সংক্ষিপ্ত

বাস্তু মতে পূর্ব বা দক্ষিণ দিকে মাথা দিয়ে শোয়া শুভ বলে বলে করা হয়। মাথা পশ্চিম দিক বা উত্তর দিকে দিয়ে শোয়া একদমই শুভ নয়।

 

বাস্তুশাস্ত্র অনুযায়ী প্রতিটি দিকেরই আলাদা আলাদা গুরুত্ব রয়েছে। যা মানুষের জীবনে ওঠাপড়া শুভ -অশুভর সঙ্গে কোনও না কোনওভাবে জড়িয়ে রয়েছে। বাস্তু নিয়ম অনুযায়ী শোয়ার সময়ে কোন দিকে মাথা দিয়ে শুলে কী ফল হবে তাও বলা হয়েছে। তেমনই বাস্তু নিয়ম অনুযায়ী উত্তর দিকে মাথা দিয়ে শোয়া ঠিক নয়। তবে জ্যোতিষ অনুযায়ী যা ভুল বিজ্ঞান অনুযাযী তা ঠিক নয়। রয়েছে এই নিয়মের ব্যাখ্যাও।

বাস্তু মতে পূর্ব বা দক্ষিণ দিকে মাথা দিয়ে শোয়া শুভ বলে বলে করা হয়। মাথা পশ্চিম দিক বা উত্তর দিকে দিয়ে শোয়া একদমই শুভ নয়। এতে শরীর ও মনের তীব্র ক্ষতি হয়। শাস্ত্রমতে দক্ষিণ দিকে যমরাজের অধীষ্ঠান। তাই তাঁর দিকে পা দিয়ে শুলে নানা রকম শারীরিক ও মানসিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। রণ উত্তর দিকে মাথা দিয়ে শুলে পা যাবে দক্ষিণ দিকে। পশ্চিম দিকে মাথা দিয়ে শুলে পূর্ব দিকে পা যায়। তা আবার সূর্যের দিক। সূর্যদয় হয় পূর্বদিকে। তাই তা অত্যান্ত অশুভ বলে মনে করাহয়। পূর্ব দিকে পা দিয়ে শুলে জীবনে নানা বাধার সম্মুখীন হতে হয়।

দক্ষিণ দিকে মাথা দিয়ে শোয়ার বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা রয়েছে। তা হল পৃথিবীর উত্তর ও দক্ষিণ মেরুতে চৌম্বকীয় টান র রয়েছে। বিশ্বের দক্ষিণ মেরু থেকে উত্তর মেরু বারবার চৌম্বকীয় তরঙ্গ ক্রমাগত প্রভাবিত হয়। সেই কারমে উত্তর দিকে মাথা আর দক্ষিণ দিকে পা দিয়ে শুলে চৌম্বকীয় শক্তি পা দিয়ে প্রবেশ করে মাথা দিয়ে বার হয়। তাতে মনের ওপর অতিরিক্তি চাপ তৈরি করে। যার প্রভাব পরে শরীর স্বাস্থ্যের ওপর। যার কারণে নানা অসুখবিসুখ লেগেই থাকে। উত্তর দিকে মাথা দিয়ে শুলে সকালে ঘুম থেকে ওঠার পরে ক্লান্তি অনুভূত হয়। শরীর শক্তি হারিয়ে ফেলে। কাজে অনীহা তৈরি হয়।

তাই ভুলেও উত্তর দিকে মাথা দিয়ে ঘুমানো বা শোয়া ঠিক নয়। এই নিয়ে পুরাণেই অনেক কথা লোখা রয়েছে। বলা হয়েছে, বলা হয়েছে গণেশ উত্তর দিকে মাথা দিয়ে শুয়েছিলেন বলেও তার মাথা কাটা পড়েছিল। বাস্তু নিয়ম মেনে চললে সংসারে সুখ আর সমৃদ্ধি বজায় থাকে। পরিবারের সদস্যদের অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা কমিয়ে দেয়। পাশাপাশি নেতিবাচক শক্তির প্রভাব কমায়।