সংক্ষিপ্ত
জ্যোতিষশাস্ত্র অনুযায়ী আপনার বন্ধু থেকে আপনারই জীবনসঙ্গী হয়ে ওঠার জন্য কয়েকটি বিষয়ের কথা বলা হয়েছে। সেই বিষয়গুলি যদি মিলে যায় তাহলেই আপনি আপনার বন্ধুকেই আপনার জীবনসঙ্গী হিসেবে নির্বাচিত করতে পারেন।
আপনি দীর্ঘদিন ধরেই আপনার প্রিয় বন্ধুকে চেনেন। আপনি তাঁর সঙ্গে আপনার জীবনের গোপনীয়তা, স্বপ্ন , অগ্রগতির সঙ্গে সমস্যা সবকথা খুলে বলেন, তাঁর থেকে পরামর্শ নেন। কিন্তু আপনি জানেন কি সে আপনার জীবনসঙ্গী হতে পারেন কিনা। জ্যোতিষশাস্ত্র অনুযায়ী আপনার বন্ধু থেকে আপনারই জীবনসঙ্গী হয়ে ওঠার জন্য কয়েকটি বিষয়ের কথা বলা হয়েছে। সেই বিষয়গুলি যদি মিলে যায় তাহলেই আপনি আপনার বন্ধুকেই আপনার জীবনসঙ্গী হিসেবে নির্বাচিত করতে পারেন। তাতে আপনার জীবনের অর্ধেক সমস্যার সমাধান হয়ে যায়।
১. মহাজাগতিক সামঞ্জস্য
জ্যোতিষশাস্ত্র হল প্রাচীন বিজ্ঞান, কারো সঙ্গে আপনার সামঞ্জস্যের অন্তর্দৃষ্টি দিতে পারে কিনা তা সহজেই ব্যাখ্যা করে। যখন দুই জন মানুষ ঘনিষ্ঠ বন্ধু হয় ও তাদের জ্যোতিষশাস্ত্রের চিহ্নগুলি একই হয় তখন তারা পরস্পরের পরিপুরক হয়। তারা খুব ভাল জীবনসঙ্গী হতে পারে। অর্থাৎ গ্রহ - নক্ষত্রের মিলের ওপরেই নির্ভর করে ভাল জীবনসঙ্গী।
২. লক্ষ্য ও স্বপ্নপুরণ
একজন মানুষ তাঁর জীবনসঙ্গীর থেকে সবথেকে বেশি চায় একটি সুস্থ ও দীর্ঘমেয়াদী সম্পর্ক। সেখানে দুইজনের লক্ষ্য আর স্বপ্ন প্রায় একই হবে। আপনি যদি আপনার কাছের বন্ধুর স্বপ্ন আর লক্ষ্য সম্পর্কে খুব ভাল করে অবগত হন তাহলেই তাঁকে জীবনসঙ্গী নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিন।
৩. মানসিক সংযোগ
আপনার কাছের বন্ধুর সঙ্গে আপনার মানসিক সংযোগ দৃঢ়় হওয়া খুব জরুরি। সম্পর্ক রোমান্টিক না হলেও ক্ষতি নেই। কিন্তু বন্ধুকে বা কাছের মানুষকে জীবনসঙ্গী নির্বাচনের আগে তাঁর সঙ্গে আপনার মানসিক সংযোগ বা মিলের বিষয়টি অবশ্যই খতিয়ে দেখে নিন।
৪. যোগাযোগ
আপনি তখনই আপনার বন্ধু বা কাছের মানুষকে নির্বাচিত করুন যখন আপনি খুব তাড়াতাড়ি তার কাছে পৌঁছাতে পারবেন। আপনির আপনার বা সে তার সমস্যার কথা খুব সহজে আপনাকে খুলে বলতে পারবে। তা না হলে সম্পর্ক পরিপূর্ণতা পাবে না।
৫. জীবনে মিল
আপনার ও আপনার জীবনসঙ্গীর শখ আর আগ্রহের ক্ষেত্রে অধিকাংশ বিষয়ে মিল থাকাটা খুব জরুরি। সর্বক্ষেত্রে মিল না থাকলেও চলবে। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রে মিল থাকলে মতের মিল খুব দ্রুত হবে।
৬. যত্নশীল
আপনি তেমন কাউকে আপনার সঙ্গী হিসেবে নির্বাচিত করুন যার প্রতি আপনি যত্নশীল। অবশ্যই দেখবেন সে আপনার প্রতি কতটা যত্নশীল। দুজনেই যদি দুজনের প্রতি যত্নশীল হন তাহলেই সম্পর্ক সুন্দর হয়।