াজ

জগন্নাথ মন্দিরের বাইরে অथाহ সমুদ্র যার ঢেউয়ের আওয়াজ এখানে প্রতিধ্বনিত হয় কিন্তু মন্দিরে প্রবেশ করার সাথে সাথেই এই আওয়াজ শোনা বন্ধ হয়ে যায়। এত কাছে থাকা সত্ত্বেও সমুদ্রের ঢেউয়ের আওয়াজ মন্দিরের ভিতরে শোনা না যাওয়া কোনও অলৌকিক ঘটনার চেয়ে কম নয়।


Disclaimer
এই লেখায় যে তথ্যগুলি রয়েছে, সেগুলি ধর্মগ্রন্থ, পণ্ডিত এবং জ্যোতিষীদের কাছ থেকে নেওয়া হয়েছে। আমরা শুধু এই তথ্য আপনাদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার একটি মাধ্যম। ব্যবহারকারীরা এই তথ্যগুলিকে শুধুমাত্র তথ্য হিসেবে গ্রহণ করবেন।