সংক্ষিপ্ত
পুরাণের কাহিনী অনুসারে আমরা সকলেই জানি যে, ভগবান শিবের দুই পুত্র আছেন। তাঁরা হলেন, দেব সেনাপতি কার্তিক বা ষড়ানন এবং সিদ্ধিদাতা গণেশ বা গজানন। কিন্তু, ‘শিব পুরাণ’ অনুযায়ী ভগবানের শিবের পুত্রের সংখ্যা আরও বেশি।
হিন্দু ধর্ম অনুসারে, সমগ্র ত্রিলোকে পূজিত হন দেবাদিদেব মহাদেব। পুরাণের কাহিনী অনুসারে আমরা সকলেই জানি যে, ভগবান শিবের দুই পুত্র আছেন। তাঁরা হলেন, দেব সেনাপতি কার্তিক বা ষড়ানন এবং সিদ্ধিদাতা গণেশ বা গজানন। কিন্তু, ‘শিব পুরাণ’ অনুযায়ী ভগবানের শিবের পুত্রের সংখ্যা আরও বেশি। ভগবান শিবের পুত্র সংখ্যা মোট ৭। শিবের বিভিন্ন লীলার সময়ে এঁদের জন্ম হয়েছিল। কার্তিক-গণেশ ছাড়াও জেনে নিন বাকি পুত্রদের নাম।
-
কার্তিক এবং গণেশের পর শিবের তৃতীয় পুত্রের নাম সুকেশ। পুরাণ অনুসারে, রাক্ষস রাজা হেতি ‘ভায়া’ নামের একজন মেয়েকে বিয়ে করেছিলেন। তাঁদের উভয়ের বিদ্যুৎকেশ নামের একটি পুত্রের জন্ম হয়। সন্ধ্যার কন্যা সালকাটঙ্কা-র সঙ্গে বিদ্যুৎকেশের বিয়ে হয়েছিল। সালকাটঙ্কা ছিলেন ব্যভিচারিণী। এই কারণে তাঁর ছেলের জন্ম হলে তাকে পরিত্যক্ত করে রাখা হয়। ভগবান শিব এবং মা পার্বতী সেই শিশুটিকে রক্ষা করেছিলেন এবং সেই সন্তানকে নিজেদের পুত্ররূপে গ্রহণ করেছিলেন।
-
আয়াপ্পা হলেন ভগবান শিবের চতুর্থ পুত্র। দক্ষিণ ভারতের শবরীমালা মন্দিরে তিনি পূজিত হন। আয়াপ্পা হলেন ভগবান শিব ও মোহিনীর পুত্র, ভগবান বিষ্ণুর রূপ। বিষ্ণুর মোহিনী রূপ দেখে ভগবান শিবের বীর্যপাত হয়েছিল, তার থেকেই আয়াপ্পার জন্ম হয়।
-
শ্রীমদদেবী ভাগবত পুরাণ অনুসারে, একবার ভগবান শিব তাঁর তৃতীয় নয়ন থেকে নির্গত আলো সমুদ্রে নিক্ষেপ করেছিলেন এবং এর ফলে জলন্ধরের জন্ম হয়েছিল। জলন্ধর শিবকে খুব ঘৃণা করতেন। একবার জলন্ধর মা পার্বতীকে স্ত্রী করার জন্য ভগবান শিবের সঙ্গে যুদ্ধ শুরু করেছিলেন। সেই যুদ্ধেই তিনি নিহত হন।
-
ভগবান শিবের ষষ্ঠ পুত্রের নাম ভৌমা। একদিন কঠোর তপস্যায় মগ্ন ছিলেন ভগবান শিব। তাঁর ঘাম মাটিতে পড়েছিল। এই ঘাম থেকে দেবী ভূমি একটি পুত্রের জন্ম দেন। এই পুত্রের চারটি বাহু ছিল এবং তার গাত্রবর্ণ ছিল লাল। পৃথিবী নিজেই এই পুত্রকে লালন-পালন করতে থাকেন। সেই থেকে মাটির সন্তান হওয়ায় তাঁকে ভৌম বলা হত।
-
একবার মা পার্বতী পেছন থেকে এসে ভগবান শিবের চোখ বন্ধ করে ধরেছিলেন। এর ফলে সারা পৃথিবীময় অন্ধকার ছড়িয়ে পড়েছিল। তখন দেবাদিদেব নিজের তৃতীয় চোখ খুলে দিয়েছিলেন। তৃতীয় নয়নের আলোর তেজে মা পার্বতী ঘামতে শুরু করেন এবং তার ফোঁটা থেকে একটি পুত্রের জন্ম হয়। অন্ধকারে জন্ম নেওয়ায় তার নাম রাখা হয় অন্ধক। জন্ম থেকেই তিনি অন্ধ ছিলেন।
-
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।