সংক্ষিপ্ত

চিনা জ্যোতিষ বা ফেং সুই মেনে অনেকের বাড়িতেই লাফিং বুদ্ধর মূর্তি চোখে পড়ে। তবে এই মূর্তি যেমন তেমন ভাবে রাখা যায় না। সে ক্ষেত্রে ফল হতে পারে উল্টোটাই।

 

ধনদৌলতের দেবতা কুবেরের মতো লাফিং বুদ্ধকেও সাফল্যের প্রতীক বলে মনে করা হয়। এই জন্য অনেকেই বাড়িতে বা কর্মস্থলে লাফিং বুদ্ধার মূর্তিও রেখে থাকেন। চিনের লৌকিক কাহিনি অনুযায়ী, বুদ্ধের এই অবতার মৈত্রেয় বা ভবিষ্যৎ বুদ্ধ বলে গণ্য করা হয়। তাঁকে সকল সময় হাসিমুখে থাকতে দেখা যায়, সেজন্যে চিনা ভাষায় তাকে হাসিমুখো বুদ্ধ লাফিং বুদ্ধ বলা হয়।

লাফিং বুদ্ধ বা বুদাই একজন চিনা লোক দেবতা। চিনা ইতিহাস মতে, বুদাই একজন বৌদ্ধ ভিক্ষু ছিলেন। যিনি লিয়াং সাম্রাজ্যের সমসাময়িক চিনে বাস করতেন। তিনি চচিয়াং এর স্থানীয় বাসিন্দা ছিলেন এবং তার বৌদ্ধ নাম কিয়েইচি ছিল। চিনা জ্যোতিষ বা ফেং সুই মেনে অনেকের বাড়িতেই লাফিং বুদ্ধর মূর্তি চোখে পড়ে। তবে এই মূর্তি যেমন তেমন ভাবে রাখা যায় না। সে ক্ষেত্রে ফল হতে পারে উল্টোটাই।

ফেংসুই অনুসারে, লাফিং বুদ্ধ মূর্তি বাড়িতে রাখলে বাস্তুর উন্নতি হয়। তবে এই মূর্তি শুধুমাত্র বাড়িতে রাখলেই নয়, মেনে চলতে হয় কিছু নিয়ম, যা ভুল হলে ফল হতে পারে বিপরীত। তাই বাড়িতে বা কর্মক্ষেত্রে লাফিং বুদ্ধ রাখার সঠিক নিয়মগুলি অবশ্যই জেনে রাখা উচিত।

১) লাফিং বুদ্ধর মূর্তি কখনও নিজে কিনে বাড়িতে বা কর্মস্থলে রাখা উচিত নয়। সেক্ষেত্রে সুফল পাওয়া যায় না। বরং উপহারে পাওয়া মূর্তিই বাড়িতে সমৃদ্ধি বহে আনে।

২) লাফিং বুদ্ধর মূর্তি ঘরের উত্তর দিকে মুখ করে রাখা উচিত। এতে পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ভাব-ভালবাসা আরও নিবিড় হয়।

৩) ফেংশুই মতে, পিতলের তৈরি মূর্তি কিনলেও একই ফল পাওয়া সম্ভব। বাচ্চাদের সঙ্গে বসে আছেন লাফিং বুদ্ধ এমন মূর্তি বাড়িতে রাখা খুবই শুভ।

৪) কর্মস্থলে লাফিং বুদ্ধর মূর্তি রাখার সময় নজর রাখতে হবে, যেন মূর্তির উচ্চতা চোখের দৃষ্টির উপরে না যায়।

৫) বাড়িতে লাফিং বুদ্ধর মূর্তি রাখতে হলে বাড়ির সদর দরজার দিকে মুখ করে রাখলেই হবে।