সংক্ষিপ্ত
আঙুলের আকৃতি দেখে আপনি জানতে পারবেন একজন ব্যক্তি জীবনে কত সম্পদের অধিকারী হবেন। হাতের অনামিকা আঙুলের গঠন সংক্রান্ত কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় জেনে নিন।
সামুদ্রিক শাস্ত্র অনুযায়ী, শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের গঠনের ভিত্তিতে একজন ব্যক্তির ব্যক্তিত্ব এবং তাঁর ভবিষ্যৎ সম্পর্কে অনেক কিছু জানা যায়। অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের আকার অনুযায়ী ব্যক্তির সম্পদ ও আয়-ব্যয় সংক্রান্ত ধারণা বুঝতে পারা যায়। আঙুলের আকৃতি দেখে আপনি জানতে পারবেন একজন ব্যক্তি জীবনে কত সম্পদের অধিকারী হবেন। হাতের অনামিকা আঙুলের গঠন সংক্রান্ত কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় জেনে নিন।
কড়ে বা কনিষ্ঠা আঙুলের পাশের আঙুলটিকে রিং ফিঙ্গার বা অনামিকা বলা হয়। যদি কোনও ব্যক্তির অনামিকাতে একটা লম্বা টানা দাগ আঙুলের মাথা পর্যন্ত প্রসারিত দেখা যায়, তাহলে এমন ব্যক্তিরা খুব ধনী এবং ভাগ্যবান হন। সাধারণত এরা খুব বড় ব্যবসার মালিক হয়ে থাকেন।
হস্তরেখা বিদ্যা অনুসারে, যদি কোনও ব্যক্তির অনামিকার একেবারের ওপরের প্রথম গাঁটে বেশ কয়েকটি সরল এবং উল্লম্ব রেখা দেখা যায়, তাহলে সেই ব্যক্তি খুব সুখী জীবনযাপন করেন। এরা নিজের কথার মাধ্যমে অন্যদের প্রভাবিত করতে পারেন।
অনামিকা যদি হাতের তর্জনীর (বুড়ো আঙুলের পরের আঙুল) চেয়ে বড় বা লম্বা হয়, তাহলে এই ধরনের মানুষরা খুব আত্মমর্যাদাশীল হন। এই ব্যক্তিরা নিজেদের সঙ্গীর প্রতি ভীষণভাবে আকৃষ্ট থাকেন।
একজন ব্যক্তির তর্জনী এবং অনামিকা আঙুলের দৈর্ঘ্য যদি সমান হয়, তাহলে সেই ধরনের মানুষরা স্বাধীনভাবে বাঁচতে পছন্দ করেন এবং নিজেদের জীবনে তাঁরা কারও হস্তক্ষেপ পছন্দ করেন না। তাঁরা নিজেরাও অন্যদের কাজে নাক গলান না।
হস্তরেখার মতে, অনামিকা তর্জনীর চেয়ে ছোট থাকা ভালো লক্ষণ নয়। অনামিকা আঙুল ক্ষুদ্র হলে তা নির্দেশ করে যে, এই জাতীয় ব্যক্তিরা শিল্পের অপব্যবহার করে অর্থ উপার্জন করে থাকেন।