সংক্ষিপ্ত

পাপ দূর করতেই পালন করা হয় পাপমোচনী একাদশী। পুরান এই একাদশীর ব্রত নিয়ে রয়েছে অনেক কাহিনি।

 

পাপমোচনী একাদশী- মানেই এই একাদশীর ব্রত পালন করলে সব পাল দূর হয়ে যায়। যে কোনও একাদশীর মতই এই একাদশীতেও বিষ্ণুর পুজো করা হয়। জ্যোতিষে বিশ্বাস করা হয় এই একাদশীর দিনে জাগ্রত থাকেন বিষ্ণু। তিনি আশীর্বাদও করেন।

পাপমোচনী একাদশীর গুরুত্ব

নিয়ম মেনে নারায়ণের পুজো করতে হয়। প্রচলিত ধারনা অনুযায়ী এই একাদশীর ব্রত পালন করলে মিথ্যা কথা বলা উচিৎ নয়। তাতে কুপিত হন বিষ্ণু। জ্যোতিষে বলা হয়, এই একাদশীর উপবাস পারন করলে এক ব্যক্তি ব্রাহ্মণ হত্যা, সোনা চুরি, মদ্যপান, ভ্রণ হত্যার মত জঘন্য পাপ থেকে মুক্তি পায়। বিশ্বাস করা হয় পাপমোচনী একাদশীর ব্রত রাখলে বাড়িতে সুখ আর সম্পদ আসে। একাদশী তিথিতে ঘুম থেকে উঠলে বহুমুখী ফল পাওয়া যায়।

পাপমোচনী একাদশীর সময়সূচি

আগামী ১৭ মার্চ দুপুর ২টো ৬ মিনিটে একাদশী পড়বে। ১৮ মার্চ বেলা ১১টা ১৩ মিনিটে শেষ হবে। ১৮ মার্চ তিথিতে উপবাস পালন করা হবে।

পাপমোচনী একাদশীর পুজোর রীতি

১. একাদশীর দিনে ব্রহ্ম মুহূর্তে ঘুম থেকে উঠে স্নান ও ধ্যান করতে হবে। পুজোর ব্রত সেই সময় থেকেই শুরু হবে।

২. ষোড়শ পাচারের ভগবান বিষ্ণুর পুজো করুন।

৩. ঈশ্বরকে ধূপ ও প্রদীপ, চন্দন ফুল অর্পণ করুন।

৪. অভাবী আর ভিক্ষুকদের খাবার দিন

৫. পাপমোচনী একাদশীর দিনে রাত জেগে ঈশ্বরের ধ্যান করা উচিৎ

৬. দ্বাদশীর দিন পরান করা উচিৎ।

পাপমোচনী একাদশীর পৌরানিক কাহিনি

জনশ্রুতি রয়েছে, অতীতে চৈত্রথ নামে একটি বন ছিল। সেখানে চ্যবন ঋষির পুত্র গুণী ঋষি তপস্যা করতেন। বনে দেবরাজ ইন্দ্র অপ্সরা,দেবতা আর গন্ধর্বদের নিয়ে বিচরণ করতেন। তেমনই একটি সময় কামদেব গুণী ঋষির তাপস্যা ভঙ্গ করতে মঞ্জু ঘোষ নামে এক অপ্সরাকে পাঠান। মঞ্জু নাচ আর গানের মধ্যে দিয়ে ঋষিপুত্রকে বিভ্রান্ত করেছিল। তিনিও অপ্সরায় মুগ্ধ হয়ে দীর্ঘ সময় কাটান। বহু বছর পরে অপ্সরা যেতে চাইলে ঋষিপুত্র রেগে যান আর নিজের ভুল বুধতে পারেন। প্রায়শ্চিত্ত করতে চান। তখনই ভগবান বিষ্ণু পাপমোচনী একাদশীর ব্রত পালন করতে বলেন।